Logo
Logo
×

রাজনীতি

ওসমানদের দেখভাল করছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী

Icon

ইউসুফ আলী এটম

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:০৮ পিএম

ওসমানদের দেখভাল করছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী
Swapno

 

নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারের দেখভাল করছেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং শেখ হাসিনা। আজ থেকে সাড়ে নয় বছর আগে জাতীয় সংসদে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এই পরিবারের পাশে থাকবেন বলে কথা দিয়েছিলেন। তখন থেকেই তিনি প্রতি পদে পদে তার কথা রেখে চলেছেন। অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ওসমান পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।

 

এই পরিবারের দুই সহোদর সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের বিজয় নিশ্চিত করতে কৌশলী হতেও দ্বিধা করেননি। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে শামীম ওসমানকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিলেও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নৌকার কোন প্রার্থী দেয়া হয়নি। ওই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেলিম ওসমানকে জিতিয়ে আনতেই এই কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে বলে জোর গুঞ্জন রয়েছে।

 

তো কী কারণে শেখ হাসিনা ওসমান পরিবারের পাশে থাকার কথা বলছেন, সে কথা তার ভাষণেই রয়েছে। ওসমান পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের বড় সন্তান সংসদ সদস্য প্রয়াত নাসিম ওসমানসহ বিশিষ্টজনদের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে ওসমান পরিবার নিয়ে তিনি নাতিদীর্ঘ স্মৃতিচারণ করেন।

 

তিনি বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য-এ পরিবারটি বারবার আঘাতের শিকার হয়েছে। আইউব-ইয়াহিয়ার শাসনামলে, মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে এ পরিবারের ওপর আঘাত হয়েছে। যখন যে সরকার এসেছে কখনো না কখনো এ পরিবারের ওপর হামলা-নির্যাতন করেছে।’

 

নাসিম-সেলিম-শামীম ওসমানের পিতা, ওসমান পরিবারের দ্বিতীয় প্রজন্ম একেএম শামসুজ্জোহা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে আমরা  অসহায় অবস্থায় ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছিলাম। জোহা কাকা ’৭৮ সালে জেল থেকে মুক্ত হয়েই কাকীসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে দিল্লী গিয়েছিলেন। অল্প যে কয়জন আমাদের খবর নিতেন জোহা কাকা তাদের মধ্যে অন্যতম। নাসিম ওসমান ১৫ আগস্ট বিয়ের রাতে তার নববধূকে বাসায় ফেলে রেখে জাতির পিতার হত্যার প্রতিশোধ নিতে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।

 

আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা হয় এই ওসমান পরিবারে। এখনো দল গঠন ও বিভিন্ন কর্মসূচিতে এই পরিবার অবদান রেখে যাচ্ছে। রাজনীতির নীতি আদর্শ নিয়ে চলতেন জোহা কাকা। এই পরিবারের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক ছিলো সবসময়। যদি তাদের প্রয়োজন হয় দেখা শোনা করবো।’ 

 

প্রধানমন্ত্রীর দেখভালের আশীর্বাদ থাকায় দুইভাই এখন ফাঁকা মাঠে নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে যাচ্ছেন। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বেশ জোরেসুরেই শ্রমিক লীগের কাউসার আহমেদ পলাশের নাম শোনা যাচ্ছিলো। কিন্তু শেষমেস শামীম ওসমানের জাদুকরি ভেল্কিচালে তিনিও কুপোকাৎ হয়ে যান। শামীম ওসমানকে সমর্থন দিয়ে তিনি নির্বাচনী মাঠ ত্যাগ করেন। শামীম ওসমানের বিজয় এখন শুধুই সময়ের ব্যাপার।

 

অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের কোন প্রার্থী না থাকায় সেলিম ওসমানও বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। নারায়ণগঞ্জের এ দুইটি আসনে নির্বাচনী আমেজ নেই বললেই চলে। ভোটারদের মধ্যেও কোন আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। ভোটের দিন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। এ কারণে কেন্দ্র ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর যাবতীয় কৌশল নেয়ার তাগিদ অনুভব করছেন ওসমান ভ্রাতৃদ্বয়। এস.এ/জেসি
 

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন