Logo
Logo
×

রাজনীতি

খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার আবেদন নাকচ,ক্ষুব্ধ না.গঞ্জের নেতৃবৃন্দ

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:৪৪ পিএম

খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার আবেদন নাকচ,ক্ষুব্ধ না.গঞ্জের নেতৃবৃন্দ
Swapno


বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে উত্তপ্ত হয়ে আছে বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গন এর আগে বিএনপির মহ-সচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের চেয়ারপার্সনকে বিদেশে নিয়ে উন্ন্তি চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে সরকারকে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন কিন্তু কোন পথায় তাদের কাজে আসছিলো না।

 

 

এদিকে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে স্থায়ী মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন দলটির নেতৃবৃন্দ কিন্তু এই আবেনটি নানা বিষয় দেখিয়ে নাচক করেছে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। যা নিয়ে বর্তমানে বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজমান রয়েছে।

 

 

দলটির নেতাকর্মীরা বলছে, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়ে সরকারের বর্তমান ভ‚মিকায় আইন কম রাজনীতি বেশি, ডিবষয়টি মানবিক হলে ও সরকার তা নিয়ে রাজনীতি করছে তারা আরো বলছে চেয়ারপার্সনের বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ নিশ্চিত করতে এখন বর্তমান সরকারের পতন ছাড়া কোন বিকল্প নেই বলছে দলটির নেতাকর্মীরা।

 

 

এছাড়া ইতিমধ্যে বিএনপির নেতকার্মীরা তাদের চেয়ারপার্সনের আশু রোগ মুক্তি ও বিদেশে উন্নতি চিকিৎসার দাবিতে ইতিমধ্যে দফায় দফায় দলীয় কর্মসূচি পালন করেছে দলটির নেতকার্মীরা। ইতিমধ্যে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা আসলে আবারো রাজপথে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে দেশের বাহিরে নিয়ে যাওয়ার জন্য দূরবার আন্দোলন গড়ে তুলবে।

 

 

এর আগে গত ৯ আগস্ট থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া। ৭৮ বছর বয়সি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি ও লিভার জটিলতায় ভুগছেন। তার লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশ নিয়ে চিকিৎসার আবেদন করেছিলেন পরিবার।

 


এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ¦ গিয়াস উদ্দিন যুগের চিন্তাকে বলেন, বাংলাদেশের সাবেক তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে নিয়ে এই সরকার রাজনৈতিক খেলা খেলছে। যার কারণে তাকে বর্তমানে দেশের বাহিরে সুচিকিৎসার জন্য অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।

 

 

এদিকে কিন্তু দেশনেত্রীকে বাহিরে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর বিষয়টা নাগরীক দাবিতে পরিণত হয়েছে। এই সরকার বর্তমানে মানবিক বিরোধী হয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতিতে চালিয়ে যাচ্ছে।

 

 

তারা খালেদা জিয়াকে ভয় পায়, জিয়ার পরিবারকে ভয় পায়, যার কারণেই তাদের এই ধরনের কর্মকান্ড তারা মনে করছে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিলে সে বাহির থেকে সুস্থ হয়ে আসলে তার নেতৃত্বে বিএনপি আরো শক্তিশালী হয়ে দূরবার আন্দোলন চালু করবে, আর সেই আন্দোলনে এই  স্বৈরাচারির পতন হবে এমনই ভয় তাদের মনে কাজ করছে।

 

 

তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কিন্তু শুধু বিএনপির চেয়ারপারসন নয় উনি স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের সহধর্মিনী তাকে এভাবে এই সরকার সুচিকিৎসা থেকে দূরে রাখা গ্রহণযোগ্য বলে আমরা মনে করছি না। আর আমার এই ধরনের বিষয়ে বিচ্ছুলিত নয় কারণ হলো এই সরকারের আচরণটাই এমন স্বৈরাতান্ত্রিক।

 


মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান যুগের চিন্তাকে বলেন, দেশে বর্তমানে কোন আইনের শাসন নাই এবং এই সরকার স্বৈরাতান্ত্রিক কায়দায় দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান বিচার আদায় থেকে শুরু করে সকল জায়গায় তারা দলীয় রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে।

 

 

আর বেগম খালেদা জিয়ার যে বিষয়টা এটা অনেকটাই মানবিক বিষয় ৪০১ ধারায় তাকে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে সেখানে এই সরকার মুক্তি দেওয়ার ক্ষমতাটা ব্যাবহার করতেছে না। সরকার খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনায় বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে যে আদেশটা দেওয়া হয়েছে সেখানে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে যে সে বিদেশে যেতে পারবে না।

 

 

আসলে এই কথাটা যদি প্রয়োগ করা না হতো তাহলে তাকে বিদেশে নিতেকোন অসুবিধা ছিলো না।  আর গতকালকের আইন মন্ত্রানালয়ের যে সিদ্ধান্ত এই সিদ্ধান্তটা বর্তমানের প্রধাণমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিধ্বনি উনি আমেরিকায় প্রবাসীদের ব্্িরফিংয়ে যে বক্তব্যে দিয়েছিলেন সেখানে উনি বলছে যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে না।

 

 

আর যদি এটা হয় তাহলে তাকে এখন জেলখানায় নিয়ে গিয়ে আদালতের মাধ্যমে এই অনুমিত নিতে হবে। তার এই বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করেছেন আইনমন্ত্রনালয়, আর বর্তমানে শেখ হাসিনার নির্দেশেই সকল মন্ত্রনালয় প্রচলিত হয়।

 

 

আর বর্তমান সরকার চায় খালেদা জিয়ার জেলখানায় মৃত্যু হোক, আর বর্তমান তার যে অনসুস্থতা সেটা ও এই সরকারের সৃষ্টি কারণ আমরা মনে করি খালেদা জিয়াকে স্নোপোয়জিন করা হয়েছে জেল খানায় থাকাকালীন আর এটা যদি বিদেশে তাকে নেওয়া হয় সেই বিষয়টা বেড় হয়ে আসবে।

 

 

আর সেই জিনিসটা যাতে বেড় হতে না পারে হয়তো এই জন্যই সরকার তাকে বিদেশে নিয়ে যেতে অনুমতি দিচ্ছে না। আর বর্তমানে এই সরকার বেগশ খালেদা জিয়াকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে তাকে জেলখানায় মৃত্যুর মুখে ফেলে দিয়েছে আর জেলাখানায় তার মৃত্যু হোক এমনটাই সরকার চায়।

 

 

এই অবস্থায় আমরা মনে করি এই সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি কখানো দিবে না। তাই আমরা বলতে চাই বর্তমানে দেশের মানুষের উচিত ১ দলীয় শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দূরবার আন্দোলন গড়ে তোলা এবং এই সরকারকে পদত্যাগ করিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা।

 


বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু যুগের চিন্তাকে বলেন, এই সরকার দফায় দফায় যে কার্যকালাপ করে যাচ্ছে এটা গ্রহণযোগ্য নয়। তারা দেশের গণতন্ত্রের পাশাপাশি দেশের আইনী ব্যবস্থা ও হরণ করে রেখেছে। তার এমন কর্মকান্ডে দেশের সকলের চোখে এই সরকারের স্বৈরাচারিতা প্রকাশ পাচ্ছে।

 

 

এছাড়াও সকলে যানে হাজী সেলিম ছিলেন একজন দ্ব›দ্বনীয় আসামী কিন্তু তাকে ও এই সরকার বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমতি দিয়ে ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে আমাদের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু এই সরকার তার স্বৈরাচারী কর্মকান্ডের বহি-প্রকাশের মাধ্যমে দেশনেত্রীর বাহিরে সুচিকিৎসার বাধা হয়ে দাড়িঁয়েছে।

 


মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু যুগের চিন্তাকে বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী একজন প্রতিহিংসার পরান এবং হিংসাম্ভিত লোক।

 

 

কারণ একজন ৭৫ বছরের উপরের বৃদ্ধা ও তিন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা মামলা দিয়ে, কেঙ্গারু আদালতে সাজা দিয়েছে কিন্তু আইনে ৪০১ ধারায় সাজাস্থগিত ও সাজা মৌকুফের ব্যবস্থা আছে এবং ৪০২ ধারায় রদবদল করা যায় ৪০১ ও ৪০২ ধারায় সরকার যে কোন সময় খালেদা জিয়ার সাজা মৌকুফ করে তাকে বিদেশে পাঠানোর অনুসতি দিতে পারে আবার সাজা কমিয়ে রদবদল দেওয়ার অনুমতি দিতে পাওে কিন্তু এই সরকার যানে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যদি কেঙ্গুারু আদালত থেকে মুক্তি পায়।

 

 

তাহলে বিদেশ থেকে সুচিকিৎসা করে এসে এইসরকারের বিরুদ্ধে যদি আন্দোলন করে তাহলে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হবে।

 


জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন যুগের চিন্তাকে বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যেই দেশের বাহিরে সুচিকিৎসার জন্য যেতে দেওয়া হচ্ছে না। বর্তমানে এই আওয়ামী লীগ সরকার তারা যেভাবে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে।

 

 

এভাবেই বিএনপির চেয়ারপার্সনকে হত্যার নীল নকশা তৈরি করছে, আমরা বিএনপির নেতাকর্মী ও দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে অচিরেই এই সরকারের পতনের ঘন্টা বাজাবো আর দেশের গণতন্ত্র দেশের মানুষের কাছে ফিরিয়ে দিবো।

 


জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি যুগের চিন্তাকে বলেন, এই সরকার আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পায়, আর তারা চায় না, আমাদের দেশনেত্রী ভালো হয়ে তাদের পরিবারের কাছে ফিরে আসুক। এই সরকার শুধু তাদের ভালোটাই বুঝে এছাড়াও দেশের মানুষের কোনটা সুবিধা, কোনটা অসুবিধা তা তিনি দেখেন না বুঝতে চান না।

 

 

এই সরকারের নিকট আমরা যখন যা দাবি করেছি তখনই তারা সে জিনিসটা আমাদের দিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। তাদের কাছে শুধু তাদের চাহিদার মূল্যেই বেশি আর বাহিরের যে কি চাইলো সেটা দেখার সময় তাদের নেই। তাই আমরা এই সরকারের কাছ থেকে কিছু আশা করতে পারি না। আমরা দেশের জনগণকে নিয়েই দূরবার আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাবো আর দেশ নেত্রীকে মুক্তি করবো।

 


মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব শাহেদ আহম্মেদ যুগের চিন্তাকে বলেন,  এই স্বৈরাচারি সরকার থেকে কিছু পাওয়ার আশা করা যায় না। তারা শুধু এই দেশকে কিভাবে লুটে পুটে খাইবো এবং দেে কিভাবে দূর্নীতি করবে এটা নিয়ে ব্যস্ত থাকে।

 

 

আর আমাদের দেশনেত্রী তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ও দেশে অনেকবার গণতন্ত্র পূর্ণউদ্ধার করেছেন আর এই নেত্রীকে তারা অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। তারা ভয় পায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা হলে ও ভালোভাবে সুস্থ হলে দূরবার আন্দোলনের মাধ্যমে এই দেশ থেকে স্বৈরাচারি বিদায় করবে।   এন.হুসেইন রনী /জেসি

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন