রোববার   ০৬ অক্টোবর ২০২৪   আশ্বিন ২১ ১৪৩১

মাছ কাটা পেশায় জীবিকা নির্বাহ করছে শতাধিক বটি ওয়ালা

মেহেদী হাসান

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২৪  

 

নারায়ণগঞ্জ শহরে মাছের সব চেয়ে বড় পাইকারি বাজার হচ্ছে ৫নম্বর মাছ ঘাট। সেখানে প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পাইকারি ও খুচরা দরে বিক্রি হয় ছোট-বড় ও মাঝারি আকারের নানা রকমের মাছ। সেখান থেকে অনেকেই পাইকারি দরে বাড়িতে কিনে নিয়ে যায় নানা রকমের মাছ। মাছ কেনার পর অনেক ক্রেতারা বাজার থেকে মাছ কেটে নিয়ে যান। সেই মাছ কাটার জন্য বাজারে রয়েছে শতাধিক বটি ওয়ালা। তাদের মুল পেশা হচ্ছে মাছ কেটে দেওয়া।

 

প্রতিদিন গড়ে ১০০ থেকে ১৫০ কেজি পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের মাছ কাটেন তারা। সরেজমিনে নারায়ণগঞ্জ ৫নম্বর মাছ ঘাট এলাকায় দেখা যায় নদীর পারে এক সারিতে বসে বৃহত্তম আকারের বটি দিয়ে মাছ কাটছেন মাছ কাটা পেশাজীবীরা। ছোট বড় প্রায় সব ধরনের মাছ কাটেন তারা। ইলিশ, রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, কই, শিং, পাবদা, পুঁটি, পাঙ্গাস সহ নানা রকমের মাছ। বড় আকারের প্রতি পিস মাছ কাটার জন্য নেওয়া হচ্ছে ১০-২০টাকা এবং ছোট আকারে প্রতি কেজি মাছ নেওয়া হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা। 

 

এ বিষয়ে আকবর নামে একজন মাছ কাটা বটি ওয়ালা বলেন, আমি এখানে অনেক বছর ধরে মাছ কাটি। আমার সাথে আরও একজন সহকর্মী রয়েছে। প্রতিদিন আমি ১০০ কেজির উপরে আমি মাছ কাটি। এখানে বেশির ভাগ ক্রেতাই মাছ কেটে নিয়ে যায়। অনেকে বাড়িতে মাছ কাটা ঝামেলা হবে বলে এখান থেকে কেটে নিয়ে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্টের মাছ এখান থেকে কেটে নিয়ে যায়।

 

এ বিষয়ে মাছ কাটতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, আমি দু’তিন দিন পর পর এই বাজার থেকে মাছ কিনি। কিন্তু মাছ কেনার পর ৫০-১০০ টাকা দিয়ে এখান থেকে কাটিয়ে নিয়ে যাই। বাড়িতে অনেক সময় মাছ কাটা ঝামেলা হয়। এছাড়া বড় মাছ কাটার জন্য বটিও থাকে না। তাই এখান থেকে মাছ কেটে পিস করে নিয়ে যাই। তাতে ঝামেলাও কমে যায়। এস.এ/জেসি