রোববার   ০৬ অক্টোবর ২০২৪   আশ্বিন ২১ ১৪৩১

দুর্ধর্ষ ছিলেন হাজী রিপন

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১ অক্টোবর ২০২৪  

 

 

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বিভিন্ন সভায় বলে থাকেন চাদাঁবাজ, সন্ত্রাসী, ভুমিদস্যুদের স্থান নারায়ণগঞ্জে নেই। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে ওসমানদের আশীবার্দ নিয়ে এই ধরনের অপকর্ম দেদারসে করে বেরাতেন তাদের অনুসারীরা। তার মাঝে শহরের চাদাঁবাজদের তালিকায় অন্যতম অপরাধী হচ্ছে জেলা ট্রাক ট্যাংকলড়ি কর্ভাডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজ¦ী রিপন। তিনি আজমেরী ওসমানের স্পর্শে থেকে এমন কোন অপরাধ নেই যাতে জরান নাই। অবৈধ ভাবে নিতাইগঞ্জ ট্রাক স্টান্ড থেকে চাদাঁবাজি করেছেন। সেই সাথে জোরপুর্বক ভাবে মানুষের জায়গা দখল করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া মাদককারবারি হিসেবে তিনি শহরে এবং প্রশাসনের কাছে চিহ্নিত ছিলেন।  

 

এদিকে গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগের সাথে ওসমান পরিবারের রাজত্বের পতন ঘটনায় তাদের সন্ত্রাসী সম্রাজ্যের অপরাধীদের নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছে ভুক্তভোগিরা। তাছাড়া তার সাথে থাকা অন্যান্য ভুমিদস্যুদর নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছে নারায়ণগঞ্জ শহরের নগরবাসি।শহরের চিহ্নিত ভুমিদস্যু, চাদাঁবাজের অভিযুক্ত নিতাইগঞ্জ ট্রাক স্ট্যান্ড এর সাবেক সাধারণ হিসেবে ছিলেন হাজ্বী রিপন।  একাধিক ব্যক্তি জানান, এই হাজ্বী রিপন আলী হায়দার শামীম ওরফে পিজা শামীমের অফিসে বসে বিভিন্ন এলাকায় জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে বিচার শালিশ করে থাকেন করে বেরাতেন। 

 

অথচ বছর দুয়েক আগেও তাকে মাইরধর করে প্রভাবশালী পরিবার আজমেরী ওসমানের লোকজন বের করে দেয় তাকে। এর পর অনেকটা আড়ালে থেকে অপকর্ম করে যায় বলে অভিযোগ হাজ্বী রিপনের বিরুদ্ধে। অপরদিকে জানাযায়, ২০২৩ সনে বন্দরে রাইসুল চেয়ারম্যানের ছেলেদের জায়গা দখলের নেপথ্যে হাজ্বী রিপন কন্টাক করে পিজাম শামীমকে দেয় বলে জানান ফরাজি কান্দাবাসি। এই ঘটনায় ১১ জনের নাম উল্লেখ্য করে মামলাও হয়। তাছাড়া বন্দরের জায়গা দখলের ঘটনার বিষয়ে এক ভিডিওতে দেখাযায় শহরের সন্ত্রাসী খ্যাত ব্যক্তি সনেট পিস্তুল নিয়ে রাইসুল হক চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে মহড়া দেন। তিনি রিপনের নির্দেশে মহড়া দিতেন। 

 

এছাড়া ২০১৬ সনে হাজ¦ী রিপন নিতাইগঞ্জ ট্রাক ট্যাংলড়ি কভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বনে যাওয়ার পর পর চাদাঁবাজিতে মেতে উঠেন। তিনি বিশাল হোন্ডা বাহিনীর নেতৃত্ব দেন। এমনকি তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি পর্যন্ত অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে ট্রাক প্রতি মাল লোড আনলোড থেকে ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা করে চাদাঁ নিতেন সন্ত্রাসী রিপন। যার শিংহ ভাগ অংশ আজমেরী ওসমানের দরবারে জমা দিতেন। এই সংগঠনের নামে তিনি টানা ৬ বছর চাদাঁবাজির রাজত্ব চালিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। 

 

এখানে প্রতিদিন প্রায় ৩০০ গাড়ি লোড আনলোড করা হয়ে থাকে। কিন্তু টাকা নিয়ে নয় ছয় করায় তাকে আজেমীর ওসমানের আরেক বাহিনী দিয়ে মাইরধর করে বের করে দেন। আর সেই থেকে সন্ত্রাসী হাজ¦ী রিপন অনেকটা আড়ালে আবডালে চলে যান। আড়ালেই থেকেই তার অপকর্ম চালিয়ে যান। তাকে শেল্টার দেন আজমেরী ওসমানের উপদেষ্টা পিজা শামীম, পাগলা হামিদ। তাদের শেল্টারে সে জায়গা দখলের কার্যক্রম চালিয়ে যান।

 

সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে তোপের মুখে পড়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তার পর থেকে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের লোকজন আড়ালে আবডালে চলে যান। সেই সাথে তাদের সাঙ্গ পাঙ্গ সন্ত্রাসীরাও পালিয়ে রয়েছে। তার মাঝে ওসমানদের লালিত সন্ত্রাসী হাজ¦ী রিপনও আত্মগোপনে চলে যান। তাছাড়া বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত হওয়া হত্যা মামলায় আসামী রয়েছেন সন্ত্রাসী হাজ¦ী রিপন। তার নামে একাধিক হত্যা মামলা হয়েছে ইতোমধ্যে হয়েছে। এই সন্ত্রাসী রিপনকে অত্যাচারিত অনেক ভুক্তভোগি পরিবার খুজে বেরাচ্ছেন। তিনি এখন কোথায় রয়েছেন তা জানতে চান নির্যাতিত পরিবার।

এই বিভাগের আরো খবর