বন্দর শাহী মসজিদ এলাকায় কিশোর সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া

যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২৩, ০৯:০৩ পিএম

# প্রবাসীদের বাড়ি টার্গেট করে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে
বন্দর শাহী মসজিদ এলাকায় কিশোর গ্যাং এর উৎপাত চলছেই। সারা দিন আড্ডা, স্কুল কলেজের মেয়েদের ইভটিজিং, মাদক ব্যবসা এবং মাদক সেবন সহ মারামারির ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। রাতের বেলায় ঘটছে ডাকাতি আর ছিনতাইয়ের ঘটনা। বিশেষ করে প্রবাসীদের বাড়ি টার্গেট করে ডাকাতির ঘটছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে। এরই মাঝে কয়েকটি ডাকাতির ঘটনায় বন্দর থানায় মামলাও হয়েছে। কিন্তু পুলিশ ডাকাতদের ধরতে পারেনি।
তাই এলাকাবাসী মনে করেন এই সকল কিশোর গ্যাং সদস্যরাই এসব ডাকাতির ঘটনা ঘটাচ্ছে। এদেরকে শেল্টার দিচ্ছে বন্দরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী খান মাসুদ। এই খান মাসুদের বিরুদের থানায় বহু মামলা এবং অভিযোগ রয়েছে। অতীতে স্থানীয় সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানও তার উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। খান মাসুদ একাধিকবার গ্রেফতারও হয়েছে এবং বিভিন্ন রকম অপরাধের দায়ে তার বিরুদ্ধে থানায় বেশ কিছু মামলা রয়েছে। ফলে তার শেল্টারে থাকা একাধিক কিশোর গ্যাং বেপরোয়া হয়ে উঠায় একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে ওই এলাকার সাধারন মানুষ।
এদিকে এলাকাবসী আরো জানিয়েছে শাহী মসজিদ এলাকায় খান মাসুদের হয়ে এসব সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাং এর নিয়ন্ত্রনে দায়িত্বে রয়েছে শেখ সিফাত নামে অপর এক সন্ত্রাসী। আর এই শেখ সিফাতই এদের দিয়ে প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে এবং তার নির্দেশনায় ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে বলে অনেকে দাবি করেন। তাই দিনে দিনে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পরছে শাহী মসজিদ এলাকা।
এদিকে এলাকাবসী আরো জানিয়েছে, ওই এলাকায় কিশোর গ্যাং এর উৎপাত এতোটাই বেড়েছে যে প্রায় প্রতি দিনই এক গ্রপ অপর গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। আর সংঘর্ষ চলাকালে এরা রামদা, তলোয়ার, চাপাটি, কিরিছ সহ দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করছে। এতে গোটা শাহী মসজিদ এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পরছে। এলাকাবাসী আরো জানিয়েছে, এসব কিশোর গ্যাং এর মূল গডফাদার হলো খান মাসুদ। আর এই খান মাসুদ দাবি করে সে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের চেলা।
মূলত তার শেল্টারেই ওই এলাকার উঠতি বয়সী ছেলেরা লেখাপড়া ছেড়ে অপরাধের পথে পা বাড়াচ্ছে। যার ফলে এলাকায় এখন চরম অরাজকতা বিরাজ করছে। এতে স্কুল কলেজে পড়ায় ছেলে মেয়েদের নিয়ে দুশ্চিন্তার মাঝে থাকতে হচ্ছে এলাকার অভিবাবকদেরকে। ফলে এসব সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করার জন্য অবিলম্বে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী। এছাড়া তারা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এস.এ/জেসি