Logo
Logo
×

রাজনীতি

দন্তহীন সিংহ শামীম ওসমানকে খুঁজছে ছাত্রজনতা

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৪, ০৬:৪২ পিএম

দন্তহীন সিংহ শামীম ওসমানকে খুঁজছে ছাত্রজনতা
Swapno

নারায়ণগঞ্জ তো বটেই সারাদেশেই নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচিত নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান। নানাসময় উস্কানিমূলক বক্তব্য আর কর্মীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য নারায়ণগঞ্জ তো বটেই সারাদেশের মানুষ ত্যক্ত বিরক্ত ছিল। আর তাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানের ঘটনার পর পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়লে নারায়ণগঞ্জ সহ সারাদেশের মানুষ আনন্দ মিছিল বের করেন। নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় একের পর এক আনন্দ মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন। রাজপথে নেমে মানুষ উল্লাসে মেতে উঠেন। নারায়ণগঞ্জের মানুষের আবেগ প্রকাশ করেছে শহরের মানুষ। আবার কোথাও কোথাও মিষ্টি বিতরণ করেছে। সবার মুখে একই কথা এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। মানুষের জয় হয়েছে।   


এদিকে সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমানকে খুঁজে বেড়ান ছাত্রজনতা। এসময় জামতলার এমপি গলিতে সাংসদ শামীম ওসমানের বাড়িতে তাকে খুঁজে না পেয়ে পুরো বাড়ি ভাংচুর করে লুটপাট করা হয়। যে যা পারছে তাই নিয়ে গেছে। তাছ্ড়াা শামীম ওসমান তার ঢাকার বাড়িতেও নেই বলে জানা গেছে। তিনি বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার না করে অন্য দেশের পাসপোর্ট ব্যহার করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে বলে একাধিক সুত্রে জানা যায়। এমনকি পুরো পরিবার সাথে নিয়ে তিনি পালিয়ে গেছেন বলে জানাযায় বিশ^স্ত সুত্রে।


অপরদিকে আজকে দুপরে শহরের চাষাঢ়ায় বোরকা শামীম পালিয়েছে বলে স্লোগান দিতে থাকে। এছাড়া শামীম ওসমান পালিয়েছে বলে স্লোগান দিতে থাকে। তবে শেখ হাসিনা পদত্যাগের পরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গা ঢাকা দিয়েছে। অথচ কয়দিন আগেও শামীম ওসমান রাইফেল ক্লাবে বসে মিটিং করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে দমন করার জন্য হুঁশিয়ারি দেন। তাছাড়া তিনি বিভিন্ন সভায় বলা তার খেলা হবে ডায়লগ সারাদেশে পরিচিত। এমনকি তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের এক সভায় বলেছেন কবে খেলবেন আসেন। আমরা খেলতে প্রস্তুত। অথচ ছাত্রদের খেলায় পরাজীত হয়ে এই খেলোয়ার নিজেই পালিয়ে গেছেন। তাকে এখন তন্ন তন্ন করে  খেলার মাঠে কেউ খুজে পাচ্ছে না।


উল্লেখ্য বাংলাদেশের ইতিহাসে আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনের মর্ম তুলে ধরা হলো। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলার জনগণ নিগৃহীত হতে শুরু করে। পাকিস্তান সরকার লাহোর প্রস্তাবকে পাশ কাটিয়ে বাংলার জনগণের ইচ্ছাকে দমিয়ে বাংলাকে উপনিবেশে পরিণত করে। ১৯৫৬ সালের সংবিধান পূর্ব বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তান নাম দেয়। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান সামরিক শাসন জারির মাধ্যমে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে ও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে মৌলিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৬২ সালের সংবিধানে সংসদীয় গণতন্ত্রকে উচ্ছেদ করা হয়। সংবিধানে প্রেসিডেন্ট হিসেবে আইয়ুব খানকে অপ্রতিহত ক্ষমতা প্রদান করা হয়। বাঙালি ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আইয়ুব খানের বৈষম্য নীতির বিরুদ্ধে, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে। ১৯৬৯ সালের জানুয়ারি মাস থেকে গণআন্দোলন শুরু হয়। সর্বস্তরের মানুষের গণ আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়। শেখ হাসিনাকেও পদত্যাগে বাধ্য করে গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়। আর এতে করে মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। কিন্তু শামীম ওসমানকে আর কেউ খুজে পান নাই।
 

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন