নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, আমি মহান আল্লাহর তায়ালার ওপর শুকরিয়া আদায় করছি। আমরা শত প্রতিকূলতার মধ্যেও আজকে এই কাউন্সিল অধিভিষন অনুষ্ঠিত করতে পেরেছি।

আমি আরও শুকরিয়া আদায় করতে করছি এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছি আজকে যিনি আজকে আমাদের এই অনুষ্ঠানে সূদুর প্রবাস থেকে উপস্থিত হয়ে  আমাদেরকে অনুপ্রানিত করেছেন এবং আমাদের প্রতি আন্তরিক যে বহি:প্রকাশ সেটাও ঘটাবেন আমাদের প্রান প্রিয় নেতা জনাব তারেক রহমান।

আমি আজকে শ্রদ্ধার সাথে স্বরন করছি আমাদের এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মহান স্বাধীনতার ঘোষক সফল রাষ্ট্রনায়ক জনাব জিয়াউর রহমান। আজকের এই সম্মেলনে উপস্থিত আমার প্রিয় কাউন্সিলর ও ডেলিগেট বন্ধুরা আপনাদের শুধু আমি কয়েকটা কথা বলতে চাই ,আমাদের দায়িত্ব দেওয়ার পর আমরা কি পেলাম সংগ্রাম ,আমরা পেরাম কি আন্দোলন, এ আন্দেলন সংগ্রামকে চেষ্টা করেছি অতীত কালের সকল ঐতিহ্যকে পিছনে ফেলে আপনাদের সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ করে সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করার জন্য।

সেই আহবানে সারা দিয়ে আপনারা আমাদের এই আহবায়ক কমিটিকে সহযোগীতা করেছেন সাহায্য করেছেন আজকের কাউন্সিল পর্যন্ত তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।আপনারা আমরা সবাই জানি একটি প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে আমাদেরকে রাজনৈতি করতে হচ্ছে।আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমানের দিক নির্দেশনা অনূযায়ী আমাদের আন্দেলন সংগ্রাম করতে হচ্ছে।

আপনাদের পরামর্শ সহযোগীতা করেছেন বলেই এরকম একটা অনুষ্ঠান করতে পেরেছি। আমাদের এই নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির গঠনকাল থেকে যারা এই দলকে সুসংগঠিত করেছেন নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের উল্লেখযোগ্য যাদের  আজকে কাউন্সিলে স্বরন না করি তাদেরকে যদি আজ শ্রদ্ধা না জানাই তাহলে আমরা সঠিক কাজটি করবো না।

আমাদের এই নারায়ণগঞ্জের কৃতি সন্তান বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ছিলেন এই নারায়ণগঞ্জের মুরুব্বি জনাব আব্দুল মতিন চৌধুরী । আজকে স্বরন  করি নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য যিনি এই বিএনপিকে সমৃদ্ধি করেছেন অবদান রেখেছেনমরহুম জালাল উদ্দিন আহমেদকে। আমি শ্রদ্ধার সাথে স্বরন করছি আমাদের নির্বাচনী এলাকা ৪ এর যিনি আমাদের দললে সংগঠিত করেছে এই নারায়ণগঞ্জ জেলায় কমান্ডার সিরাজুল ইসরাম সিরাজ ভাইকে এবং অনেকইে নেতৃত্ব দিয়ে আজকে দলকে এইকানে নিয়ে আসছে তারা আমাদের মাঝে নাই তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

মহান আল্রাহ তায়ালার কাছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা জানাই। প্রত্যেকটা ওয়ার্ড ইউনিয়নের নেতারা দলের জন্য কাজ করে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন তাদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানাই।যারা নেতৃত্ব দিয়ে দলকে এই পর্যন্ত এনে আমাকে এবং আমার সহকর্মীদের কাউন্সিলের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন সকল কমিটির সকল নেতৃবৃন্দকে আমি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই তাদের আহবানের জন্য।

তারা অনেক সুন্দর একটি সংগঠন দেওয়ার জন্য কাজ করে গেছেন নিরলস ভাবে তাদের এই কাজের স্বীকৃতি ও যোগ্যতা রাখে তাদেরকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।আজেেক আমি আকেটি কথা বলতে চাই আপনাদের কাছে সংগঠন নিয়ে আমি ছাত্র জীবন থেকে সংগঠন করে আসছি, একটি কথা আজকে বলা প্রয়োজন জাতির ক্লান্তি লগ্নে এদেশের সব চাইতে জনপ্রিয় নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সূদুর প্রবাসে থেকে এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি।

আন্দোলনের ডাক দিয়ে আমাদের কাজ করিয়ে যাচ্ছেন। এ সময়ের সবচেয়ে বেশি যা জরুরী কর্ম ক্ষেত্রে সবাই বলি কিন্ত করিনা সব চাই বড় প্রয়োজন আমাদের ঐক্য , মনে রাখতে হবে এই ঐক্য না থাকলে কোন দিন যত শ্লোগান দেই না কেন নেতার সামনে, যত বড় মিছিল মিটিং করি ঐ সংগঠন দিয়ে কোন আদর্শ বাস্তবায়ন করা যাবেনা লক্ষ্য অর্জন করা যাবেনা সেজন্য ঐক্যের প্রয়োজন ঐক্যের কোন বিকল্প নাই।

এটা খালি মুখে বললে হবেনা ,আমি বলতে চাই আমাদের মধ্যে দলের মধ্যে অনেক সময় ,ভালো মন্দ থাকবে এটাই স্বাভাবিক ,কেউ যদি মন্দ হয় তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মিথ্যাচার বা সত্য কথা বলেও তার মান সম্মানের ঘাটতি করা যাবেনা,কোন ভাইয়ের পক্ষ নিয়ে কোন কথা বলা যাবেনা। শুধু একমাত্র দলের অনুগত্য হয়ে  দলের জন্য কাজ করতে হবে। ভাই ভাই করে দলকে বিভক্ত করা হচ্ছে। এজন্য কোন নেতাকর্মী দোষী না দোষী হলাম আমরা যারা আমরা নেতা হতে চাই এমপি হতে চাই।

শুধুমাত্র আমাদের মধ্যে গলব,এটাকে পরিহার করতে হবে। আমার প্রিয় কাউন্সিলর ও ডেলিকেট ভাইয়েরা আপনাদের সাথে আমার অনেক দিন কথা হয়নাই,আজকে মনখুলে কথা বলছি শুধু মাত্র দলের নেতা আর দল হবে আমাদের আর অন্য যারা আছে এগুলাকে পরিহার করতে হবে তা  না হলে ঐক্য আনা যাবেনা। আরেকটি কথা বলতে চাই শিশু হয়ে জন্মগ্রহন বৃদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরন করি পিতামাতা যখন বয়স্ক হয়ে যায় তখনও কিন্ত সৎ সন্তানরা মানে এমনকি শ্রদ্ধা করে।

আমি বলতে চাই এই দলের মধ্যে একটি গুন আনতে হবে যারা নবীন অবশ্যই নেতৃত্বে প্রতিযোগীতা থাকবে কিন্ত মুরুব্বি ও সিনিয়রকে অবজ্ঞা করে নয়। তাদেরকে সম্মান দিয়ে এখন যে প্রতিযোগীতা হয় মুরুব্বিদের অপমান করা হয় সিনিয়রদের অবজ্ঞা করা হয় সামনে বসা আমার সেচ্ছাসেবক দল,ছাত্রদল,যুবদল আর মুরুব্বি এসে গুরে অন্য দিকে তাকিয়ে থাকে না দেখে এটা ভালো মানুষের কাজ না।মুবুব্বিদের সম্মান দিয়ে এই দলটাকে করতে হবে।

বৃহত্তর দল বিএনপি প্রতিযোগীতা থাকবে অবশ্যই কিন্ত এই প্রতিযোগীতা যেন না হয় হিংসাত্ত বা ধ্বংসাত্ত।এই প্রতিযোগীতা যেন না হয় ব্যক্তিগত আক্রোশের আমরা প্রতিযোগীতা করবো কোন নেতা নির্বাচিত হয়ে যাবেন আর কোন হিংসা বিদ্যেশ থাকবেনা,সবাই তার নেতৃত্ব মেনে নিতে হবে,সবাই তার নেতৃত্বে কাজ করতে হবে। এটাও যদি আজকে কাউন্সিলে অঙ্গিকার করে যাই তাহলে সঠিক কাজটি করে যেতে পারবো আর না হলে যতই শ্লোগান দেই ভাই ভাই তাহলে ভাইয়েরই থাকবো দলের না।

এটা আপনাদের কাছে আরেকটা অনুরোধ। আজকে আমাদের কাছে একটা এক্্রামপল হয়েছে আপনারা জানেন এই নারায়ণগঞ্জে অনেক যোগ্য নেতা আছে ,্আমার পাশে যারা রাজনৈতি করেন যাদেরকে আমি সম্মান করি যোগ্য নেতা আছে কিন্ত দলের এই দূর্দিনে তারা অনেক সেক্রিফাইস করেছে ,আমাকে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় আমাকে সভাপতি করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সাবমিট করেনাই এটা তাদের মহানুভতা আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

আমার চাইতে ভালো ব্যক্তি আছে কিন্ত করেননাই এই দলের কথা বিবেচনা করে আমাকে তারা সম্মানিত করেছেন আমার প্রতি আস্থা রেখেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই এবং এই কথাও বলতে চাই অবশ্যই আপনাদের এই সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করবো এবং দায়িত্ব পালন করবো এবং যখন সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাতে পারবো না তখন এই দায়িত্ব ছেড়ে চলে যাবো।

আরও একটি কথা বলতে চাই উদাহারন তৈলী করেছে রাজীব বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে যে আন্দোলন সংগ্রাম চলছে এই সময় একটু আগেই বলেছিলাম ঐক্যের বন্ধন প্রয়োজন সে সেটা উপলব্ধি করে আজকে সে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়ে খোকনকে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় সেক্টেটারী হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে এটা কত বড় সেক্রিফাইস ,ছাত্র জীবন থেকে সে গড়ে উঠেছে ,তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মতো জায়গায় প্রথম সে ছাত্রদলের নির্বাচিত ভিপি, সাংগঠনিক ক্ষমতা ,বক্তব্যে দেওয়ার যোগ্যতা সবকিছু তার মধ্যে আছে তার পরও এই যে সেক্রিফাইস এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।

এমনর সেক্রেফাইস যদি করতে পারি তাহলেই কিন্ত দলতে ভালবাসি দলের জন্য করতে পারি।আমি রাজিবকে ধন্যবাদ জানাই সমস্থ কাউন্সিলরদের পক্ষ থেকে যে উপযুক্ত সময় যে সেক্রিফাইস করেছেন। এতোদিন পর্যন্ত যত ভেদাভেদ ছিলো অভিভাবকের কোন কাজ নেই এমনটি না একজনের প্রতি ভালবাসা বেশি একজনের প্রতি কম। আাম আপনাদের প্রত্যেকটা মানুষকে সম্মান দিতে চাই এবং কর্ম অনুযায়ী ফল দিতে চাই। যে যত বেমি ত্যাগ করবেন, আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রাখবেন আমি আমার অথরিটিকে সেইভাবে জানাবো কাকে কিভাবে মূল্যায়ন করা যায়।

ঘরে বসে থাকবে আবার কেই কারো ভাইয়ের হবে কিংবা আমার পকেটের হবে এই দায়িত্ব পালন করতে আসিনাই। আমি পছন্দ করিনা সেটা আমি বলে যাই যখন স্টেজে দাড়িয়ে কেউ বকৃতা দেয় যে যত বড় নেতা হন পিছনে এসে দাড়ান আমি তা পছন্দ করিনা। ষ্টেজে জাদের ওঠার কথা না তারা ষ্টেজে ওঠেন আমি এটা পছন্দ করি না।

তাদের ঠেলে আপনারা জুনিয়ররা বিশৃঙ্খলা করেন এটা আমি পছন্দ করিনা । আমার রাজনৈতি ইতিহাসে বেয়াদবী আমি পছন্দ করিনা। আজকে তারেক রহমান এয়ারপোর্টে আসে ট্রাফিকের বাবার ক্ষমতা না কন্ট্রোল করবে,রাজপথ প্লাবন বয়ে যাবে ,আমি আপনিও যদি না যাই সাধারন মানুষ সমস্থ ইতিহাস পাল্টে দেবে।

উনি যখন নেতৃত্ব দেবে ওনার পাশে কি থাকবে চোর চোট্টা দূর্নীতিবাজ এই সরকারের যারা চুরি করে,অর্থপাচার করেছে তেমন কর্মী ,এলাকায় এলাকায় মাদকের ব্যবসা ,এলাকায় ডিসের ব্যবসা রাস্তায় চাদাঁবাজি ।আমরা ওনাকে ভালোবাসলাম ক্ষমতায় আনলাম। আমরা যদি চিটাগাং রোড ট্রোক স্টান্ড আছে সেখানে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা চাাঁদা তোলে।

যেদিন উনি ক্ষমতায় আসবেন আমরা গিয়ে কি দখল করবো ১৫ টাকার জায়গায় ২০ টাকা বা ২৫ টাকা নেবো এই আশা করে যারা রাজনৈতি করেন তাদেক রহমানকে যারা ভালবাসের ক্ষমতা নিবেন কিচ্ছু নিবেন না । সেইজন্য এই সম্মেলনের মধ্যে বলি ভালো মানুষ দিয়ে সংগঠন  করি খারাপ মানুষ বিদায় করি।   এন. হুসেইন রনী/ জেসি