
প্রতি সন্ধ্যায় বোস কেবিনের সামনের খালি জায়গায় টুল সাজিয়ে যারা আড্ডায় মেতে ওঠেন তারা চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে দেশের চলমান রাজনীতি নিয়ে গলা ফাটানোর কসরত করেন। তবে বেশিরভাগ সময়ই তাদের আলোচনায় নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক প্রসঙ্গ প্রাধান্য পেতে দেখা যায়। কথার পিঠে কথা চলতে চলতে আলোচনা তুঙ্গে ওঠে গেলে মনে হয়,ওখানে বুঝি ঝগড়াঝাঁটি লেগে গেছে।
গত শনিবার বিকেলে ২নং রেলগেটে শামীম ওসমানের সমাবেশ শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যায় বোস কেবিনের নিয়মিত এক আড্ডাবাজের সাথে আলাপকালে তিনি আধ্যাত্মিকতার মুড নিয়ে বলেন,‘বেলুনটাতো ফুইট্টা গেছেরে ভাই, এক্কেবারে ঠুস হইয়া গেছে।’ পরে খোলাসা করে বলেন, শামীম ওসমানের সমাবেশে যারা গেছেন বা যাদেরকে আনা হয়েছে তারা সবাই কি আওয়ামী লীগ করেন? মোটেই না। সমাবেশে আগত জনতার শতকরা মাত্র ১০ ভাগ হয়তো আওয়ামী ঘরানার আর বাকী ৮০ ভাগই জামায়াত, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির লোক।
ওই ৮০ ভাগ লোকের বেশীরভাগকেই নগদনারায়ণ দিয়ে আবার কাউকে এটা-ওটা পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস প্রদান করে আনা হয়েছে। আর এ কারণে সমাবেশে হাজিরা দিয়েই অনেকে হাই তুলতে তুলতে কেটে পড়েছেন। শামীম ওসমান যাদেরকে লোক সংগ্রহের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তাদের অধিকাংশই বাছ বিচার করার প্রয়োজনীয়তা মনে করেননি। মিছিলে বেশি লোক নিয়ে নেতার নজর কাড়ার দিকেই তাদের দৃষ্টি ছিলো বেশি। কিন্তু পাম্প বেশি হওয়ায় বেলুন ফুটে যাওয়ার পর সমাবেশের আসল চেহারা উন্মোচিত হয়ে পড়েছে।
খানিক দম নিয়ে তিনি বলেন, কোটি টাকা বিলিয়ে শামীম ওসমান সমাবেশ করে কোন নতুন দিকনির্দেশনা না দিয়ে বললেন তাকে নাকি মেরে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে বলে শুনছেন। তো তিনি বসে না থেকে এখনো থানায় জিডি করছেন না কেনো ? এস.এ/জেসি