রোববার   ০৬ অক্টোবর ২০২৪   আশ্বিন ২১ ১৪৩১

বাদলের ভূমিকায় ফিরতে মরিয়া সাদেক

এম মাহমুদ

প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

 

 

ফতুল্লার কাশিপুর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ বাদলের কাছে কাশিপুর ছিল যেন এক রাজার এক দেশ। কিন্তু গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার  পর বাদল ও তার দোসররা আত্মগোপনে চলে গেল কাশিপুর জুড়ে নয়া বাদলের ভূমিকায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক। কারণ তিনিও চান বাদলের মত কাশিপুরকে তার হতে জিম্মি করে কাশিপুরকে এক রাজার এক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে।

 

 যার কারণে ইতিমধ্যেই সাইফুল্লাহ বাদলের অপরাধের জগৎ সাদেক নিয়ন্ত্রণ নিতে তার সমর্থকদের নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়া বাদলের দোসররা কাশিপুরে ফিরতে শুরু করলে জোরপূর্বক সাদেক আওয়ামীলীগ ছাড়তে বাধ্য করছেন যে ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি তার কার্যকলাপের কারণে প্রশাসনের নজরদারিতে পড়েছিলেন এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছিল।


স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর সাদেকের বিভিন্ন কুকর্মের কারণে প্রশাসনের নজরদারিতে থাকায় তাকে রাত ৩টায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছাড়াও পান সাদেক। কিন্তু এই ঘটনার পর দিনই গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সাইফুল্লাহ বাদলের দোসর কাশিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও কাশিপুর ২নং ওয়ার্ড মেম্বার খোকাকে কান ধরিয়ে ভিডিও মাধ্যমে স্বীকারোক্তি নেয়া হয় সে আর আওয়ামীলীগ করবে না। 

 

ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায় খোকা কান ধরে বলছেন আমি আর আওয়ামীলীগ করতাম না। সাদেক ভাই যেখানে আছে আমি সেখানে আছি। অপর প্রান্ত থেকে সাদেক বলতে থাকেন সাদেক ভাই না, যে দলের নেত্রী আমাদের রেখে পালায় যায় সেই দল আর করব না। এমনটা বলতে বলেন সাদেক খোকাকে। আর এমন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে চারদিকে খোকার কান ধরা ভিডিও নিয়ে হইচই শুরু হয়।

 

 কিন্তু গত ৫ আগস্টের পর সাদেকের বহু কার্যকলাপে জনসাধারণে আবারও নিন্দা বইলেও সেটা প্রকাশ্যে আসছে না আসলেও সেটা সাদেক সরাসরি সম্পৃক্ত নয় তার সমর্থকরা সংগঠিত করছেন। যেমন: কাশিপুররের দুধর্ষ সন্ত্রাসী সাইফুল্লাহ বাদলের দোসর চাচা শ্যামল গত ৫ আগস্টের পর খিল মার্কেট এলাকার রাজত্ব ছেড়ে পালিয়ে গেলে। সেখানে উত্থান ঘটে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেকের আস্থাভাজন সমর্থক ফতুল্লা থানা যুবদল নেতা খেপা ইকবালের। ৫ আগস্টের পর কাশিপুরের খিল মার্কেট এলাকার বিভিন্ন ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সামাজিক বিভিন্ন কমিটির সভাপতি হয়েছেন। 

 

তার নিয়ন্ত্রীত ব্যবসার মধ্যে ডিস, ইন্টারনেট, ইট, বালু এবং সে এলাকার মিনি গার্মেন্টেসগুলোতে চাঁদা বা জুট নিতে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। মূলত, সাদেকের শেল্টারেই এই ইকবাল বেপরোয়া হয়ে খিল মার্কেট এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছেন। অথচ, গত ৫ আগস্টের পূর্বে কাশিপুরের ২নং ওয়ার্ডে ও খিল মার্কেট এলাকায় নিয়ন্ত্রণ করেছেন সাইফুল্লাহ বাদলের দোসর হিসেবে খোকা-শ্যামল। 

 

কিন্তু গত ৫ আগস্টের পর আওয়ামীলীগের পতন হলে কাশিপুরে বিএনপি সমর্থিত এই ট্যাগে যুবদল নেতা সাদেক ও তার সমর্থকদের কুকর্মে মানুষের মুখে বরাবর উচ্চারিত হচ্ছে বাদলের ভূমিকায় আসতেই সাদেক এখন মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এছাড়াও উল্লেখিত হচ্ছে গত ৫ আগস্টের পর কাশিপুরে সন্ত্রাস নৈরাজ্য অনেকটা নিমূল হলেও আবারও মাথাচারা দিয়ে উঠছে এসকল স্বার্থলোভী নেতাদের কার্যকলাপে।

এই বিভাগের আরো খবর