Logo
Logo
×

নগরের বাইরে

ডিএনডি প্রকল্পের রড লুট, ৪ ডাকাত গ্রেফতার

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২১, ১১:৩৩ এএম

ডিএনডি প্রকল্পের রড লুট, ৪ ডাকাত গ্রেফতার
Swapno

ফতুল্লার পাগলা দেলপাড়া এলাকায় চলমান ডিএনডি প্রকল্পের ব্রীজ নির্মানের ১৩ টন রড লুট করার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের আরো ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। এ সময় তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক লুন্ঠিত ১৩টন রডের মধ্যো সাড়ে ৪ টন উদ্ধারসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক (নারায়নগঞ্জ-ট-০৫-০০৬২) জব্দ করেছে বলে জানায় পুলিশ।  গ্রেফতারকৃতরা হলো শরিয়তপুর জেলার গোসাইহাট থানার বড় কাচনা গ্রামের মৃত ওমর আলীর পুত্র ও ঢাকার শ্যামপুর বটতলার নুরু মিয়ার ভাড়াটিয়া কালু মিয়া (৩৫), ঢাকার কেরানীগঞ্জের সাতগাঁওয়ের মৃত মোসলেম মিয়ার পুত্র নান্টু মিয়া (৪০), পটুয়াখালি জেলার গলাচিপা থানার আমির বাড়িয়া গ্রামের হাফেজ হাওলাদারের পুত্র রিয়াজ (৪৫) ও ঢাকার কেরানীগঞ্জের চন্ডিপুরের হাজী রেজাউল করিমের পুত্র মাসুদ (৩০)। থানা পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাত ১০ টার দিকে ফতুল্লার সাইনবোর্ড থেকে প্রথমে কালুকে আটক করা হয় পরে তার স্বীকারোক্তি মেতাবেক কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরা বাজার, ডাকপাড়া থেকে নান্টু মিয়াকে আটক করে। এ সময় ডাকপাড়া নাদিয়া ট্রেডার্সের সামনে থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক ও নাদিয়া ট্রেডার্সের ভিতরে লুকায়িত থাকা ৫৫০ কেজি লুন্ঠনকৃত রড উদ্ধার করে পুলিশ। পরে একই এলাকা থেকে রিয়াজকে আটক করে পুলিশ। রিয়াজের স্বীকারোক্তি মোতাবেক কেরানীগঞ্জের আটিপাড়াস্থ রেজা হার্ডওয়ারের মালিক মাসুদকে আটক করে পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক তার মালিকানাধীন রেজা হার্ডওয়ারের ভিতরে থাকা ৪৬ বান্ডিলে থাকা লুন্ঠনকৃত ৪ টন রড উদ্ধার করে পুলিশ। এ বিষয়ে অভিযানে নেতৃত্বদানকারী ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) সঞ্জয় সরকার জানান, মার্চ মাসের ১৮ তারিখ রাতের কোন এক সময়ে ডিএনডি প্রকল্পের (সেনাবাহিনীর আওতাধীন) কুতুবপুর দেলপাড়াস্থ ক্যানেল পাড়ের ব্রীজ নির্মানের কাজের জন্য নিয়ে আসা সায়ীদ এন্টার প্রাইজ ও জে,আর, এন্টারপ্রাইজের ১৩ টন রড কে বা কারা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নির্মানধীন ব্রীজটির তৈরীর দায়িত্বরত ঢাকার মিরপুর পল্লবীর সায়ীদ এন্টার প্রাইজ ও জে,আর এন্টারপ্রাইজের প্রজেক্ট ইনচার্জ আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মার্চ মাসের ১৯ তারিখে অজ্ঞাতদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশ।এক পর্যায়ে তারা জানতে পারে যে ১৩ টন রড নিয়ে যাওয়ার পেছনে আন্তঃ জেলা একটি অপরাধী চক্র জড়িত রয়েছে। সঞ্জয় সরকার আরও জানান, এরপর তারা অভিযান চালিয়ে মার্চ মাসের শেষের দিকে ইব্রাহিম ও জাফর কে গ্রেফতার করে।তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সাথে জড়িতের বিষয়টি স্বীকার সহ তাদের সহযোগিদের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। সেই সূত্র ধরেই বুধবার (৮এপ্রিল) রাতভর অভিযান চালিয়ে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক ও লুন্ঠনকৃত ১৩ টন রডের মধ্যো সাড়ে ৪ টন রড সহ চার জনকে তারা গ্রেফতার করে। লুন্ঠনকৃত বাকী রডের উদ্ধার সহ জড়িতদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহ্যত রয়েছে বলে তিনি জানান।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন