# আউয়াল সাহেব বদমাইশ না, জাহাঙ্গীর বদমাইশ
#কোথায় খেলবি, আয় তুই : মাওলানা ফেরদৌস
# ক্ষমা না চাইলে জুতা পেটা করা হবে : মুফতি হারুন
গতবছর বেফাঁস মন্তব্য করে বহিঃষ্কার হওয়া জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম এবার হেফাজত নেতা মাওলানা আউয়ালকে কটূক্তি করে বেকায়দায় পড়েছেন। হেফাজত নেতারা ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন হেফাজত নেতারা। গতকাল জুম্মার নামাজের পর ডিআইটি মসজিদের সামনে হেফাজত নেতারা জাহাঙ্গীরকে ক্ষমা চাইতে ২৪ ঘন্টা সময় দিয়েছেন। তা না হলে তারা জাহাঙ্গীরকে যেখানেই পাবেন সেখানেই জুতা পেটা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। হেফাজত নেতারা বলেন, নারায়ণগঞ্জে ওলামা ইকরামরা ভেসে আসেনাই। সাপের লেজ নিয়ে নাড়াচাড়া করতে নিষেধ করেন তারা। আর সেটি করলে নারায়ণগঞ্জে শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন না।
মাওলনা মনোয়ার হোসেইন বলেন, নারায়ণঞ্জবাসীকে মেসেজ দিতে চাই। জাহাঙ্গীর নামক যেই কুলাঙ্গার মাওলনা আবদুল আউয়ালকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন সে হুজুর সম্পর্কে জানেনা। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা আউয়াল। কুলাঙ্গার জাহাঙ্গীর তুমি শুধু মাওলানা আউয়ালকে নিয়ে মন্তব্য করোনি, বাংলার কোটি কোটি আলেমদের নিয়ে আঘাত করেছ তুমি। মাওলানা ফেরদৌস তোমাকে ক্ষমা চাইতে বলেছে। তুমি ওলামাদের হুঙ্কার দেখেছো, ওলামাদের ক্ষমতা এখনো দেখনি। নারায়ণগঞ্জের তৌহিদী জনতা জুতাপেটা করে নারায়ণগঞ্জ ছাড়া করবে। তার সম্পর্কে আগে থেকে সবাই জানে। সে কওমে লূতের সাথে জড়িত। নাউযুবিল্লাহ। সে দুষ্কৃতিকারী সমাজের বিষফোড়া, তাকে নারায়ণগঞ্জে থাকতে দেয়া হবেনা।
নারায়ণগঞ্জ ওলামা পরিষদের মাওলানা কামালউদ্দিন বলেন, কুলাঙ্গার জাহাঙ্গীর নারায়ণগঞ্জের এক পাতি নেতা। তার কটূক্তি শোনার পর থেকে অনেক অশান্তিতে আছি। আউয়াল সাহেব সারা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির। অনতিবিলম্বে জাহাঙ্গীরকে ক্ষমা চাইতে হবে আউয়াল সাহেবের কাছে। আজকের বিক্ষোভ সমাবেশে আবারও হুশিয়ার করছি, ক্ষমা না চাইলে নারায়ণগঞ্জের যেখানেই পাওয়া যাবে আপনাকে কুকুরের মতো ধরে পেটানো হবে। কেউ আপনাকে কেউ বাচাতে পারবেনা। নারায়ণগঞ্জের কোথাও বের হতে পারবেনা। প্রকাশ্যে ক্ষমা চান। রাজপথে দেখতে চেয়েছিলেন, আপনার বাহিনী নিয়ে আসেন। আমরা খেলতে চাই।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর ওলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি হারুনুর রশিদ বলেন, বদমাইশ শব্দের অর্থ কি জাহাঙ্গীরকে জিজ্ঞাসা করলে বলতে পারবে না। আউয়াল সাহেবের ক্যারেক্টর লুজ হলে নামাজ পড়াতে পারতোনা। জাহাঙ্গীরের ক্যারেক্টর ল্যুজ সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জবাসী সকলে জানে। টাকলা মুরাদের ব্যাপারে সবাই অবগত আছে। টাকলা মুরাদ বাংলাদেশের কোথাও থাকতে পারে নাই। জাহাঙ্গীর তোমাকে বলতে চাই, প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলে রাস্তায় বেরুতে পারবেনা, জুতা পেটা করা হবে। এই জাহাঙ্গীর ২০২০ সালের ২১ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের প্রতিবাদ সভায় জাহাঙ্গী নিজে দাবি করেছিল, আমি বঙ্গবন্ধু আদর্শের সৈনিক। কিন্তু জাহাঙ্গীর তো পেটপূজার জন্য দল করে। ওই দিন জাহাঙ্গীর বলেছিল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ একটি যুদ্ধাপরাধী দল। এটা কোন স্বাধীনতার পক্ষের দল না। এরপর সে আবার প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছে। ঢাকার সেন্ট্রালের লোক জাহাঙ্গীরের চরিত্র সম্পর্কে খোঁজ নিলে তাকে বহিঃষ্কার করতে বাধ্য হবে। আউয়াল সাহেব বদমাইশ না, জাহাঙ্গীর বদমাইশ।
সভাপতির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান বলেন, জুমার নামাজে মাওলানা আউয়াল জাহাঙ্গীরকে বলেছে, ক্ষমা চাওয়া লাগবেনা, তুমি ভালো হয়ে যাও। জাহাঙ্গীর ভাইরাল হতে চায়। ওরে কেউ চিনেনা। প্রশাসনের লোক ফোন দিয়ে বলেছে, জাহাঙ্গীর কে? তাকে তো চিনিনা। একটা নেতৃবৃন্দের বক্তব্যে তুমি থাকতে পারবে না। আরও দুঃখজনক ব্যাপার, আনিসুর রহমান দিপু সাহেব প্রতিহত করবে আওয়ামীলীগের ব্যানারে। গালি দিলেন হুজুররে। প্রতিহত করবেন আওয়ামীলীগের ব্যানারে। আপনারা তো সাংঘর্ষিক অবস্থায় ফেলে দিচ্ছেন। আমরা তো আওয়ামীলীগকে চ্যালেঞ্জ করি নাই। একটা পাতি নেতা লাগছে, তাই তারে বলছি, কোথায় খেলবি, আয় তুই? এখন দেখি কোন প্লেয়ারই না। তোমারে প্রশাসন গোনায় ধরেনা, আমরাও গোনায় ধরিনা। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও। আওয়ামীলীগ করলে তোমাকে অবশ্যই ভালো হতে হবে। আর না হয় জুতার বাড়ি খাবা। বক্তব্য শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ২নং রেলগেট এলাকা ঘুরে আবারও ডিআইটি মসজিদের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
প্রসঙ্গত, ডিআইটি মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল আউয়ালকে নিয়ে মন্তব্য করে আবারও সমালোচনার মুখে পড়েন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম।এমই/জেসি