Logo
Logo
×

বিশেষ সংবাদ

গোগনগরের সন্ত্রাসী কাশেম ও রানার অস্ত্র উদ্ধার চেয়ে অভিযোগ

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৬ পিএম

গোগনগরের সন্ত্রাসী কাশেম ও রানার অস্ত্র উদ্ধার চেয়ে অভিযোগ
Swapno

 

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হাওয়া বইছে। বিএনপি অবরোধের কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনে রয়েছে। তবে অভিযোগ রয়েছে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্রের মহড়া হচ্ছে। তার মাঝে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়নের চর সৈয়দপুর এলাকার কাশেম সম্রাট ও রানার বাহিনী অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে। একই সাথে রানার অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবী জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ তাদের অস্ত্র উদ্ধারে প্রশাসনের তৎপর নেই। এছাড়া গোনগরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী কাশেম সম্রাট ও রানা বিাহনীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা থেকে শুরু করে, চাদাঁবাজি, ছিন্তাই মাদককারবারি মামলা রয়েছে।

 

এদিকে স্থানীদের অভিযোগ তাদের অপকর্মে গোগনগর এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে রয়েছে। এছাড়া রানার অবৈধ অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়ায় এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। তাই তাদের অপকর্ম থেকে রক্ষা পাওযার জন্য গোগনগর ইউনিনের সংরক্ষিত নারী মেম্বার নিলুফা বেগম সন্ত্রাসী রানাকে গ্রেপ্তার করে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য মালিবাগ সিআইডি অফিসে আবেদন জানান। একই সাথে নারায়ণগঞ্জ র‌্যাব ১১ নিকট তার অনুলিপি আদেন জানিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের দাবী জানান। এর আগে এই বছরের ২১ জুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় অভিযোগ দেয়া হয় তাদের বিরুদ্ধে। 

 

নিলুফা মেম্বারের অভিযোগে বলা হয়, ২০২২ সনের ১৫ মার্চ গোগনগরের ৭,৮,৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য নিলুফা বেগমের বাড়ির সামনে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলা চালায়। হামলার এক পর্যায় রানার হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি গুলি চালালে তখন তিনি গুলিবিদ্ধ হন। এই ঘটনায় স্থানীয় এবং জাতীয় গণমাধ্যমে বড় আকারে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এমনকি এই ঘটনায় তখন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় কাশেম সম্রাট, রানা সহ প্রায় ৮ জনের নাম উল্লেখ্য করে মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নম্বর ০১।  

 

এলাকাবাসী জানান,  দৌলত মেম্বারের ছেলে কাশেম সম্রাট,  রানা, মো. বাবু, মো. মহসিন, শাহ পরান, কাশেম সম্রাটের ভাই ফয়সাল, কবির মিলে আমার উপর হামলা চালায়। এখনো বিভিন্ন সময় রানা অস্ত্র সহ বাহিনী নিয়ে এলাকায় মহড়া দেয়। এই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ভয়ে এলাকার মানুষ জন ভয়ে আতঙ্কে সময় কাটাচ্ছে। তাই তাদের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবী তুলেছেন গোগনগরের স্থানীয়রা। সেই সাথে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গোগনগরের জসিম হত্যা মামলায় কাশেম সম্রাট ১৬৪ ধারা হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়ে জবান বন্দি দিয়েছে। জবান বন্দিতে কাসেম বলেন, ২০১৬ সনের ২৪ ডিসেম্বর রাত ১২ টায় আমাদের অফিসে জসিমকে ডেকে আনি। শাহ পরান আমিনুল, মোশারফ তাকে অফিসের ২য় তলায় নিয়ে যায়। আমি ও শাহ পরান প্রথমে জসিমকে কিল ঘুষি মারি। শাহ পরাণ লাথি মেরে আঘাত করলে জসিম অজ্ঞান হয়ে পরে।

 

আমিনুলের জবানবন্দিতে বলেন, কাসেম সম্রাট একটি হাতুরি দিয়ে জসিমের মাথায় আঘাত করে। মোশারফ মেম্বার আমার মাফলার দিয়ে জসিমের গলায় পেঁচিয়ে ধরলে তখন সে নিস্তেজ হয়ে পরে। এই ঘটনা হত্যা মামলা করা হয় যার মামলা নং ৩৭। তাই স্থানীয়দের থেকে তাদের অপকর্মকে লাগাম টানতে অস্ত্র উদ্ধার সহ গ্রেপ্তারের দাবী জানানো হয়। তাছাড়া কাশেম সম্রাট ও রানার বাহিনীর বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। তারা মাদাক কারবারি করে যুব সমাজকে ধ্বংস করছে বলে জানান স্থানীয়রা। তাদের খুটির জোর কোথায় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন সচেতন মহল।

 

জানা যায়, এই বছরের ২৪ অক্টোবর হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মী উৎসবের দশমীর দিন রাতে কাসেম সম্রাট মদ খেয়ে মাতাল হয়ে শহরের বাস স্ট্যান্ডে বাসের হেল্পারদের সাথে মাতলামি করে তাদের উপর হামলা চালান। পরে এক পর্যায়ে বাস স্ট্যান্ডের হেল্পাররা তাকে গণধোলাই দেন। এ সময় কাসেম সম্রাট কোন রকমে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

 

জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনকল কেটে দেন। এস.এ/জেসি

 

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন