রোববার   ০৬ অক্টোবর ২০২৪   আশ্বিন ২১ ১৪৩১

গ্রুপিং-দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ছে বিএনপি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

 

 

বর্তমানে নেই কোন হামলা, মামলা আর গ্রেপ্তারের ভয়। প্রতিপক্ষবিহীন অনুকূল পরিবেশ পেয়ে এখন নির্ভয়ে রাজনীতির মাঠে রয়েছেন জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। নিজেদের অবস্থান জানান দিতে বিভিন্ন নেতার নেতৃত্বে এলাকায় এলাকায় চলছে মহড়া-শোডাউন। সেইসঙ্গে দৃশ্যমান হয়ে উঠছে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল (গ্রুপিং)। এদিকে রাষ্ট্রক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা লাপাত্তা।

 

 এমন পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির মাঠে এখন বিএনপির প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছে বিএনপিই। জেলা ও মহানগর বিএনপির বিভিন্ন উপজেলায় একাধিকভাবে বিভক্ত হয়ে কর্মসূচি পালন করছেন বিভিন্ন নেতার অনুসারীরা। ফলে দিন যতই গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে বিভাজন। তাছাড়া ও গত ৫ আগষ্ট পটপরিবর্তনের পরপরই গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় তাদের নেতাকর্মীদের দখলে থাকা হাট-ঘাট, ব্যবসা-বানিজ্যে, চাঁদাবাজির সেক্টর, বিভিন্ন সামাজিক ও সমিতি সংগঠনগুলো হাতিয়ে নিতে উঠে পরে লেগেছে একটি দল। 

 

যারা সকলেই বিএনপির নামেই আওয়ামী লীগের ফেলে যাওয়া সেই দুর্নীতির স্থানগুলো আকড়ে ধরছেন। এ ছাড়া ৫ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত চালিয়েছেন লুটত্বরাজ। তা ছাড়া বিভিন্ন গার্মেন্টস-ডাইং সেক্টর নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য দিয়ে চলছে দফায় দফায় চলছে সংঘর্ষ সবগুলোতেই ইতিমধ্যে নাম প্রকাশ্যে পাচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীদের। তা ছাড়া যে যার যার মতো করে নিজেদের বলয়ের নেতাকর্মীদের শক্ত অবস্থান জাগান দিতে চালাচ্ছে মহড়া সব মিলিয়ে বিএনপিতে হ-য-ব-র-ল অবস্থা লেগেই চলেছে। 

 

এমতা অবস্থায় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে জ্যেষ্ঠ নেতাদেরও কোনো প্রয়াস নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। ইতিমধ্যে বিএনপির বহু নেতাকর্মীদের নাম অপকর্মের শীর্ষ পর্যায়ে এসে পড়ায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মতো করেই মানুষের মন থেকে উঠে পরতে লেগেছে। এদিকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ হলে তারা বলেন, ‘বিএনপি অনেক বড় একটি রাজনৈতিক দল। এখানে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভিন্ন মত থাকাটাই স্বাভাবিক। 

 

সবাই দলকে ভালোবাসে বলেই দীর্ঘ ১৬ বছর অনেক নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করেছে, তবু দল ছেড়ে যায়নি। এখন সবাই একসঙ্গে মাঠে নেমেছে। সবার মধ্যে এক ধরনের প্রতিযোগিতা কাজ করছে। দলের স্বার্থে সবাই যেন ঐক্যবদ্ধ থাকে অবশ্যই সেদিকে আমাদের নজর থাকবে।’ তা ছাড়া যারাই অরাজনৈতিক কার্যকালাপে জড়িয়ে পরবে তাদের বিরুদ্ধে দল যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।


এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্যতম শিল্পাঅঞ্চল ফতুল্লা যেন পুরোই দখলে নিতে শুরু করেছে বিএনপির একাংশ নেতাকর্মীরা। এখানে ফতুল্লা ইউনিয়ন এনায়েতনগর ইউনিয়ন, কাশীপুর ইউনিয়ন, কুতুবপুব ইউনিয়ন এই সকল ইউনিয়নগুলোর হাট-ঘাট, নদী-পথ, ট্রাক স্ট্যান্ড, তেলের মেঘনা-যমুনা ডিপো, ইন্টারনেট-ডিস ব্যবসা, পাওয়ার হাউজ, বিচারের নামে প্রহসন, বিভিন্ন সংগঠন, মাসদাইর, বিসিকের গার্মেন্টস, ডাইং, রেল লাইন বটতলা থেকে শুরু করে শিবু মার্কেট পর্যন্ত গার্মেন্টস, ডাইং নিয়ন্ত্রণ, 

 

পাগলা ট্রাক স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সবগুলোর ওয়েস্টিজ, ঝুটসহ মাসিক চাঁদাবাজির আস্থানা তৈরি করছে বিএনপির বহু নেতাকর্মীরা তারা অনেকেই অনেকের নাম বিক্রি করছেন। আবার অনেকে নিজ এলাকায় আধিপত্য ধরে রাখতে জড়িয়ে পরছেন সংঘর্ষে। একইভাবে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আওতাধীন ১০টি ওয়ার্ডে রয়েছে বহু প্রকারের ব্যবসা যার মধ্যে অন্যতম ইপিজেড, তেলের ডিপো যা ইতিমধ্যে বহু গ্রপিংয়ের মাধ্যমে দখলে চলে এসেছে।

 

 একই সাথে বিদুুৎখাতসহ আশেপাশের ডিস ব্যবসা, ইন্টারনেট ব্যবসা, স্ট্যান্ড, ঘাট সব কিছুই দখলে রেখেছে বিএনপির কয়েকঅংশ নেতাকর্মীরা। অনেকে প্রশয় দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতাদের তাদের ব্যবসা বাঁচিয়ে দিয়ে নিচ্ছেন ৬৬ লাখ টাকা মূল্যের গাড়ি আবার ২ লাখ টাকা মূল্যের ফোন, আবার অনেকেই ইপিজেড থেকে কোটি টাকা অগ্রীম নিয়ে ও রেখেছেন, করছেন মামলা বানিজ্যে। একইভাবে বন্দর থানায় একজন প্রভাশালী বিএনপির নামধারী কাউন্সিলর যিনি পটপরিবর্তনের রাতেই ৩০টি কাটারের সহিত একটি ডং ইয়ার থেকে আস্থ জাহাজ কেটে কোটি টাকা বিক্রি করার নজির ও রয়েছে। 

 

একইভাবে বন্দর থানার আওতাধীন বিভিন্ন সেক্টরে উঠে এসেছে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল নেতাকর্মীদের নাম ও। একই সাথে সদর থানার আওতাধীন এলাকায় বিভিন্নস্থানে সেই আগের মতোই দখল, অবৈধভাবে রোড পারিমিট ছাড়াই ৩ কোম্পানীর বাসচালু, মামলা বানিজ্যে, পরিবহন সেক্টর দখল, স্ট্যান্ড দখল, রিভারভিউ, টানবাজার, নিতাইগঞ্জ এলাকায় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদাবাজি, জায়গা দখলসহ বহু অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপির নামধারী অনেকেই। 

 

একই সাথে আড়াইহাজার উপজেলা, রূপগঞ্জ উপজেলা, সোনারগাঁ উপজেলা জুড়েই চলছে দখলের রাজত্ব যে যার যার মতো করে বিভিন্ন্ সেক্টর দখলে নিয়ে যেতে শুরু করেছে। অপর দিকে অন্য কোন বিএনপির নেতাকর্মীরা আসলেই দখলের কাড়াকাড়িতে হচ্ছে সংঘর্ষ। এমন বহু ঘটনার পরপরই জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন এক বিবৃতিতে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীকে ইতোপূর্বেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল যে, আমার ছবি সম্বলিত পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন কিংবা বিলবোর্ড না করার।

 

জানা গেছে, গত সাড়ে ১৭ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। এ সময় বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা মামলা-হামলায় নাস্তানাবুদ হয়ে পড়েন। অনেকেই অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। এরই জেরে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার জনরোষে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নিপীড়িত নেতাকর্মীরা তাদের সাড়ে ১৭ বছরের লোকসান পুষিয়ে নিতে এবং এলাকায় আধিপত্য ধরে রাখতে বিভিন্ন এলাকায় মহড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন শিল্পকারখানায় নিজেদের অবস্থান জানান দিতে থাকেন। 

 

এ কারণে নিজেদের মধ্যে ঘটে অন্তর্কোন্দল। যা একপর্যায়ে রূপ নেয় হামলা-মামলায়।  এদিকে গত ৬ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের বন্দরে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর ওপর হামলা করেন তারই দলের নেতাকর্মীরা। টিপুর ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘বন্দরের বহিষ্কৃত বিএনপিনেতা আতাউর রহমান মুকুল ও আবুল কাউসার আশারা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এ হামলা চালায়। হামলায় আরও যারা যুক্ত তাদের তথ্যও আছে আমাদের কাছে।

 

 এ ব্যাপারে আইনগতভাবে এবং দলীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে দুই পক্ষের নেতাকর্মীরাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একে অপরকে হেয় করে পোস্ট চলমান রেখেছেন। একই দিন সিদ্ধিরগঞ্জের ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন ওরফে চাইল সালাউদ্দিনের ভাই কামালকে চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে ছাত্র-জনতা আটক করেন। পরে তাকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হয়।

 

 অপরদিকে গত ৬ সেপ্টেম্বর ‘সিদ্ধিরগঞ্জের বিএনপিনেতা আকবরের আগ্রাসী লুটপাটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও’ ব্যানারে মানববন্ধন চলাকালে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের মারধর করেন বিএনপি নেতা আকবর ও তার অনুসারীরা। আকবর বাহিনীর হামলায় শ্রমিকনেতা আলমগীর হোসেন ও নারী-পুরুষসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। সাংবাদিকদেরও এ সময় লাঞ্ছিত করা হয়। তা ছাড়া রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার ও পোস্টার সাঁটানো নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৭জন আহত হন। কয়েকজন নেতাকর্মীর বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগও পাওয়া যায়। 

 

তা ছাড়া গত ২৯ আগস্ট স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রাসেল মাহমুদ ও জাহাঙ্গীর গ্রুপ ফতুল্লার শিল্পাঞ্চল বিসিক-১ নম্বর গলিতে ঝুট ব্যবসার দখল নিতে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় জাহাঙ্গীর গ্রুপের দুজনকে ছুরিকাঘাত করে রাসেল গ্রুপের লোকজন। পরবর্তীতে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তা ছাড়া শোনা যাচ্ছে বিএনপির কিছু নেতাকর্মীরা মাসদাইর-বিসিকের ঝুট নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেছে, দখল করেছে, তেলের ডিপো, ১০ লাখ-২০ লাখ করে উঠানো হচ্ছে চাঁদা। তা ছাড়া নাসিক ৭ নং ওয়ার্ডে বিএনপি ও ছাত্রদলের সঙ্গে সংঘর্ষ আহত-৮।

 

 একই সাথে গতকাল মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ভবনের সামনে ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীরা ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি’র কার্যলয়, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয় মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সাগরের নেতৃত্বে এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনাটি ঘটে।  একই দিনে সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদাবাজী, দখলবাজি ও সরকারী খাল দখলের প্রতিবাদ করায় ছাত্রদলের কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় দোষীদের বিচারের দাবিতে ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জামান ঢালীর বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

 

গত ১৩ আগষ্ট আড়াইহাজারে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমনের নেতৃত্বে শান্তি শোভাযাত্রায় হামলার ঘটনা ঘটে।আড়াইহাজারে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তা ছাড়া ফতুল্লায় গার্মেন্টস-ডাইংয়ের ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণে নিতে ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি ও ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি দুই গ্রুপের ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটে। তা ছাড়া গত ১৪ সেপ্টেম্বর একইস্থানে বিএনপির দুইগ্রুপের কর্মসূচি পালনের ঘোষনা আসে যেখানে আধিপত্য নিয়ে বিশাল সংঘর্ষের আশঙ্কা ছিলো। কিন্তু সর্বশেষ একটি কর্মসূচি স্থগিত হয়ে পরে।

 

এদিকে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে নতুন করে দল গোছাতে শুরু করে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনগুলো। কিন্তু এর মধ্যেই নিজেদের মধ্যে চাঁদাবাজি, ঝুট ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত কোন্দল-দ্বন্দ্ব-গ্রপিংয়ে জড়িয়ে পড়ায় চিন্তিত দলের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

 

এদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছিলেন, শামীম ওসমান হচ্ছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার অন্যতম দোসর। সে ২০০১ সালের মতো এবারও তার নেতাকর্মী রেখে বোরখা পরে পালিয়েছে। আমরা যখন গত ১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করছিলাম তখন যারা শামীম ওসমানের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে তার ছেলে ও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ইন্টারনেট, ভূমিদস্যুতা, তেল চুরি করে অর্থ সম্পদে বলিয়ান হয়েছে। এখন সেই তারাই ৫ আগস্ট থেকে এই ফতুল্লায় লুটপাট, সন্ত্রাস চাঁদাবাজি করছে। 

 

তাদের কবল থেকে ছোট দোকানও রেহায় পাচ্ছে না। এদের সঙ্গে আমাদের দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ। আওয়ামী লীগ থেকে সুবিধা নিতে দলের চরম দুঃসময়ে দল থেকে সরে গিয়ে নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেছে, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী করেছে। সে নাকি এখন আবার বিএনপিতে ফিরতে চায়। ভুলেও না। সে এখন পচা মাল। এই মাল এখন আর বিএনপি খায় না।

 

তিনি আরও বলেন, নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেছিলেন, প্রশাসনকে সর্বময় সহযোগিতা করতে হবে। ৫ তারিখ থেকে ফতুল্লায় যারা লুটপাট, ভাঙচুর চালিয়েছে তারা কারা আপনারা জানেন। তাদের তালিকা প্রশাসনকে দিবেন। না পারলে আমাদের দিবেন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো আপস নেই। আমি গিয়াসউদ্দিন অন্তত তাদেরকে ক্ষমা করবো না। তারা মীরজাফার। তিনি বলেন, সেদিন ফতুল্লায় বিএনপি একটি শান্তির মিছিল বের করলে একদল চাঁদাবাজ সেই মিছিলে হামলা চালায়িছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করেছে। এরা গত ৫ আগস্ট থেকে ব্যাপকভাবে লুটপাট ভাঙচুর চাঁদাবাজি করছে। তাদের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের পরিচয় তারা সন্ত্রাসী।

 

এই বিভাগের আরো খবর