বুধবার   ০৪ অক্টোবর ২০২৩   আশ্বিন ১৯ ১৪৩০

মহিলা পরিষদের উদ্যোগে তৃণমূল সংগঠকদের সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

 

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পাঠাগার উপ-পরিষদের উদ্যোগে নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে তৃণম‚ল সংগঠকদের সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক প্রশিক্ষণ জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্য়ালয়ে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

 

প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা লক্ষী চক্রবর্তী সভাপতিত্ব করেন। শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাসিনা পারভীন।

 

 

এরপরে জেন্ডার ধারনা ও নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন জেলার সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পাঠাগার সম্পাদক রীনা আহমেদ। বাংলার নারী আন্দোলন ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি লক্ষী চক্রবর্তী। পরিচালনা করেন প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ সুজাতা আফরোজ।

 

 

অংশগ্রহণ কারীদের মধ্যে মতামত ব্যক্ত করেন, সদস্য শীলা সরকার, নীলা আহমেদ, তিথি সুর্বণা, সালমা বেগম প্রম‚খ। বক্তারা বলেন- নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও গনতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র, সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৭০ সালের ৪ এপ্রিল বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গড়ে উঠে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত ৫২ বছর ধরে সংগঠনটি বিভিন্ন ইস্যুতে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

 

 

বাংলার নারী আন্দোলনসহ সকল জাতীয় আন্দোলনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করেছে। নারী-পুরুষের বৈষম্য দ‚র করার লক্ষ্যে জেন্ডার সমতা, দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন, সচেতনতা বৃদ্ধি, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, শিক্ষা-স্বাস্থ্য, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক মুক্তি, সম্পত্তিতে সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা,

 

 

বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ প্রভৃতি বিষয়ে আজ পর্যন্ত আন্দোলন করে চলেছে। মহিলা পরিষদ এবার অভিন্ন পারিবারিক আইন চালু করার জোর দাবী জানাচ্ছে। হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ-খৃষ্টান সকল সম্প্রদায়ের এক ও অভিন্ন পারিবারিক আইন চালু করতে হবে। বিবাহ ও তালাক সংক্রান্ত আইন, সম্পত্তি আইন সব সম্প্রদায়েরর এক হওয়া জরুরী।

 

 

এভাবেই সংগঠনটি চ্যালেন্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে চলেছে। সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ের আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অনুষ্ঠানে জেলা ও শহর কমিটির ৩১ সদস্য অংশগ্রহণ করেন।    এন. হুসেইন রনী   /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর