Logo
Logo
×

রাজনীতি

ব্যাকফুটে খোকন সাহা আস্থা চন্দনশীলে

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৭:২৩ পিএম

ব্যাকফুটে খোকন সাহা আস্থা চন্দনশীলে
Swapno


# সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রত্যাশা মন্দির কমিটি নিয়ে সমস্যার সমাধান হবে

 

ক্ষমতাসীন দল নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের জেলাও মহানগরের তিন নেতা নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমানের তিন নক্ষত্র। তারা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ- সভাপতি বাবু চন্দন শীল এবং সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা।

 

 

 

এমপি সেলিম ওসমান চান তারা উপরের দিকে দায়িত্বে আসুক। তিনি গত ১৫ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবে এক মতবিনিময় সভায় বলেছেন, আমি সব সময় চাই তারা তিন জন জনপ্রতিনিধিতে আসুক। সেটা হোক জেলা পরিষদ বা  অন্য কিছু।

 

 

 

তবে তার এই কথা ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন হয়ে গেছে; মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবু চন্দন শীল নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের জন্য আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় চেয়ারম্যান হয়েছেন। তবে বিরোধী দলে থেকেও জাতীয় পার্টির এমপি হয়ে সেলিম ওসমান চন্দন শীলকে সমর্থন জানান। 

 

 


কিন্তু এমপি সেলিম ওসমানের চাওয়ায় একজনের ক্ষেত্রে পুরণ হলেও বাকি দুজনের ক্ষেত্রে তার সেই চাওয়া এখনো পূরণ হয় নাই। তবে তারা আগামীতে জনপ্রতিনিধিত্বে আসবে, তিনি সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। তবে কিসে আসবে, তা তিনি ক্লিয়ার করেন নাই। উপরের পর্যায়ের নেতাদের সাথে কথা হলেও; এই সাংসদ তাদের সাথে তার এই তিন নক্ষত্রের নাম বলেন।

 

 


এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এখন চন্দন শীলে ভিড়তে শুরু করেছে। তার মাঝে জেলা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দরা এখন খোকন সাহা ছেড়ে চন্দন শীলের পালে ভিড় জমাচ্ছে। আর এতে করে অনেকটা ব্যাকফুটে চলে যাচ্ছে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড খোকন সাহা।

 

 

 

কেননা দীর্ঘ দিন যাবৎ নারায়ণগঞ্জ জেলা মহানগর হিন্দু বৈদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ, জেলা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ সহ সনাতন ধর্মালম্বীদের অন্যান্য সংগঠনের নেতারা খোকন সাহার সাথে সখ্যতা রেখে সংগঠনের কার্যক্রম চালিয়েছেন। কিন্তু যখনি নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ হতে মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বাবু চন্দন শীল নৌকার মনোনয়ন পান তখন হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা খোকন সাহার পাল ছেড়ে এসে চন্দনে ভিড় জমাতে থাকেন।

 

 

 

সেই সাথে আগে থেকেই জেলা পরিষদের বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নবাগত চেয়ারম্যান চন্দন শীলের সাথে সখ্যতা তৈরী করতে চান। ইতোমধ্যে হিন্দু নেতারা চন্দন শীলকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এদিকে সনাতন ধর্মালম্বী একাধিক নেতৃবৃন্দ জানান, দীর্ঘ দিন যাবৎ সনাতন ধর্মালম্বী সংগঠন গুলো মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড খোকন সাহার নেতৃত্বে পরিচালিত হয়ে আসছে, যা এখনি অব্দি আছে।

 

 

 

হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন গুলোতে যারা নেতৃত্বে আছে, তারা খোকন সাহা বলয়ের একান্ত অনুসারীরা বলে সূত্রমতে জানা যায়। আর এতে বুঝা যায় সনাতন ধর্মের সংগঠন গুলোতে খোকন সাহার আধিপত্য রয়েছে। তবে এই আধিপত্যে এবার ভাটা পড়তে যাচ্ছে বলেই ধারণা সচেতন নাগরিক সমাজের। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, হিন্দু নেতারা এখন চন্দন শীলে ভিড়তে শুরু করেছে।  আর এতে করে খোকন সাহা অনেকটা ব্যকফুটে চলে যাচ্ছেন। সেই সাথে হিন্দু সম্প্রদায়ে তার আধিপত্য দিন দিন কমছে।

 

 

 


জানা যায়, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি পদে দায়িত্বে রয়েছেন প্রদীপ কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন শিখন সরকার শিপন।

 

 

 

এছাড়া নারায়ণগঞ্জ মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরুণ কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক উত্তম সাহা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক উত্তম সাহা, নারায়ণগঞ্জ জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক প্রদীপ কুমার দাস।

 

 

 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি লিটন পাল, সোনারগাঁ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লোকনাথ দত্ত, আড়াইহাজার উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি হারাধন চন্দ্র দে, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শিশির ঘোষ অমর, সাধারণ সম্পাদক খোকন বর্মন, বন্দর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন দাস, পূজা পরিষদ নেতা কৃষ্ণ আচার্য, অভিরাজ সেন সজল, ভোলানাথ সাহা প্রমূখ।

 

 

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার জন্য অন্য কোন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন নাই। তাই হিন্দু নেতারা এখন জেলা পরিষদের নবাগত চেয়ারম্যানের পালে ভিড় জমাচ্ছেন। এছাড়া হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা শিখন সরকার শিপনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি যখন যেই পালে সুবিধা পান তখন সেই পালে গিয়ে তাল মিলিয়ে চলেন। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই।

 

 

 

তাই সচেতন মহল মনে করেন, চন্দন শীল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ায় খোকন সাহা কিছুটা ব্যকফুটে চলে গেছেন। আর এতে করে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা তার থেকে দূরে সরতে শুরু করেছেন। তবে এ বিষয়ে খোকন সাহার সাথে যোগাযোগ করা হলে তার নাম্বার ব্যস্ত পাওয়া যায়। এন.এইচ/জেসি

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন