ব্যস্ত শহরে অলস সময় পার করছেন পোশাক ব্যবসায়ীরা

তানজিলা তিন্নি
প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৩, ০৩:০৭ পিএম

শহরের ব্যাস্ততার মাঝে অলস সময় পার করছেন শহরের পোশাক ব্যবসায়ীরা। তবে ফুটপাতে বসা ভাসমান দোকান গুলোতে চলমান রয়েছে টুকটাক বেচা কেনা। শহরের মানুষ মার্কেটের বড় দোকান গুলোতে না গেলেও ফুটপাত থেকে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় পোশাক বা নানা ধরনের পন্য কিনছেন।
শহরের কয়েকটি মার্কেটে বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মার্কেটে ক্রেতার ভির না থাকলেও সন্ধার পর ব্যস্ত সময় পার করছেন ফুটপাতের উপর বসা দোকানীরা। ক্রেতারা ও স্বাচ্ছন্দ মতো জিনিস কিনছেন। বিক্রেতাদের দাবী ঈদ অনুযায়ী যেমন বেচাকেনা ছিল স্বাভাবিক ভাবেই ঈদের পর এখন বেচা কেনা একটু কম থাকবে।
তবে বেচা কেনা কম থাকার একটা বড় কারণ হচ্ছে বর্তমানের নিত্য প্রয়োজনীয় বাজারের চড়া দাম। যার ফলে ক্রেতারা একটি জিনিস কিনেল দ্বিতীয়টি কেনার কথা দুবার ভাবেন। তবে ফুটপাতে ব্যবসায়ীরা কম দামে জিনিস কিনে কম দামে বিক্রি করতে পারেন তবে আমরা মান সম্মত জিনিস বেশি দামে দোকানে উঠাই যার ফলে আমাদের থেকে ফুটপাতের ব্যাবসায়ীদের ব্যবসা একটু ভালোই চলে। আশা করা যায় যে সামনের ঈদ-উল আযাহায় আমাদের ব্যবসা ভালো হবে।
ক্রেতারা বলছেন নিত্য প্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে আর তাই নিজেদের সামর্থ অনুযায়ী যদি আমরা ভাসমান দোকান গুলোতে সব কিছু পেয়ে যাই তাহলে কেউ বড় মার্কেটে গুলোতে যাবে না। আর মার্কেটে যেকোনো জিনিসের দাম অনেক বাড়তি থাকে।
তবে রাস্তার উপর ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা, তাদের দাবী তাদের দিনের বেলায় ব্যবসা করতে না দেওয়ায় তারা আশানুযায়ী বেচা কেনা করতে পারেন না। স্বল্প সময়ে তেমন ভালো ব্যবসা হয় না। ঈদের পর তাদে ব্যবসার অবস্থাও অনেক খারাপ।
ফুটপাত থেকে পোশাক কেনার সময় সামিয়া নামের একজন ক্রেতা যুগের চিন্তাকে বলেন , ঈদের সময় কেনা কাটা করেছি তবে হালকা কিছু কেনা কাটা করছি আর ফুটপাতে স্বল্পদামে ভালো জিনিস পেলে কেউতো আর মার্কেটে যাবে না।
শরিফ নামের একজন ক্রেতার সাথে কথা বললে তিনি বলেন , কিছু দিন আগেই ঈদের আমেজ টা কেটেছে এখন তো আর কেউ তেমন ভাবে কেনা কাটা করবে না। তাও যাদের খুব প্রয়োজন তারা ছাড়া কেউ কেনা কাটা করতে বর্তমানে আসবে না। এন.হুসেইন/জেসি