আরপি সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচনায় অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী

যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:০৩ পিএম

ঢাকা বিশ্বদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক ড.এ কে আজাদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান যুগ হচ্ছে আর্টিফিসাল ইন্টালিজেন্সের যুগ। মানুষ ভবিষ্যতে পুরোই এ আই নির্ভর হবে । পৃথিবীর মোট শ্রমের সিংহ ভাগ দখলে নিবে এআই যেটাকে আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলি। আমরা জানি শক্তির কখনও বিনাশ হয় না, একটা রূপ থেকে শক্তি অন্য একটা রূপে রূপান্তরিত হয়। আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্সের যুগে ওয়ার্ক লোডই থাকবে না।
মেশিন গুলো এমন পর্যায়ে চলে যাবে যেখানে আমাদের কর্তৃত্ব থাকবে না। সেখানে কোটেশন অনুযায়ী হিসাব হবে। সেটা মানুষ হোক বা বানর। মেশিন তো মেশিনই। সে বুদ্ধিমান মানুষ বা বানরকে এক জায়গাতেই চিন্তা করবে। সেখানেই মানবিকতার প্রশ্ন আসে। এ সব বিবেচনা করেই অনেকে এআই কোম্পানী গুলি থেকে রিজাইন দিয়ে ছিলো।
তিনি রণদা প্রসাদ সাহা সম্পর্কে বলেন, '৭১ সালে পাকিস্তানি হায়েনারা যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিলো ৩০ লক্ষ শহীদের মধ্যে রণদা প্রসাদসাহা ও তার ছেলেও একজন। ড.এ কে আজাদ রণদা প্রসাদ সাহাকে আপেলের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস আর বিল গেটসের চাইতেও বড় আখ্যায়িত করে বলেন, কারণ তারা নানান সম্ভাবনাময় দেশে থেকে বড় হয়েছেন। আর আরপি সাহা ভঙ্গুর একটা দেশকে শিক্ষা,স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের এক উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গেছেন একাই।
দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার ১২৭তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের পরিচালক ওমর ফারুক।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রনদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মণীন্দ্র কুমার রায়। উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান শ্রীমতি সাহা, কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা, কুমুদিনী'র পরিচালক মহাবীর পতি।