
নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনের মাঝে একমাত্র সোনারগাঁ আসনে বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার সঙ্গে সাবেক এমপি কায়সার হসানাতের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতা হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহলের অনেকে। কারণ এই আসনে বিগত দুইবার লিয়াকত হোসেন খোকা এবং একবার কায়সার হাসনাত এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।
কিন্তু বিগত দুই নির্বাচনে এই আসনে নৌকার কোনো প্রার্থী ছিলো না। আওয়ামীলীগ এই আসনটিতে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছিলো। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। এবার সাবেক এমপি কায়সার হাসনাতকে মনোনয়ন দিয়ে মাঠে নামিয়েছে আওয়ামী লীগ। তাই এই আসনে এবার লড়াই জমে উঠার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ যদি কায়সার হাসনাতের মনোনয়ন প্রত্যাহার না করে তাহলে নারায়ণগঞ্জের এই একটি মাত্র আসনে নৌকা আর লাঙ্গলের মাঝে লড়াই জমে উঠবে বলেই অনেকে মনে করেন।
তবে গত দু’দিন আসনটির বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে সোনারগাঁয়ের অধিকাংশ মানুষ এবারের এই নির্বাচন নিয়েও তেমন একটা আগ্রহী নন। বরং তারা মনে করেন এবারের নির্বাচনেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে এমপি বানাবেন তিনিই হবেন এমপি। জনগনের ভোটের কোনো দরকার পরবে না। ফলে বেশির ভাগ সাধারণ মানুষ এবারও ভোট কেন্দ্রে যাবে না বলে জানিয়েছেন। তবে এরই মাঝে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মাঝে যারা হাসনাত পরিবারের সমর্থক তারা এবং যারা এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার ব্যাক্তিগত সমর্থক তারা ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
গতকাল মোগড়াপাড়া চৌরারাস্তা মোড়ে দাঁড়িয়ে কথা হয় আলী হোসেন নামক এক ব্যক্তির সাথে। তিনি সরাসরি বলেন, এবারও কোনো নির্বাচন হবে না। বরং লিয়াকত হোসেন খোকা আর কায়সার হাসনাতের মাঝে যে একজন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন। তিনি আরো বলেন এই ক্ষেত্রে লিয়াকত হোসেন খোকার থেকে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তিনি আরো বলেন আমরা যতোদূর শুনতে পাচ্ছি এবারও আওয়ামী লীগের সাথে জাতীয় পার্টির সমঝোতা নিয়ে কথা চলছে।
আওয়ামী লীগ এবারও ৩০/৩৫টি আসনে ছাড় দিতে পারে। আর সেটা হলে শেষ পর্যন্ত থাকবেন না কায়সার হাসনাত। এ সময় তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কাজী সায়েম আহম্মেদ বলেন, বাস্তবে এবারও সোনারগাঁয়ে তেমন কোনো ভোটের আমেজ নেই। তবে সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত এবং বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা দুইজনেরই সমর্থন রয়েছে। তাই বিএনপির ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে না গেলেও কায়সার হাসনাত এবং লিয়াকত হোসেন খোকার সমর্থকরা মাঠে নামবে। আর সেই ক্ষেত্রে সোনারগাঁয়ে কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, সোনারগাঁয়ের দশটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বাররা এবার লিয়াকত হোসেন খোকার পক্ষে মাঠে নেমেছেন। এছাড়া খোকা এমপি এলাকার ভালো উন্নয়ন করেছেন। তাই এবারও তিনি জিতে যেতে পারেন বলে তিনি মনে করেন। তবে ভোটার উপস্থিতি কম হলেও কায়সার হসনাতের সাথে তার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে বলে তিনি মনে করেন। তবে এবারও সেই অর্থে এই আসনে নির্বাচনের কোনো আমেজ নেই বলে তিনি মনে করেন। এস.এ/জেসি