অপকর্মে জনগণের আস্থা হারিয়েছে বাবুল মেম্বার

যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:১৩ পিএম

# বিচারের নামে অসহায়দের টাকা হাতিয়ে নেয় এই মেম্বার
একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির জনগনকে অনেক আশা ভরসা দিয়ে মানুষের মন জয় করেই নির্বাচনে জয়লাভ করে। এলাকার জনগন আশা করে তার কাছ থেকে এরাকার উন্নয়ন হোক এলকার মানুষের উপকার হোক কিন্ত কিছু কিছু যাওয়াতে মানুষের সেই ভরসার জায়গাটা ধরে রাখতে পারে না কিছু কিছু জনপ্রতিনিধি তেমনই এক ঘটনা ঘটেছে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুরে ৫ নং ওয়ার্ডে। সেখানকার মেম্বার বাবুল মিয়া নির্বাচিত হওয়ার পর নানার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে নিজেকে জাহির করেছেন।
সরল সোজা মানুষ ভেবে তাকে মানুষ ভোট দিলেও এখন সে এই এলাকার মানুষের গলার কাঁটা হিসেবে পরিনত হয়েছে। নির্বাচিত হওয়্রা ১ বছর যেতে না যেতেই তিনি সরকারী ভাবে টিউবওয়েল দেওয়ার নামে এলাকার বেশ কিছু সংখ্যালঘু কয়েকটি পরিবারের কাছ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলো তবে টাকা দিয়েও টিউবওয়েল না পেয়ে বাবুল মেম্বারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনও করেছিল পরিবারটি। সেখান থেকেই তার অপকর্ম শুরু এর পর আর পিছনে তাকায়নি। একের পর অপকর্ম করেই চলছে।
জন্ম নিবন্ধন, বিধবা ভাতা, সহ সকল ক্ষেত্রে এই এলাকার মানুষদের কাছে বাড়তি টাকা নিয়েই চলছে। আর টাকা না দিলে কোন কাজ সময় মতো হয় না। এমনকি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ময়লা উঠানো মেথরদের কাছ থেকেও ৩৫০০০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়েছে। তার অফিসে বিচারের নামে অসহায় মানুষদের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা হাতিয়ে নেওয়া তার নিত্য দিনের কাজ। এগুলা করেই থেমে যাননি এখন পপুলারের আত্মসাৎ নিয়ে কুতুবপুরে বেশ আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, বেশ কয়েকমাস আগে পপুলার মাল্টিপারপাস নামে এক সমবায় সমিতি কয়েক হাজার গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের পায়তারা করে পরে সকল গ্রাহক সেই সকল কর্মকর্তাদের বাড়ি ঘেরাও করলে তাৎক্ষণিক কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন এবং পপুলারের কর্মকর্তদের কাছ থেকে গ্রাহকদের সকল পাওনা উঠিয়ে দেওয়ার ঘোষনা দিলে গ্রাহকরা সকলে বাড়ি ফিরে যায়। পরবর্তীতে কুতুবপুর ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাবুল মিয়ার কাছে সকল গ্রাহকের বই সংগ্রহ করে এবং সকলের টাকা বুঝিয়ে দেওয়ার ঘোষনা দিলেও তার মধ্যে ব্যাপক অনিয়মের দেখা দিয়েছে।
আর তার এই অনিয়মের তথ্য ফাঁস করলেন তারই কিছু বিশ্বস্থ অনুসারীরা। এসময় অডিও ক্লিপটিতে শোনা গেছে বাবুল মেম্বার তার লোকজন দিয়ে পপুলারের বিল কালেকশন করেছে এবং ৬ হাজার বইয়ের মধ্যে কমপক্ষে এক হাজার লোকের কোন খোঁজ খবর নাই। আর সেই বইগুলোতে ওই ডেটে টাকার অংক বসাইয়া ওই বিলটা চেয়ারম্যানের কাছ থেকে পাশ করাইয়া আনছে। আর যেই বই গুলোর কোন তদন্ত নেই ২০০০০ হাজারের জায়গায় ৬০০০০ হাজার বসাইছে ওই বইয়ের মালিক থাকলেও এখন সেই বইয়ের মালিক এখন ওরা। এমনকি ফিল্ডের কাজ করা মেয়েদের তাড়িয়ে দিয়ে বাবুল মেম্বারের নির্দেশনায় নজির, আক্তার, রিপনে উঠাইছে এগুলা আর খাতায় হিসাব নাই।
শুধু তাই নয় বাবুল মেম্বারের চোট ভাই আবুলের বইতেও ২০ হাজার টাকা কোথা থেকে আসলো এগুলা। শাহী বাজার এলাকায় মাদক তার এক ভাই মনিরের নিয়ন্ত্রনে। আর বাবুল মেম্বার কবরস্থানে গিয়ে মাদক সেবন করে। ইউনিয়ন পরিষদের থেকে ২ বস্তা চাল দেওয়ার কথা থাকলেও সবাইকে ১ বস্তা করে চাল দিয়েছে আর বাকি চাল তার ঘরে নিয়া রাখে তার বাসায় গেলেও অনেক ত্রানের চাল পাওয়া যাবে। তার নির্বাচনে কোন টাকা ছিলোনা বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে হাওলাদ করে নির্বাচন করছে। সে এখন মানুষকে ঠকিয়ে রক্ত চুষে খাচ্ছে। আর এই পপুলারের গ্রাহক প্রকৃত যারা টাকা পায় তারা এখন টাকা পাচ্ছেনা।
তবে এ বিষয়ে জানতে কুতুবপুর ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে কিছু লোক মিথ্যা অপপ্রচার করছে। যারা এই কাজ গুলো করছে তারা আমার কাছ থেকে বিভিন্ন ভাবে সুবিধা গ্রহন করতে চেয়েছিলো আর আমি সেটা না করায় তারা মিথ্যা অপকাণ্ড ছড়াচ্ছে। আমি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি সে এটার সঠিক বিচার করবে।
এস.এ/জেসি