Logo
Logo
×

নগরের বাইরে

পাগলার মার্কেটগুলোতে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

Icon

সাদ্দাম হোসেন শুভ

প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৩, ০২:৫০ পিএম

পাগলার মার্কেটগুলোতে জমে উঠেছে ঈদ বাজার
Swapno


সদর উপজেলার পাগলা বাজারের বিভিন্ন বিপণিবিতান ও ছোট-বড় দোকানগুলোতে ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে ক্রেতাদের আনাগোনা। বাড়তে শুরু করেছে কেনা-কাটা। রোজার শুরু থেকেই পাগলা বাজারের বিভিন্ন বিপণিবিতান, ক্ষুদ্র ও মার্কেটগুলোতে ক্রেতারা ধীরে ধীরে আসছেন। 

 

 

পাগলার ঈদ বাজারে কেবল এলাকার মানুষরা নন, আশপাশের দেলপাড়া, নয়ামাটি, নন্দলালপুর, আলীগঞ্জ, পিলকুনী, শাহীবাজার, রসুলপুর, কেরানীগঞ্জসহ কয়েকটি উপজেলার লোকজনও কেনাকাটার জন্য আসছেন। পাগলা বাজারে শতাধিক ছোট-বড় বিপণিবিতানের কয়েক'শ পোশাক, জুতা ও কসমেটিকস দোকানের বিক্রেতাদের এখন বেড়েছে ব্যস্ততা। বিভিন্ন দোকানে এখন দেশি-বিদেশি বাহারি পোশাকের সমাহার। ঈদ বাজার ধরতে বাহারি রঙের পোশাক ঝুলিয়ে ক্রেতা আকর্ষণের চেষ্টা করছে ব্যবসায়ীরা।  

 

 

পাগলা বাজারের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, হরেক রকমের পোশাক, জুতা দোকানে তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। পছন্দসই পোশাক মেলায় ক্রেতারাও কেনাকাটা করে তৃপ্ত। তবে অনেকে জানালেন পোশাকের দাম গতবারের চেয়ে খানিকটা বেশি। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আধুনিক রুচিশীল পোশাকের দোকানের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই পাগলা বাজারের আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষও এখানে ঈদের কেনাকাটা করছেন।

 

 

রোজা শুরুর দিকে পাগলা-দেলপাড়া রাস্তা সংস্কারের কারণে বেচাকেনা একটু কম থাকলেও দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে। পাগলা বাজারের হাজী ইউনুস সুপার মার্কেট, জসীম মার্কেট, এএসএম সুপার মার্কেট, ময়মুন প্লাজা, মসজিদ মার্কেট, হাজী মিছির আলী মার্কেট, আফসার করিম প্লাজাসহ ভাসমান বিভিন্ন মার্কেটে এখন ক্রেতাদের ঢল। বাহারি পোশাক, শাড়ি, পাঞ্জাবির সমাবেশসহ আকর্ষণীয় অফার দিয়ে ক্রেতা আকর্ষণ করছেন দোকান মালিকরা।  

 

 

পাগলা এলাকার তরুণ-তরুণীরাও এখন চলতি ফ্যাশনের দিকেই ঝুঁকছেন। তরুণীদের পছন্দ টিস্যু কাপড়ের ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের জামা। পাশাপাশি কাতান, জামদানি শাড়ি ও পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। নারীদের সুতি, জর্জেট ও সিল্কের হরেক রকমের শাড়িও বিক্রি হচ্ছে মার্কেটগুলোতে। ছেলেদের পোশাকেও এসেছে বৈচিত্র্য। পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, জিনস, ফতুয়া ও জুতার বাজারে তরুণদের ভিড় দেখা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। চলছে হালকা কাজের ঝলমলে সুতির এবং সিল্কের পাঞ্জাবি, শেরওয়ানি ও কটি।  

 

 

পাগলা বাজার ব্যবসায়ীরা জানান, ব্যবসায়ীরা ঈদ উপলক্ষে অনেক টাকা বিনিয়োগ করেছে। পাগলার ঈদ বাজার সব সময় চাঙা থাকে। রোজার শুরুর দিক হওয়ায় এখন বেচাকেনা কিছুটা কম। তবে বাচ্চাদের কাপড় বেশি বিক্রি হচ্ছে এখন পর্যন্ত। তবে ১৮ থেকে ২০ রমজানের পর থেকেই বেচাকেনা আরও বাড়বে বলে জানান তারা।  

 

 

ব্যবসায়ীরা আরো জানান, পাগলা বাজারের বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখে সে তুলনায় এখন রোজার মাঝামাঝিতে বেচাবিক্রি জমে উঠতে শুরু করেছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বেচাকেনা বাড়বে বলে জানা গেছে।

 

 

এ এক মাস আমাদের ব্যবসার মৌসুম। রোজার শুরুর দিকে বেচাকেনা কিছুটা কম থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেচাবিক্রি বাড়ছে। গত এক বছর ভালো ব্যবসা হয়েছে। এবারও প্রত্যাশা করছি ভালো বেচাকেনা হবে। সে অনুযায়ী বিনিয়োগ করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে নতুন নতুন কালেকশন নিয়ে আসা হয়েছে।  এন.হুসেইন/জেসি

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন