
♦ তৈমূরকে নিয়ে সমালোচনা থামছে না, সকলের প্রশ্ন কি পেয়েছেন তিনি?
বিএনপির নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীরা মনে করেন তাকে ঠিকই চিনেছে গোয়েন্দারা। টোপ যে তিনি গিলবেন সেটা বুঝতে পেরেই তাকে টোপ দেয়া হয়েছে। তবে এখন তিনি কোন আসন থেকে নির্বাচন করবেন এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে। কারণ তিনি নাকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দুটি আসনই চাইবেন। আর আসন দুটি হলো মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর রূপগঞ্জ আসন এবং সেলিম ওসমানের নারায়ণগঞ্জ সদর আসন।
তবে এই দুটি আসনের মাঝে কেনটি তৈমূর আলম খন্দকারকে দেয়া হবে এটি এখনো পরিষ্কার নয় বলে মনে করেন অনেকে। তবে একটি কিছু দেয়ার আশ্বাস দিয়ে যে তৈমুর আলম খন্দকারকে এই তৃণমূল বিএনপিতে নেয়া হয়েছে এটা এখন সকলের কাছেই পরিষ্কার। তবে তাকে কোনো আসন না দিয়ে মোটা অংকের টাকা দেয়ার কথাও বলছেন অনেকে। আর কোনো আসন না দিলে পরে হয়তো তাকে মন্ত্রী বানানোর আশ্বাস দেয়া হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। এছাড়া নগদ টাকা দেয়ার সম্ভাবনা তো রয়েছেই।
তাই তিনি তৃনমূল বিএনপিতে যোগ দেয়ার পর থেকেই নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ বেশ পরিষ্কার করেই বলছেন তিনি সরকারের টোপ গিলেছেন। সরকার বিএনপিকে বাদ দিয়ে আর তিন মাস পরে যে নির্বাচনটি করতে চায় সেই নির্বাচনে অংশ নেবে তৃনমূল বিএনপি এবং প্রার্থী হবেন এডভোকেট তৈমূর। আর এই ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জের একটি আসনে তিনি নির্বাচন করবেন এবং নির্বাচিতও হবেন। বিগত দুটি নির্বাচনের মতো এবারের নির্বাচনেও দেশের জনগণ ভোট দিতে পারবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
নিশ্চয়ই সরকারের কাছ থেকে এমন নিশ্চয়তা পেয়েই তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু সেলিম ওসমানের সাথে যদি তার প্রতিদ্বন্দ্বীতা হয় তাহলে কি হবে? তিনি কি সেলিম ওসমানের সাথে জিতবেন? এই প্রশ্নের সোজা উত্তর হলো না। কারণ বিএনপির ভোটাররা আর তৈমূরকে ভোট দেবে না। গত কয়েক দিন ধরে তৈমুরকে নিয়ে এমন আলোচনাই চলছে সর্বত্র।
নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা মনে করেন তৈমুর আলম সরকারের সাথে আলাপ আলোচনা করেই তৃনমূল বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। তাকে নিশ্চয়ই আসন্ন নির্বাচনে এমপি বানানোর টোপ দেয়া হয়েছে। কারণ বিএনপির নামের আগে তৃণমূল লাগিয়ে তিনি এই নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন। এতে তার দুটি লাভ হতে পারে। ১) তিনি সরকারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা পেতে পারেন। ২) তাকে নারায়ণগঞ্জের একটি আসনে এমপি বানানো হতে পারে।
এই ধরনের লোভ দেখানো না হলে এমনি এমনি তৃণমূল বিএনপিতে তার যোগ দেয়ার কথা নয়। আরো মনে করেন সরকার এখন পর্যন্ত দেশে একটি পাতানো নির্বাচন করার পথেই হাটছে। সরকার চাইছে বিএনপিকে বাদ দিয়ে একটি নির্বাচন করতে। কিন্তু এ দেশে কোনো নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অংশ না নেয় তাহলে সেই নির্বাচন গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। যদিও সরকার মনে করছে এবারও যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমাদেরকে বোকা বানানো সম্ভব হবে।
জাতীয় পার্টির পাশপাশি তৃনমূল বিএনপিকে কিছু আসন দিয়ে সরকার পশ্চিমাদের কাছে প্রমাণ করতে চাইবে যে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক এবং সুষ্ঠু হয়েছে। সরকারের এই পরিকল্পনারই অংশ হলেন এডভোকেট তৈমুর। তাই শেষ পর্যন্ত সরকার যদি বিএনপি বাদ দিয়ে একটি নির্বাচন করতে সক্ষম হয় তাহলে এডভোকেট তৈমুরের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
তাহলে সেই ক্ষেত্রে মাইনাস হবেন এই আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমান। তবে দিনে দিনে পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে সরকারের এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন নাও হতে পারে বলে সাধারণ মানুষের অনেকে মনে করেন। কারণ যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা বিশ্ব এবার যেভাবে মাঠে নেমেছে তাতে সরকার সহজে পার পাবে না বলেই ধারনা করা হচ্ছে। এস.এ/জেসি