Logo
Logo
×

রাজনীতি

‘ছাত্র ঐক্য’ গঠন প্রসঙ্গে যা ভাবছেন নেতারা

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৪৭ পিএম

‘ছাত্র ঐক্য’ গঠন প্রসঙ্গে যা ভাবছেন নেতারা
Swapno

 

বাংলাদেশে সকল পর্যায়ের বিরোধীদলের চলমান আন্দোলনের ধারবাহিকতায় আন্দোলনকে আরো তীব্রতর করার লক্ষ্য নিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি, শেখ হাসিনার পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ৯ দফা দাবি সামনে রেখে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতৃত্বে সমমনা ১৫টি ছাত্র সংগঠনকে নিয়ে গত (শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর) একটি ছাত্র জোটের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। নাম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রঐক্য’।

 

জোটের অন্তর্ভুক্ত দলগুলোর মধ্যে রয়েছে, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জেএসডি), গণতান্ত্রিক ছাত্রদল (এলডিপি), নাগরিক ছাত্রঐক্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাগপা-প্রধান), ছাত্র ফোরাম (গণফোরাম-মন্টু), ভাসানী ছাত্র পরিষদ, জাতীয় ছাত্রসমাজ (কাজী জাফর), জাতীয় ছাত্রসমাজ (আন্দালিব রহমান পার্থ), বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাগপা-লুৎফুর), ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, বিপ্লবী ছাত্র সংহতি এবং রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলন।

 

ছাত্র নেতাদের অনুযায়ী জানা গেছে, এক দফার ভিত্তিতে সরকারের পদত্যাগের যুগপৎ আন্দোলনে যারা আছে তাদের অন্তর্ভুক্ত ছাত্র সংগঠনগুলো নিয়েই মূলত এই ঐক্য। যার ফলে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে যে কোন সময় রাজপথে ছাত্রদের ঐক্য যাত্রা শুরু হলে এটার মাধ্যমেই দেশের মানুষ নিজেদের অধিকার ও দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে নেতৃবৃন্দ। আর তারা আরো বলছে এই জেটোর মূল দুইটি লক্ষ্য যা নিয়ে সকলে কাজ করবো সেটি হলো দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা ও জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া।

 

এ বিষয়ে গণসংগহিত আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক তরিকুল সূজন যুগের চিন্তাকে বলেন, বাংলাদেশে যে ফ্যাসিবাদ চলতেছে যার কারণে গত দুই নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে পারে নাই, দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নাই। এটা কেবল মাত্র কিন্তু শুধু বাংলাদেশের বিষয় নয়। এই ভোটহীন সরকারের পালে বাংলাদেশে যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সেগুলো কিন্তু অধিক সময় দূর্নীতিগ্রস্ত হচ্ছে এমনি সেখানে নিম্নতম শিক্ষার পরিবেশটা ও নাই।

 

আমরা মনে করি ছাত্রদের আজকে ঐক্যবদ্ধভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার এই দুই দাবিতে ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামা উচিত এবং আর এই গণতান্ত্রিক অধিকার, ও ভোটের অধিকার অর্জনের মধ্যে দিয়েই। ছাত্রদের যে সমস্ত অসুবিধাগুলো রয়েছে। সেই অসুবিধা গুলোর একটি সমাধান হবে ফলে আমরা আশা করি যে, পুরো বাংলাদেশে এটা একটি বৃহত্তর ছাত্র সমাজ ঐক্যবদ্ধ হবে এবং বর্তমানে যে অবৈধ সরকার রয়েছে সেটাকে পতনে ছাত্র সমাজ একটি অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে পারবে।

 

ছাত্রফেডারেশন নেতা মশিউর রহমান রিজার্ড যুগের চিন্তাকে বলেন, আমরা এই জোটটা গঠন করেছি মূলত ভোট অধিকার, একটি সন্ত্রাস দখলমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাস, সাংগঠনিক শিক্ষা ব্যবস্থা ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা মনে করি বর্তমানে যে ফ্যাসিবাদী কায়েম হয়েছে। যে ফ্যাসিবাদ জনগণকে বিভক্ত করতে চেষ্টা করে ফলে মানুষ এই ব্যবস্থার পরিবর্তন চায় এবং একই সাথে সরকারের পদত্যাগ চায়। বর্তমানে রাষ্ট্র পরিকল্পনার ১ দফার যে লড়াই চলতাছে সেই ধারবাহিকতায় আমাদের একটি ঐক্য করা হয়েছে।

 

আর এই ঐক্যের মূল লক্ষ্য হচ্ছে এই মুহুর্ত্বে সরকারের পদত্যাগ ঘটানোর এবং শিক্ষা অঙ্গনগুলো থেকে সন্ত্রাস যা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে হচ্ছে তারা প্রত্যকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক সময়ে আমরা দেখলাম চট্টগ্রামে এই ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবেদন করতে গিয়ে একটি সাংবদিক আহত হলো শুধু এমন না পুরো বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে তলীনিতে পরিনত করেছে এই সরকার। আর আমরা বর্তমানে দেশে মানুষের হয়ে রাজপথে কাজ করবো ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই দেশের সকল অধিকার ফিরিয়ে আনবো আমরা আশা করছি এই কাঝে দেশের সকল ছাত্র ও ছাত্রসংগঠন আমাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে।

 

ছাত্রফেডারেশন নেতা শুভ দেব যুগের চিন্তাকে বলেন, গত পরশু ছাত্রদল, ছাত্র ফেডারেশনসহ ১৫টি ছাত্র সংগঠন একত্রিত হয়ে একটি ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্য গঠন হয়েছে। এটার মূল লক্ষ্যে হলো যে সারা দেশে ক্যাম্পাসগুলোতে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনগুলোর যে সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ড, সেই সকল সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ড থেকে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বের করা। রাষ্ট্রের যে ভোট অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার সেই গণতান্ত্রিক সংকট সমাধান করে মানুষের ভোট অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে মূলত এই দাবিতে এই ছাত্র ঐক্য গঠন করা হয়েছে।

 

মূলত ৯টি দাবিতে এই ছাত্র ঐক্যর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এই ৯ দফার ভিতরে খুব ছোট করে যদি বলি তা হলো শিক্ষা অঙ্গনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে দেওয়া। আর দেশের যে গণতান্ত্রিক সংকট নিরশন করে দেশের মানুষের সকল অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য ও এই জোট কাজ করবে।

 

মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর যুগের চিন্তাকে বলেন, গতকাল দেশের ১৫টি ছাত্র সংগঠন মিলিত হয়ে একটি ছাত্র ঐক্যের যাত্রা ঘোষণা করেছে। এই যাত্রার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন সেই আন্দোলনকে গতিশীল ও বাংলাদেশের আন্দোলনকে আরো তীব্রতর করার চেষ্টা করবো। বাংলাদেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা ও হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো।

 

৯০ এর যে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সকল ছাত্র সংগঠন হয়ে সাথে হয়ে ব্যাপক আন্দোলনের মাধ্যমেই সেই এরশাদের পতন হয়েছিলো। সেটা কিন্তু একটা ইতিহাস হয়ে আছে। আর এগুলো ২০২৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতৃত্বে সকল ছাত্র সংগঠন একত্রিত হয়ে একটি বৃহত্তম ছাত্র আন্দোলন গড়ে তুলবে সেই আন্দোলনে এই স্বৈরাচারী সরকার মানুষের সকল অধিকার ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হবে। আর দেশের একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। এস.এ/জেসি

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন