বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

যানজটে নাকাল শহরবাসী

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২১  

বেশকিছুদিন শহরের যানজট অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে ছিল। বিশেষ করে হকারমুক্ত ফুটপাতসহ গাড়ি যত্রতত্র পার্কিং রোধে সড়কগুলোতে অবস্থান নিয়ে পুলিশের কঠোর তৎপরতায় কিছুদিন যানজটমুক্ত দেখা গেলেও গত কয়েকদিন যাবত যানজট আবার পুরানো চেহারায় ফিরে এসেছে। আর এমন যানজটে নাকাল শহরবাসী।

 

বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক (বি,বি, রোড) এর চাষাঢ়া থেকে মন্ডলপাড়া পুল, ব্যাংকের মোড় থেকে পুরো শায়েস্তা খান সড়ক (এসকে রোড), সিরাজউদ্দৌলা রোডের কুমুদিনী র‌্যালি বাগান থেকে এক নং রেলগেট এবং লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ২নং রেলগেট পর্যন্ত সড়কগুলোতে তীব্র যানজটের এমন চিত্র দেখা যায়।

 

শহরের মূল সড়কগুলোতে দিনের বেলায় ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ বড় ধরণে কোন মালবাহী গাড়ির প্রবেশ নিষেধ থাকলেও গতকাল দুপুরের দিকে সড়ক জুড়েই তাদের ব্যপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

 

শহরের আলম কেবিনের সামনে পঞ্চাশোর্ধ রিক্সা চালক আফসার আলী বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই এমন যানজট। রিক্সার চাকা ঘুরতেই চায় না। সারাদিনে তেমন একটা খেপ মারতে পারি না। মহাজনের টাকা দিয়ে এক বেলায় তিনশ টাকাও রুজি করতে পারি না। যানজট না থাকলে ৫শ থেকে ৭শ টাকা পর্যন্ত কামানো যায়।

 

শহরের পুরানো কোর্ট এলাকায় রিক্সা যাত্রী ঝিনুক আক্তার জানান, তিনি যাবেন ৫নং খেয়া ঘাটে। চাষাঢ়া থেকে এই পুরানো কোর্ট পর্যন্ত আসতে তার ২০ মিনিটের উপর সময় পার হয়ে গেছে। এখনো কতক্ষণ সময় লাগবে তা জানি না। অথচ যানজট না থাকলে চাষাঢ়া থেকে ৫নং ঘাটে যেতে ৭/৮ মিনিটের বেশী লাগে না।

 

এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের চাষাঢ়া পুলিশ বক্সের দায়িত্বে থাকা ওসি (টি আই-১) কামরুল ইসলাম বলেন, শহরে এখন গাড়ির চাপ খুব বেড়ে গেছে, বিশেষ করে করোনার পর থেকে গাড়ির চাপটা বেশী। তবে শহরের রেলগেট গুলোর সিগন্যালকে তিনি যানজটের সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে মনে করেন।

 

তিনি বলেন, প্রতিদিন প্রতি রেলগেটে প্রায় ৩০বার সিগন্যাল পড়ে। সিগন্যালের সময় গাড়ির চলাচল থেমে যায় ফলে যানজট বৃদ্ধি পায়। আমরা যানজট নিরসনে প্রতিদিনই অভিযান চালাই। দিনের বেলায় শহরে বড় ধরণের মালবাহী গাড়ি প্রবেশের বিষয় তিনি বলেন, যখনি এ ধরণের গাড়ি আমাদের চোখে পড়ে আমরা তাদের সতর্ক করাসহ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
 

এই বিভাগের আরো খবর