Logo
Logo
×

রাজনীতি

আনোয়ার-খোকনের ওয়ার্ড নেতারাও প্রশ্নবিদ্ধ

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫১ পিএম

আনোয়ার-খোকনের ওয়ার্ড নেতারাও প্রশ্নবিদ্ধ
Swapno

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে দফায় দফায় সংঘর্ষের সময় নারায়ণগঞ্জ মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড এলাকায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু সহিংসতা চলাকালীন সময়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের ওয়ার্ড নেতারা দাপুটে কোন প্রকার ভূমিকায়ই রাখতে পারেননি। যার কারণে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের ১৭টি ওয়ার্ড কমিটি গঠিত হয় তখনই এসকল ওয়ার্ড নেতাদের নেতৃত্বের অযোগ্যতার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেন ওয়ার্ড কমিটির বিদ্রোহ করা নেতারা। তবে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড এলাকায় সহিংসতা হলে মোটা দাগে চিহ্নিত হয় ওয়ার্ড নেতাদের অযোগ্য নেতৃত্ব। যার ফলে দ্রুত কেন্দ্রীয় নেতাদের পর্যবেক্ষণে ওয়ার্ডের নেতৃত্বে পদের অযোগ্য নেতাদের অপসারণ চাচ্ছে তৃণমূল। 


সূত্র বলছে, খুবই আত্মবিশ্বাসের সাথে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের ১৭টি ওয়ার্ডে বিতর্কিত পদের অযোগ্য ওয়ান ম্যান শো নেতাদের নিয়ে ওয়ার্ড কমিটি গঠন করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা। তারাও যেমন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে দফায় দফায় সংঘর্ষের সময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে থেকেও কোন প্রকার প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি তাদের সহায়ক হিসেবে ওয়ার্ডের অযোগ্য নেতারাও তাদের কোন প্রকার সঙ্গ দেননি। তাদের এই দায়সারা মনোভাবের ফলে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের অন্তগর্ত ১৩,১৪,১৫,১৬,১৭ ওয়ার্ডে ব্যাপক সহিংসতা তাণ্ডব চলে। 

 

এক পর্যায়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা এবং মহানগর আওয়ামীলীগের পার্টি অফিস ভাঙচুর এবং বঙ্গবন্ধুর ম্যুড়াল ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের পার্টি অফিসে ভাঙচুর করা হয়। কিন্তু সেদিন ১৩ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মো. রবিউল হোসেন সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম খান, ১৪ নং ওয়ার্ডের সভাপতি এস এম পারভেজ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান, ১৫ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মো. আব্দুর রহিম ও সাধারণ সম্পাদক প্রতিক ঘোষাল পল, ১৬ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম চঞ্চল, ১৭ নং ওয়ার্ডের সভাপতি আনিস আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদ উল্লাহ এদের মধ্যে অধিকাংশ নেতাই সহিংসতার সময় নিজেদের পিঠ বাঁচাতে গৃহবন্দি ছিলেন। এছাড়াও ১১নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, ১২ নং ওয়ার্ডের সভাপতি নিয়াজুল ইসলাম খান ও সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, ১৮ নং ওয়ার্ডের সভাপতি কামরুল হাসান মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মো. কবির হোসেন, ১৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন (জসু) ও সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাবুদ্দিন, ২০ নং ওয়ার্ডের সভাপতি সোহেল করিম রিপন ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খোকন, ২১ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মো. সালাউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান খোকন, ২২ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মো. কাজী শহীদ ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার সবুজ, ২৩ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মাহবুবুর রহমান কমল ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান সুজু, ২৪ নং ওয়ার্ডের সভাপতি বুলবুল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন জনি, ২৫ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মো. ইউসুফ ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, ২৬ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মো. মেসবাহ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন, ২৭ নং ওয়ার্ডের সভাপতি এড. মামুন সিরাজুল মজিদ ও সাধারণ সম্পাদক ইসলাম পলু এই সকল ওয়ার্ড নেতার সহিংসতার সময় রাজপথে মোকাবিলা করবেন দূরথাক সহিংসতার পরবর্তী সময়ে তাদের খুঁজে পাওয়া দুস্কর হয়ে যাচ্ছে। 

 

যার ফলে কমিটি গঠনের পর থেকেই এসকল পদের অযোগ্য ওয়ান ম্যান শো নেতাদের নিয়ে প্রতিবাদ স্বরূপ তাদের পদচ্যুত করার দাবিতে ১৭টি ওয়ার্ড কমিটির অসন্তোষ প্রকাশ থেকে পার্টি অফিসে তালা কান্ড অতঃপর অব্যাহতি পাল্টা প্রতিবাদ কেন্দ্রে নালিশ পাল্টা পাল্টি বক্তব্য মহানগরের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকে আবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলেও টনক নড়েনি কেন্দ্র থেকে শুরু করে মহানগরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের। কিন্তু কমিটি গঠনের কয়েক মাসের মধ্যে কোটা বিরোধী আন্দোলনে ব্যাপক সহিংসতায় আওয়ামীলীগের ক্রান্তিকাল চলে আসলে মহানগরের ১৭টি ওয়ার্ডে কমিটি থাকা নেতাদের দায়সারা মনোভাব ও নেতৃত্বের অযোগ্যতা ভাবিয়ে তুলেছে তৃণমূলকে। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহার নেতৃত্বের ব্যর্থতার দায় আকাশচুম্বি হওয়ায় মহানগরের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি ১৭টি ওয়ার্ডের কমিটি ফের সংস্কারের দাবি করছে তৃণমূল। 

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন