শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪   শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

গিয়াসউদ্দিনের অনুপুস্থিতিতে গ্রুপিংয়ের রাজনীতি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৯ জুন ২০২৪  

 

 

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির সকল প্রকারের কর্মকান্ডে স্থবিরতা ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে যাকে ঘিরে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে বিএনপি অনেকটাই দূর্বল হয়ে পরছে। সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের আগে সংগঠন গোছানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও পরিপূর্ণভাবে তা করতে ব্যর্থ দলটি। এদিকে বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনে বেশির ভাগ আংশিক আহ্বায়ক কমিটি রয়েছে সকল আহ্বায়ক কমিটিগুলো ধীরে ধীরে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে পরছেন। 

 

তা ছাড়া কমিটি গঠনে স্থানীয় প্রভাবশালীদের তৎপরতা কিংবা কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের কারণে প্রবল হয়েছে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও গ্রুপিং। যার প্রভাব পড়েছে বিগত দিনের আন্দোলনেসহ বর্তমান পরিস্থিতিতেও। এদিকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে হরতাল, অবরোধ, গণসংযোগ কর্মসূচিতে মাঠে দেখা যায়নি নারায়ণগঞ্জের বহু শীর্ষক নেতাদের। যা নিয়ে তৃণমূলেও ক্ষোভ-অসন্তোষ বিরাজ করছে।

 

 এদিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, সোনারগাঁ, আড়াহাজার, সদর-বন্দর, ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জকে চলছে গ্রুপিংয়ের রাজনীতি। তা ছাড়া বিএনপির বহু নির্বাহী কমিটির নেতাকর্মীদের দখলে চলে গেছে বিএনপি সকলেই যার যার অবস্থান থেকে তাদের আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে তৈরি করছে গ্রুপিং। এদিকে বিগত দিনে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির পুরোই দখলে ছিলো বিএনপি নেতা মতিন চৌধুরী, তৈমূর আলম খন্দকারের কাছে। তাদের একটি বিশাল বলয় তৈরি হয়েছিলো নারায়ণগঞ্জে।

 

 কিন্তু বর্তমানে জেলা দায়িত্ব বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নর্িাহী কমিটির সদস্য দিপু ভূঁইয়ার আন্ডারে দিলে ও তাকে মানছে না বহু নেতাকর্মী। যে কারণে বর্তমানে দলে সৃষ্টি হচ্ছে গ্রুপিং। তা ছাড়া মহানগর বিএনপি বিগত দিন থেকেই বন্দরের জালাল হাজী পরিবারের দখলে ছিলো। কিন্তু বর্তমানে তারা রাজনীতি থেকে অনেকটাই মাইনাস হওয়ার পথে হওয়ায়। বর্তমানে মহানগর বিএনপিসহ সকল অঙ্গসংগঠনের কলকাঠি নাড়াচ্ছেন।

 

 বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। এদিকে আজাদের দখলেই রয়েছে আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি। এই আজাদের কারণে সাইড পাচ্ছে না মাহমুদুর রহমান সুমন, আতাউর রহমান আঙ্গুর, পারভীন। কিন্তু সোনারগাঁয়ে বা রূপগঞ্জে আজাদ বেশি একটি জনপ্রিয়তা লাভ না করলে ও সেখানে বলয় সৃষ্টি পায়তারা করে যাচ্ছেন তিনি। 

 

এদিকে বর্তমানে জেলাতে ঢুকতে ফতুল্লার দিকে আজাদের ইউটার্ন। তা ছাড়া জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ¦ গিয়াস উদ্দিন কারাগারে থাকায় জেলাজুড়ে খন্ডিত বিতর্কিত গ্রুপিংগুলো গর্জে উঠেছে। তা ছাড়া ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের একটি আলাদা শক্তিশালী বলয় রয়েছে। যারা  বর্তমানে গিয়াসের বিপক্ষদের সাথে থাকলে ও তিনি কারামুক্ত হলে সব ফেলে আবারো গিয়াসমুখী হবে নেতাকর্মীরা।

 

জানা গেছে, ২৮ অক্টোবরের পর থেকে ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরদিন পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলনকে যারা মূল্যায়ন করে মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন। তাদের এবার কেন্দ্রীয়ভাবে মূল্যায়ন করতে চলছে নানা আলোচনা। ইতিমধ্যে তা ছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি থেকে শুরু করে তাদের সকল অঙ্গ সংগঠনের কমিটি নতুন করে হলে ও একটির মধ্যে ও নেই ঐক্যর প্রভাব। 

 

তা ছাড়া অনেকে কমিটিতে স্থান পেয়ে ও পাত্তা দেয় না সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে। যা নিয়ে দ্বন্দ্বে জর্জরিত হয়ে আছে দলটি। সেদিকে ও ব্যাপক আকারে দলীয় হাই কমান্ডের লক্ষ্য রয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তা ছাড়া তারা আরো দাবি করছেন শীগ্রই দলীয় নানা সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে বহু অঙ্গসংগঠন ভেঙ্গে দিয়ে আবারো রাজপথে কর্মী দিয়ে সংগঠন চালানো হবে। 

 

এদিকে বিএনপির সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ে আলোচনা করা হলে সকলেই বিএনপিকে একটি কৌশলী দল হিসেবেই আখ্যা দিচ্ছেন। এর মধ্যে যারা বিএনপির পরিশ্রমী কৌশলী নেতা তারাই রাজপথে টিকে থাকবে আর যারা দলে দিধাদ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে সুবিধা আদায়ে কৌশলী তারা ব্যাকফুটে পরে যাবে। 

 

বর্তমানে জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস কারাগারে গিয়ে একটি নতুন ছকের কবলে পরেছেন, তা তিনি জানতেন না। যে কারণে তার জামিন হওয়া সত্ত্বে ও প্রশাসন ও নিম্ন আদালত তাকে কারামুক্ত করছেন না, এমনটাই বলেছিলেন গিয়াসের মামলার এড. সাখাওয়াত হোসেন খান। এদিকে সূত্র মতে ধারনা করা হচ্ছে। গিয়াসকে কারাগারে বন্দী রেখে সংগঠনে কোন একটি অপশক্তি কলকাঠি নাড়াতে চাচ্ছে এমন আভাস ভেসে আসছে।

 

এই বিভাগের আরো খবর