Logo
Logo
×

রাজনীতি

মহানগর বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে পুলিশের বাধা

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৭ পিএম

মহানগর বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে পুলিশের বাধা
Swapno


# এই সরকার কালো পতাকাকে ভয় পায় : এড. সাখাওয়াত
# হাজারো মামলা ও পুলিশি বাধা উপেক্ষা করেই রাজপথে থাকবো : এড. টিপু

নারায়ণগঞ্জে মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত এক দফা দাবির কালো পতাকা মিছিলে পুলিশের বাধার পর ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ মহানগর বিএনপির ব্যানার টেনে নিয়ে যায় এবং তাদের ছত্রভঙ্গ করে সরিয়ে দেয়। কিন্তু এই বাধাকে উপেক্ষা করেই মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা একিত্রত হয়ে কালো পতাকা মিছিল নিয়ে চাষাড়া বালুর মাঠ থেকে গলাচিপা গিয়ে শেষ মিছিল শেষ করেন।

 

 

গতকাল মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারী) বিকেল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে ‘দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজ বন্দীদের মুক্তির ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের’ দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১ দফা দাবির কালো পতাকা মিছিলের আয়োজনে এই ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, মহানগর বিএনপি গতকাল বিকেল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে নানা দাবি নিয়ে কালো পতাকা মিছিলের ডাক দেয়।

 

 

সেই পরিপ্রেক্ষিতে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে স্পটে আসতে চাইলে সে এসেই পুলিশের সম্মূখিন হয় নেতাকর্মীরা। নেতারা জমায়েত হতে চাইলেই পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরবর্তীতে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদ্য কারামুক্ত মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু সেখানে উপস্থিত হয়ে সাহসীভাবে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহাদাতের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আপনাদের এখানে মিছিল করতে পারমিশন দেওয়া হয়নি।

 

 

সে সময় বিএনপির আহ্বায়ক তার কাছে থাকা পারমিশনের একটি চিঠি তাকে দেখান আর বলেন এটার পারমিশন পরবর্তীতে তারা বলে আমাদের এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি আমি শুধু জানি আপনাদের সড়কে কোন প্রকারের মিছিল করতে দেওয়া যাবে না। আপনারা ভিতরে গিয়ে মিছিল করেন, সে সময় মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশি বাধার সম্মূখিন হয়ে সেখান থেকে প্রেস ক্লাবের গলিতে মর্ডান হাসপাতালের সামনে চলে যায়।

 

 

সেখানে নেতাকর্মীরা জমায়েত হয়ে কালো পতাকা মিছিলের পূর্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। এমতা অবস্থায় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বক্তব্যে দেওয়া শুরু করলে সাথে সাথে সেখানে এক ঝাঁক পুলিশ চলে আসে। এসেই তারা তাদের পজিশন নেওয়া শুরু করে দেয়। পরবর্তীতে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দিতে নিলেই বক্তব্যের মাঝ পথে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের নেতাকর্মীরা সেখানে মিছিল নিয়ে উপস্থিত হন আর সাথে সাথে পুলিশ চড়াও হয়ে পরে আর মহানগর বিএনপির কালো পতাকা মিছিলের ব্যানার ধস্তাধস্তি করে নিয়ে যায়।

 

 

সে সময় ব্যানার ছাড়াই মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে চাষাড়া বালুর মাঠ থেকে মিছিল নিয়ে গলাচিপা এলাকায় গিয়ে সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দিয়ে কালো পতাকা মিছিল সমাপ্তি করেন।

 

 

এর আগে নির্বাচনের পূর্বে দেশের জনগণের কোন প্রকারের দাবি নিয়ে মাঠে নামলেই মহানগর বিএনপির সাথে পৃথক পৃথক কয়েক নারায়ণগঞ্জের পুলিশের সাথে ধস্তধস্তি হয়। তা ছাড়া কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ও রয়েছে। যাকে ঘিরে বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করছে নারায়ণগঞ্জের পুলিশের মাথা ব্যাথা হয়ে দাঁড়িয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। যাকে ঘিরে তাদের উপরেই পুলিশ বার বার চড়াও হয়ে থাকে।

 

 

আর নির্বাচনের পর নারায়ণগঞ্জে এই প্রথম পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি হয়েছে মহানগর বিএনপির সাথে পরবর্তীতে মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর থানা বিএনপির সাথে।
 

 


এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান যুগের চিন্তাকে বলেন, দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি থামাতে, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজ-বন্দীদের মুক্তির ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ৭ তারিখের নির্বাচন বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে এক কালো পতাকা মিছিলের আয়োজন করা হয়। এটি একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল।

 

 

কিন্তু আমাদের দাবি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার সহ্য করতে না পেরে পুলিশ দিয়ে আমাদের বাধা দেয়। পুলিশের কর্মকর্তারা এসে আমাদের মিছিলের ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। দেশে অবস্থা এমন হয়েছে যে স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছে। এই সরকারের বিরুদ্ধে যারা যাচ্ছে তাদের পর্যায়ক্রমে অধিকার হরণ করে নেওয়া হচ্ছে। আমরা এর তীব্র জানাই। এখন দেখা যাচ্ছে এই সরকার বিএনপির কালো পতাকাকে ভয় পায়। যার কারণে আজকে তাদের এই গণতন্ত্র বিরোধী ভূমিকা।
 

 


মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু যুগের চিন্তাকে বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজ বন্দীদের মুক্তির ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের’ প্রতিবাদে আমরা দুটো কথা বলার জন্য দাঁড়িয়েছি। কিন্তু আমাদের দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে নাই। আমরা রাস্তা আটকাইনি, কোনো গাড়ি থামাইনি। ফুটপাতে দাঁড়িয়ে কথা বলতে চাইলে আমাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়।

 

 

আমরা গণতন্ত্রের কোন কথা বলতে পারি না। তিনি আরো বলেন, এই পুলিশের পেটুয়া বাহিনী আমাদের উপর যতই চড়াও হোক আর আমাদের নেতাকর্মীরাদের নামে হাজারো মামলা দেক না কেন আমরা মহানগর বিএনপির কমিটি ঐক্যবদ্ধ কোন বাধা মহানগর বিএনপিকে দামিয়ে রাখতে পরাবে না। মহানগর বিএনপি বিগত দিনে রাজপথে ছিল। সামনে ও রাজপথে ব্যাপকভাবে থাকবে ইনশাআল্লাহ।   এন. হুসেইন রনী   /জেসি

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন