বুধবার   ০৪ অক্টোবর ২০২৩   আশ্বিন ১৮ ১৪৩০

আইভী-সেলিম ওসমানের মাঝে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলে কে জিতবেন

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

 

# সরকার চায় বিএনপিকে বাদ দিয়ে জাপাকে সঙ্গে নিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন
# বিএনপিকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন হবে না : এড. সাখাওয়াত

বিএনপিকে বাদ দিয়ে চলছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি। বিএনপি এবার কোনো মতেই এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে আসবে না। আর সরকারও সেটাই চায়। তারা চায় বিএনপিকে বাদ দিয়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে। কিন্তু সেই নির্বাচন আদৌ হবে কি হবে না সেটা বুঝা যাচ্ছে না।

 

 

তবে সরকার তার এই লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে। তাই সরকার এবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের সব আসনে নৌকার প্রার্থী ঠিক করে ফেলেছে বলে জানা গেছে। তাই এই মুহুর্তে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বাজেট অধিবেশনে হঠাৎ করে মেয়র আইভী কথার ছলে হোক বা অন্য কোনো কারণে হোক এবারের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন বলে যে কথা বলেছেন সেটা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

 

 

তবে তিনি বলেছেন আনোয়ার কাকা (মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন) মনোনয়ন চেয়েছেন। তিনি যেন তার কথায় রাগ না করেন। তবে আইভী আর আনোয়ারের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মানোনয়ন যেই পান না কেনো, এখানে যে জাতীয় পার্টির প্রভাবশালী এমপি একেএম সেলিম ওসমানের সাথে আওয়ামী লীগের কোনো একজন প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এই ধারনা এখন জোরালো হচ্ছে।

 

 

তবে সেই প্রার্থী যদি হন মেয়র আইভী তাহলে বেশ জোরালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমে উঠবে বলেই মনে করেন নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহল। তবে সেই নির্বাচনে কে জিতবনে আগাম বলা যায় না। যদিও ভোটের হিসাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীই এগিয়ে রয়েছেন বলে অনেকের ধারনা।

 


এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জনগণের মাঝে মেয়র আইভী ও সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান দুইজনেরই ইতিবাচক ইমেজ রয়েছে। দুইজনেই সন্ত্রাস বিরোধী হিসাবে পরিচিত। কিন্তু নৌকা আর লাঙ্গলের মাঝে যদি প্রতিদ্ব›দ্বীতা হয় এবং সেই নর্বিাচন যদি হয় অবাধ ও সুষ্টু তাহলে এই আসনে এবার নৌকাই জিতে যাবে বলে মনে করেন নারায়ণগঞ্জের সাধারন মানুষ।

 

 

কেনোনা বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরকারের ‘দালাল’ হিসাবে সারা দেশেই জাতীয় পার্টি তার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। নারায়ণগঞ্জে ভোট ব্যাংক রয়েছে কেবল মাত্র দুটি দলের। আর এই দুটি দল হলো বিএনপি ও আওয়ামী লীগ।

 

 

তাই এই আসনে যদি আইভী আর সেলিম ওসমানের মাঝে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় তাহলে কে জিতবেন সেটাই বড় প্রশ্ন। তবে বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি যে অনেক কম হবে এতে কারোই কোনো সন্দেহ নেই।

 


এদিকে বিএনপিকে বাদ দিয়ে নৌকা আর লাঙ্গলের মাঝে সম্ভাব্য প্রতিদ্ব›দ্বীতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন তারা আসলে দ্বিবা স্বপ্নে বিভোর রয়েছেন। এবার সাজানো পাতানো কোনো নির্বাচন হবে না এটাই চূড়ান্ত বলে আমরা মনে করি।

 

 

একটি দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এটাই এখন চূড়ান্ত কথা। আর সেই নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনেই জয়ী হবে বিএনপির প্রার্থীরা।   এন.হুসেইন রনী /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর