Logo
Logo
×

বিশেষ সংবাদ

রমজানকে সামনে রেখে ফলের দাম বৃদ্ধি  

Icon

শ্রাবণী আক্তার

প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৪, ০৪:৩৪ পিএম

রমজানকে সামনে রেখে ফলের দাম বৃদ্ধি  
Swapno


রমজান না আসতেই বাড়তে শুরু করেছে ফলের দাম। সারাদিন রোজা রেখে সন্ধ্যায় ইফতারের সময় শরবতের সাথে একটু ফল রাখতে চায় সবাই। রমজান মাসে ইফতারের তালিকায় অন্যতম খাদ্য হিসেবে জায়গা পায় ফল। কিন্তু বর্তমানে মানুষের আয়ের চেয়ে নিত্যপণ্যের দাম তুলনামূলক বেশি।

 


এমনিতেই রমজান মাসে বাড়তি খরচ হয় প্রতিটি পরিবারের। এর মধ্যে সব কিছুরই দাম বাড়তি থাকায় সাধারণ জনগনের ভোগান্তির যেনো শেষ নেই। ইফতারের সময় যেসব ফলের চাহিদা বেশি তার মধ্যে বেশির ভাগ ফলই বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। বিশেষ করে আপেল, কমলা, মালটা ও আঙুর।

 


দেশী ফলের মধ্যে তরমুজ, বেল, কলা, পেয়ারা ও বাঙ্গি রাখতে দেখা যায় ইফতারে। কারো কারো বেলের শরবত ছাড়া চলেই না। এ বছর দেশী ফলের দাম ও চওড়া। প্রতি পিছ বেল খুচরা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়, ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ১ হালি দেশী সবরি কলা, বাঙ্গি ছোট সাইজ ৬০-৮০ এবং বড় সাইজ ১০০-১২০ টাকা ও পেয়ারা ৮০ টাকা মূল্যে বিক্রি হতে দেখা যায়।

 


গতকাল নারায়ণগঞ্জ চারারগোপ পাইকারি ফলের আড়ৎ ঘুরে দেখা যায় অনেক পাইকারই তরমুজ বিক্রি করছেন। শাহজাহান ট্রেডার্স ফলের আড়ৎ এর সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে বাংলালিংক ও ব্লাককুইন নামে দুই রকমের তরমুজ আসছে বরিশাল থেকে। তারা এই তরমুজ বিক্রি করছেন পিস বা শ হিসেবে।

 


একশত তরমুজ ছোট আকারে (২-৩) কেজি পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা। মাঝারি আকারে (৪-৫ কেজি) পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে সাত হাজার বা আট হাজার শ এবং খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০টাকা করে। কিন্তু বাজারে খুচরা বিক্রেতারা সেই ৫০-৭০ টাকা তরমুজ পিস হিসেবে কিনে বিক্রি করছে কেজি দরে। ওজন করলে দাম ২৫০-৩০০ টাকা হয়।

 


এ বিষয়ে খুচরা বিক্রেতা একজন তরমুজ ব্যবসায়ী বলেন, নতুন ফল এখনও বাজারে আমদানি নেই। তাই দাম একটু বেশি। কেজি দরে বিক্রি করছি, তরমুজ পুরো দমে বাজারে আসলে পিস হিসেবে বিক্রি করবো।

 


তরমুজ কিনতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, রমজান না আসতেই ফলের দাম নাগালের বাইরে। নতুন ফল বাজারে এসেছে তাই ভাবলাম কিনব, কিন্তু যেই দাম চায় তা আমাদের পক্ষে কেনা সম্ভব না। আগে পিস হিসেবে বিক্রি হতো এখন কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই ওজন করলে দাম ২৫০-৩০০ টাকা হয়।  
 

 


কালিবাজারের পাইকারী বিদেশী ফল বিক্রেতা মো. শান্ত জানান, তিনি ঢাকার বাদামতলী থেকে এনে এখানে প্রতি কেজি মালটা ২৬০ টাকা, কমলা ২২০ টাকা, আপেল ২২০, আনার মাঝারি সাইজেরটা প্রতি কেজি ৩৩০ টাকা, আঙুর ২২০, কালো আঙুর ৩০০-৩৩০ টাকায় খুচরা মূল্যে বিক্রি করেন। ফলের ঝুড়ি নিলে এই দামের চেয়ে প্রতি কেজিতেই ১৫-২০ টাকা কমে পাইকারী মূল্যে বিক্রি করেন।

 


তিনি জানান, বিদেশ থেকে ফল আমদানি করলে প্রতি কেজিতে ১৩০ টাকা ভ্যাট দিতে হয়। একঝুড়িতে ২৫০০ টাকা ভ্যাট আসে। যার কারণে বাদামতলী থেকে আমাদের কাছে বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে । না হলে ১ কেজি কমলার দাম সর্বোচ্চ ১০০-১৫০ টাকা হতো।

 


চাষাঢ়ায় সরেজমিনে দেখা যায়, খুচরা মূল্যের ব্যবসায়ীরা পাইকারী বাজার থেকে ফল এনে প্রতি কেজিতে প্রায় ৫০-৮০ টাকার বেশি লাভে বিক্রি করছেন। ফল বিক্রেতারা, প্রতি কেজি মালটা ৩৫০-৩৮০ টাকা, কমলা ২৫০-২৬০ টাকা, আপেল ২২৬০-২৮০ টাকা, কালে আঙুর ৩৬০-৩৮০ টাকা,  আনারের ছোট সাইজের কেজি ৩০০-৩২০ ও বড় সাইজের প্রতি কেজি আনার ৩৬০ টাকায় বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা।

 


নাম প্রকাশে এক বিক্রেতা জানান, সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে মালটায়। সামনে আরোও বাড়তে পারে রোযার সময়। গত সপ্তাহে মালটার কেজি ছিলো ৩৪০ এ সপ্তাহে ৩৮০ টাকা।

 


কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা বললে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ যেনো ফলের বাজারে আগুন। রমজান না আসতেই এই অবস্থা যেখানে রমজানে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য কমবে সেখানে রমজানকে কেন্দ্র করে দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সরকারের কাছে অনুরোধ থাকবে রমজানে যেনো বাজারে স্থিতিশীলতা বিরাজ করে। যেনো সবার পক্ষে সারাদিন রোজা রেখে ইফতারে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া সম্ভব হয়।   এন. হুসেইন রনী  /জেসি

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন