
পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে এড. জাকির হোসেন ‘কারাবরণকারী’ নেতার খেতাব পেয়ে জাতে ওঠেছেন বলে মনে করছেন তার কয়েকজন সহকর্মী। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির পদত্যাগকারী কিছু নেতা বলছেন, এটা জাকিরের পাতানো খেলা। জাকির এক সময় তাদের সাথেই ছিলেন।
জাকিরের চরিত্র সম্পর্কে তাদের চাইতে বেশি আর কে জানে! তিনি খুব উচ্চাভিলাষী লোভী এবং অস্থিরচিত্তের মানুষ। তার মেজাজও খুব রুক্ষ। কোর্টচত্বরে তিনি ‘খাই খাই জাকির’ হিসেবেই বেশি পরিচিত। আর এর কারণেই তিনি আমাদের কাছ থেকে ডিগবাজি খেয়ে নিজের ফেলে দেয়া থুথু চাটতেও দ্বিধা করেননি।
এড. জাকির হোসেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। জানা যায়, তাকে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত করেন তার নিকটাত্মীয় ও বিএনপির প্রয়াত নেতা আলহাজ্ব জান্নাতুল ফেরদৌস। বিএনপির ডাকা হরতালে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ, গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ মামলায় গত সোমবার নগরীর দুই নং রেলগেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা সূত্রে প্রকাশ।
কিন্তু বিএনপির পদত্যাগকারী নেতাদের মতে, হরতাল কিংবা অবরোধে রাজপথের কোন মিটিং মিছিল বা পিকিটিংয়ে জাকিরের ছায়াও কেউ দেখেনি। তিনি খুবই ভীতু প্রকৃতির। পুলিশ দেখলেই তো দৌঁড়ে পালান। শরীর বেশি মোটা বলে মিটিং মিছিলও এড়িয়ে চলেন। কথা বললে মনে হয় ঝগড়া করছেন। ভবিষ্যতে যাতে নিজের নামের সাথে ‘কারাবরণকারী নেতা’ লিখতে পারেন সেই বাসনা থেকেই তিনি স্বেচ্ছায় পুলিশের হাতে নিজেকে সপে দিয়েছেন। তিনি জাতে ওঠার নাটক করেছেন। এস.এ/জেসি