
নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে নিজের অবস্থান ধরে রাখাটা কঠিনই হতে পারে মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের জন্য। যদিও তিনি ইতোমধ্যেই মনেপ্রাণে আজীবন বিএনপি ঘরানার রাজনীতিতে যুক্ত থাকার কথা ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু তার এই বক্তব্য অনেকের কাছেই বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না।
সামনে খোরশেদের জন্য আরো কঠিন সময় অপেক্ষা করছে বলেও অভিজ্ঞজনদের মতামত। তার অপরাধ; তিনি বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা এড. তৈমূর আলম খন্দকারের আপন ছোট ভাই। তার অপরাধ; তৈমূর আলম খন্দকার ক’দিন আগে তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন।
অথচ একসময় কী দুর্দান্ত প্রতাপে বিএনপি করেছেন এড. তৈমূর আলম খন্দকার ও তার ভাই খোরশেদ! দলে তাদের গ্রহণযোগ্যতাও ছিলো প্রশ্নাতীত। কিন্তু একটিমাত্র ভুল দুই সহোদরের রাজনীতির জীবন ওলটপালট করে দিয়েছে। নতুন ঠিকানায় তৈমূরও যে আগের ছন্দে কাজ করতে পারবেন সেই ভরসাইবা কতোটুকু!
নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার কমিশনার ও সিটি কর্পোরেশনের প্রভাবশালী কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের আরেকটি পরিচয় তিনি একজন করোনা যোদ্ধা। করোনায় মৃত্যুবরণকারীর লাশ ঘরে ফেলে আত্মীয়স্বজনরা যখন ভয়ে পালিয়ে যেতেন তখন খোরশেদ মৃত্যুকে তুচ্ছজ্ঞান করে সেই লাশ নিজের কাঁধে বহন করে কবরে ও শ্মশানে নিয়ে গেছেন। তার এই দুঃসাহসিক কর্মকাণ্ড সারা বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে অবলোকন করেছে।
তার গড়া ‘টিম খোরশেদ’ আজ দেশ ছাপিয়ে বহির্বিশ্বেও প্রশংসা কুড়াচ্ছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে খোরশেদের জনপ্রিয়তা যখন তুঙ্গে তখন হঠাৎ করেই নারীকেলেংকারিতে জড়িয়ে নিজেকে বিতর্কিত করে ফেলেন। এ ঘটনায় জেলে যাওয়ার পর তার জনপ্রিয়তায় ধস নেমে আসে। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে নতুন করে পথ চলার মুহূর্তেই ভাইকান্ডে ফের হোঁচট খেলেন।
এমনি যখন অবস্থা তখন ভাঙ্গা তরীর পাটাতনে দাঁড়িয়ে খোরশেদ যতই বলেন, তার বড় ভাই এড. তৈমূর আলম খন্দকার রাগে ক্ষোভে তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি তার পরিবারের ভরসাস্থল হলেও তার পরিবর্তিত রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের সাথে একমত নন।
তিনি শহীদ জিয়ার আদর্শ ধরে রাখবেন ও খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজনীতি করার ঘোষণা দিয়ে বলেন, মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত বিএনপি রাজনীতির সাথেই যুক্ত থাকবেন তিনি। খোরশেদের এসব কথায় নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে কোন প্রতিক্রিয়া এখনো লক্ষ্য করা যায়নি। এস.এ/জেসি