Logo
Logo
×

নগরের বাইরে

আড়াইহাজারে কোরবানীর পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারীরা

Icon

এম এ হাকিম ভূঁইয়া

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২১, ০৯:১২ পিএম

আড়াইহাজারে কোরবানীর পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারীরা
Swapno

আড়াইহাজারে কোরবানীর পশু নিয়ে দুশ্চিতায় পড়েছেন খামারীরা। ঈদের বাকী আর মাত্র কয়েকদিন। কিন্তু এখনো স্থানীয় পশু’র হাটগুলো জমায়েত নিয়ে কোন খবর নেই খামারীদের কাছে। পশু’র হাট বসবে কি বসবে না। এ নিয়ে চলছে দু’টানা। এতে হত্যাশায় রয়েছেন স্থানীয় খামারীরা।

 

আড়াইহাজার উপজেলা প্রাণী সম্পাদ অধিদপ্ত সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৬০ হাজারেরও অধিকসংখ্যক কোরবানীর পশু উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এবছর মোটাতাজা করুন করা হয়েছে। এর বাইরেও বিপুল সংখ্যক পশু এবার মোটাতাজা করা হয়েছে। এদিকে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এবছর ২১টি অস্থায়ী হাটের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি। 

 


সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বরবারের মতোই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খামারীরা কোরবানীর পশু মোটাতাজা করুন করছেন। তারা প্রস্তুত রয়েছেন পশু নিয়ে হাটে আসবেন। কিন্তু দিন যতই ঘনিয়ে আসছে তাদের দুশ্চিতা ততই বাড়ছে। হাট বসার কোন খবর নেই খামারীদের কাছে। পশু বিক্রি না হলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে তাদের। দীর্ঘদিন ধরে তিল তিল করে জমানো টাকায় পশু মোটাতাজা করেছেন তারা। এক সঙ্গে টাকা উঠে আসলেই তারা খুশি। কোরবানীর মোটাতাজা করে বিক্রির আয় দিয়েই বছর জুড়ে চলে অনেকের সংসার।

 

স্থানীয় ফতেপুর ইউনিয়নের লতব্দী এলাকায় প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এবছর পশু মোটাতাজা করছেন। প্রতিটি বাড়িতেই ২-৪টি পশু রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে এসব পশু সময় মতোই হাটে নিয়ে যাওয়া হতো। এখন করোনা পরিস্থিতির কারণে তা হয়ে উঠছে না। খামারী হোসেন আলী জানান, তিনি এবছর দুইটি কোরবানীর পশু বাড়িতে মোটাতাজা করেছেন। এতে তার মোটা অংকের টাকা খরচ হয়েছে। গেলো বছরের চেয়ে এবছর খরচ বেশি হয়েছে। গো-খাদ্যের দাম বেশী। তাই খরচও হয়েছে অতিরিক্ত। তার পরও আশায় রয়েছেন পশু দুটি সময় মতো বিক্রি হলে একসঙ্গে টাকা হাতে এলেই তিনি খুশি।

 

তিনি আরও বলেন, ‘আমি শঙ্কায় রয়েছি। স্থানীয় পশু’র হাটগুলো এবছর সময় মতো বসবে কিনা। হাটে পশু তুলতে না পারলে বিক্রি হবে কিভাবে। সময় মতো বিক্রি করতে না পারলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’ এমন আক্ষেপ ও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এই এলাকার অন্য খামারীরাও। এদিকে আড়াইহাজার পৌরসভা পশু’র হাটের দায়িত্বে থাকা ৮নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য জাকির হোসেন বলেন, কোরবানীর পশুর হাট বসানো নিয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। এবছর হাট বসানো যাবে কি না তা নিয়ে সবাই শঙ্কায় রয়েছি।

 

আড়াইহাজার উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আবু কাউসার আহমেদ বলেন, প্রায় ৬০ হাজারেরও অধিকসংখ্যক পশু এবছর মোটাতাজা করুন করা হয়েছে। পশু’র হাট বসানো না গেলে লোকসানের মুখে পড়বে খামারীরা। এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ হোসেন বলেন,‘পশু’র হাটের অনুমোদন এখনো হয়নি। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি রুপ রেখা (গাইড) লাইন দেওয়া হয়েছে। হাটের অনুমোদন দেওয়া হলে আমরা ইজারাদারদের নিয়ে বসবো।’
 

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন