রোববার   ০৬ অক্টোবর ২০২৪   আশ্বিন ২১ ১৪৩১

বাজারে নিত্যপণ্যের দাম চড়া

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

 


কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে লাগামহীন হয়ে পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজার। দাম বেড়েছ সবজি-মাছসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির কারনে বাজার ব্যাহত হয়েছে সরবরাহ ব্যবস্থা। ফলে নিত্যপণ্যের সকলকিছুর দাম বেড়েছে। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে লাগামছাড়া নগরীর সবজির বাজার। হাতেগোনা দু-একটি ছাড়া কেজিপ্রতি সবজির দাম ১০-২০ টাকা পযর্ন্ত বেড়ে গেছে।

 

 

দিগুবাবুর বাজারে ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৮০-১০০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, ঢ্যাড়স ৫০ টাকা, বরবটি ৮০-১০০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, লতি ৬০-৮০ টাকা, কহি ৬০ টাকা ও পটোল ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, শিম ২৫০-৩০০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়।

 

 

কাঁচামরিচের দাম ওঠানামা করছে। গত সপ্তাহে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া কাঁচামরিচের দাম নেমে এসেছিল ১৬০-১৮০ টাকায়। এ সপ্তাহে সেটি আবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২০-২৪০ টাকায়। এদিকে পাইকারিতে কেজিতে ২-৩ টাকা দাম কমলেও কয়েকটি দোকানে কিছুটা কমে বিক্রি হলেও বেশিরভাগ দোকানেই বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০-১১৫ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 


এছাড়া প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়, আর প্রতি পিস ফুলকপি ৭০ টাকা ও প্রতি পিস লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। বাজারে লালশাকের আঁটি ২৫ টাকা, পাটশাক ২০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ২০ টাকা, ডাঁটাশাক ২০ টাকা, কলমিশাক ১০-১৫ টাকা ও পালংশাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

 

বাজারে বেড়ে গেছে আদা-রসুনের দামও। প্রতি কেজিতে ৫-১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৪০ টাকা, আমদানি করা রসুন ২৬০ টাকা ও মানভেদে আদা বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৮০ টাকায়।

 


ক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ৪০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। হাবিব নামে এক ব্যাক্তি বলেন, সবজির দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে প্রায় সব কয়টার দামই সেঞ্চুরি হবে। ব্যবসায়ীরা শুধু অজুহাত খোঁজেন দাম বাড়ানোর। এতে যে ভোক্তার কষ্ট হয়, সেটি তারা বিবেচনা করেন না।

 


তবে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায় নেই কোনো তেমন পরিবর্তন। বেশিরভাগ মাছ বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ৩৬০-৩৮০ টাকায়। এছাড়া, চাষের পাঙাশ প্রতি কেজি ২০০-২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৫০ টাকা, চাষের কৈ ২৪০-২৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০-৬০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

 


বাজারে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২০০-২৩০০ টাকায়। এক কেজি ওজনের ইলিশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ১৭০০-১৮০০। ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য কেজিতে গুনতে হচ্ছে ১২০০-১৩০০ টাকা পর্যন্ত। মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতে ইলিশ রফতানি ও সামনের মাসে ইলিশ ধরা বন্ধকে কেন্দ্র করে মজুত শুরু করেছেন আড়তদাররা। এজন্য দাম কমছে না ইলিশের।     এন. হুসেইন রনী  /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর