শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রূপগঞ্জে গ্রামবাসীর সঙ্গে মোশা বাহিনীর সংঘর্ষ

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২৩  


# পুলিশসহ আহত ২০ নারীসহ গ্রেপ্তার ৪

# আতঙ্কে এলাকার মানুষ


রূপগঞ্জের নাওড়া এলাকায় ফের তাণ্ডব চালিয়েছে ৩৪ মামলার আসামি দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী মোশারফ হোসেন ওরফে মোশা ও তার সশস্ত্র বাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকার চিনখলা গ্রামে মোশা বাহিনীর সঙ্গে গ্রামবাসীর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।

 

 

এ সময় গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণ করতে যাওয়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপরও চড়াও হয় মোশা বাহিনী। পুলিশ মোশাকে গ্রেপ্তার করার পর তার সহযোগীরা হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তাদের হামলায় পুলিশ ও গ্রামবাসীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত তিনজন।

 

 

পরে অভিযান চালিয়ে ওই এলাকা থেকে মোশা বাহিনীর তিন নারী সদস্যসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী মোশা বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে মোশারফকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে গ্রামবাসী।  

 

 

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা জানান, গতকাল সকালে চিনখলা গ্রামে ১০-১৫ জন লোক সঙ্গে নিয়ে নিজেদের জমি দেখতে যান নাওড়া এলাকার বাসিন্দা সফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন। এ সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালায় মোশা বাহিনীর ৭০-৮০ জন সদস্য। মোশারফ হোসেন মোশার নেতৃত্বে হামলাকারীদের মধ্যে ছিল তার দুই ছেলে নিরব ও স্বাধীন এবং তাদের সহযোগী আব্বাস, নাজমুল, আনার হোসেন, সাখাওয়াত উল্লাহ, জয়নাল, লিটন, তাজাল, রায়হান, রিফাত, রাজু, রোবেলসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা।

 

 

এ সময় তাদের হাতে ছিল পিস্তল, শটগান, রামদা, চাপাতিসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র। এ সময় সফিকুলকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী আহত হন। খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি ও র‌্যাব-১১-এর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। হামলাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করলে মোশা বাহিনীর সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।

 

 

একপর্যায়ে পুলিশ মোশাকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয়। কিন্তু সন্ত্রাসীরা তখন পুলিশের পর হামলা চালিয়ে মোশাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এতে রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান, এএসআই সহিদুল হকসহ পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হন। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়লে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে। তখন আনোয়ার হোসেন আনু নামে এক হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

 

 

পরে নারায়ণগঞ্জ জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) আবির হোসেন ও রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদের নেতৃত্বে নারী পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যরা চিনখলায় গিয়ে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারে ফের অভিযান শুরু করেন। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মোশা বাহিনীর তিন নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন: আলো আক্তার, জায়েদা আক্তার ও মারুফা আক্তার। 

 

 

রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, মোশারফ হোসেন মোশাসহ হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

 

 

গতকালের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কায়েতপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন মেম্বার জানান, মোশা বাহিনীর অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী হয়েও মোশারফ তিনজন গানম্যান নিয়ে চলাফেরা করেন। কিছু বলেই গ্রামবাসীকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নির্যাতন করে।

 

 

এসব ঘটনায় কোনও বিচার না হওয়ায় তারা এতোটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা চালাতেও পিছপা হচ্ছে না মোশা ও তার বাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে মোশাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে এলাকায় একের পর এক অপরাধ সে ঘটিয়েই যাবে। 

 

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাসিন্দা জানান, শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশারফ হোসেন মোশাসহ তার বাহিনীর সদস্যরা কারাগারে থাকার সময় নাওড়াসহ আশপাশের এলাকার মানুষ শান্তিতে ছিল। এখন জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তারা আবার পাঁয়তারা শুরু করেছে।  

 

 

নাওড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল আলিম মিয়া, মেকাইল ও নাজমা বেগম বলেন, মোশা বাহিনী আবারও নাওড়া এলাকার নিরীহ মানুষের ঘুম হারাম করে ফেলেছে। আমরা চরম আতঙ্কে আছি। সন্ত্রাসীদের আতঙ্কে ঘর থেকেই বের হতে পারি না। মোশাকে না থামালে সে একের পর ঘটনা ঘটাতেই থাকবে। তাই তাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।  

 

 

কে এই মোশা

রূপগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশারফ হোসেন মোশা হত্যা, ডাকাতি, রাহাজানি, ধর্ষন, চাঁদাবাজি, অপহরনসহ ৩৪ মামলার আসামী। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী এক স্থানীয় নেতার ছত্রছায়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মোশা ও তার বাহিনীর সদস্যরা। দেশের নতুন মেগা সিটি পূর্বাচলে গড়ে তুলেছে ভয়ংকর এক অপরাধের সাম্রাজ্য। 

 

 

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া গ্রামের মোতালেবের ছেলে মোশা ১৯৯৬ সালে তার আপন বড়ভাই শাহআলমের শরিরে এলোপাথারী শাবল ঢুকিয়ে নৃশংসভাবে হত্যাকান্ডের মাধ্যমে সন্ত্রাসী জীবনে আত্মপ্রকাশ করে। এরপর গত ২৬ বছরে মোশা হয়ে উঠেছে আরও ভয়ংকর এবং দূধর্ষ।

 

 

হিন্দু নারীদের প্রকাশ্য তুলে নিয়ে ধর্ষনের ঘটনা ছিল মোশার কাছে নিত্যদিনের ঘটনা। তার অত্যাচারে নাওড়া গ্রামের দুই শতাধিক সংখ্যালঘু পরিবার এলাকা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। জমি দখল আর পূর্বাচলের বিভিন্ন আবাসন প্রতিষ্ঠানের কাছে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে মোশা গড়ে তুলেছেন ভয়ংকর এক কিলার বাহিনী। এই বাহিনীর মধ্যে হিংস্র আর ভয়ংকর হিসেবে পরিচিত তার ভাই আনোয়ার, সাখাতুল্লাহ এবং বাহিনীর সেকেন্ড ইউ কমান্ড আব্বাস।

 

 

যাদের নাম শুনলে সে এলাকার সাধারন মানুষ এখনও ঘরে খিল এটে বসে থাকেন। তারা ক্রমেই অপরাধের সাম্রাজ্য বৃদ্ধি করে যাচ্ছেন। লুটপাট, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা আর ঘরবাড়ি ও জমি দখল তাদের অর্থের অন্যতম উৎস।২৭ বার জেলে থাকা এই ভয়ংকর সন্ত্রাসীর নামে রাজধানীর খিলক্ষেত, মোহাম্মদপুর, ভাটারা, বাড্ডা, রামপুরা, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ, আড়াইহাজার আর রূপগঞ্জে রয়েছে ৩৪ টি মামলা।

 

 

অধিক সাহসী আর ক্ষতিগ্রস্ত কিছু মানুষই কেবল মামলা করতে সাহস করেছেন তার বিরুদ্ধে। মোশার আরও শত শত অপকর্ম চাপা পরেছে কেবল মানুষ সাহস করে মামলা করতে না পারার কারনে।
 

 

চিহ্নিত সন্ত্রাসীর তিন গানম্যান
 
মোশারফ হোসেন মোশা চলাফেরা করেন তিনজন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী (গানম্যান) নিয়ে। পান থেকে চুন খসার আগেই ওই গানম্যান অস্ত্র দেখিয়ে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করেন তিনি। কথায় কথায় গুলি নিক্ষেপ কিংবা কককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে মোশা।

 

 

তার মতো একজন ভয়ংকর সন্ত্রাসী কীভাবে প্রকাশ্যে গানম্যান নিয়ে ঘুরে বেড়ায় তা নিয়ে বিস্মিত স্থানীয় বাসিন্দা এমনকী প্রশাসনের কর্মকর্তারাও। মোশার ক্ষমতার উৎস খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে ক্ষমতাসীন দলের রূপগঞ্জের শীর্ষ নেতার হাত রয়েছে তার কাঁধে। এ কারণে যা খুশি করে বেড়াচ্ছেন ভয়ংকর এই সন্ত্রাসী।  

 

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার এক কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানান, রাষ্ট্রের কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি অথবা ব্যবসায়ী বাস্তবিক নিরাপত্তার অভাব হলে ১৮৭৮ সালের আর্মস অ্যাক্ট এবং ১৯২৪ সালের আর্মস রুলস অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে শর্ট ব্যারেল অথবা লং ব্যারেল অস্ত্রের আবেদন করে কাছে রাখতে পারেন। নিজের নিরাপত্তার অভাব বোধ করলে অস্ত্রের লাইসেন্স এর আবেদন করতে পারেন।

 

 

তবে তাকে অবশ্যই জেলা প্রশাসনের লিখিত অনুমতি নিয়ে থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করতে হবে এবং বাৎসরিক নূন্যতম ২ লাখ টাকা আয়কর প্রদান করতে হবে। তবে গ্যানম্যান নিয়োগ গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিগণের অধিক ঝুকির আশংকা থাকলেই কেবল দেয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাকে অবশ্যই রাষ্ট্রের অতীব গুরুত্বপূর্ন অথবা শিল্পপতি কিংবা সিআইপি পদমর্যাদার হতে হবে। তদুপরি গুলিবর্ষনের সঠিক কারণ, গুলির হিসেব থানায় এবং জেলা প্রসাশককে লিখিতভাবে জানাতে হবে। 

 

 

সূত্রমতে, মোশারফের তিন দেহরক্ষী যখন তখন গুলিবর্ষণ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করলেও সে হিসেব এখন পর্যন্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কারও কাছে জানাননি তারা । তাছাড়া জেলা প্রশাসক কিংবা থানা পুলিশও জানেনা তার গ্যানম্যান পোষার বিষয়ে। একটি সূত্র জানান, সামরিক বাহিনীর অবসর প্রাপ্ত সদস্যরা এই গ্যানম্যান হিসেবে বেসামরিক ব্যক্তিদের চাকুরি করে আসছেন।

 

 

তবে সেটা কতোটুকু বৈধ উপায়ে হচ্ছে সে ব্যাপারে ধারনা নেই সংশ্লিষ্টদের। অনুসন্ধান করে জানা গেছে, রূপগঞ্জে ১৫ জন নাগরিক বর্তমানে গ্যানম্যান নিয়ে চলাচল করছেন। এরমধ্যে ১/২ জন বৈধভাবে সকল আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে গ্যানম্যান নিয়োগ দিয়েছেন কিংবা পাবার যোগ্যতা তাদের রয়েছে। তবে অধিকাংশ ব্যক্তি নেননি কোন অনুমোদন। তাছাড়া একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, মাদক, রাহাজানিসহ বিভিন্ন অপরাধে মামলা চলমান আছে। 

 

 

সূত্র জানান, গ্যানম্যান নিয়োগদাতা ব্যক্তিগণের ২/১ জন শিল্পপতি কিংবা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। বাকি সবাই সরকারি দলের সমর্থক। তারা এসব গ্যানম্যান নিয়োগ দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় শীর্ষ নেতার শেল্টারে। সে নেতা নিজে বিভিন্ন দপ্তরে তদবির করে অবৈধভাবে এসব গ্যানম্যানকে সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তায় রেখেছেন। এ কারনে তাদের গ্যানম্যানরাও বেপরোয়া হয়ে অপরাধ কর্মকান্ড সংঘটিত করছে। 

 

 

অপরদিকে সন্ত্রাসী মোশারফ কোন ব্যবসায়ী কিংবা রাজনৈতিক ব্যক্তি নয়। নয় জনপ্রতিনিধি কিংবা দলীয় পদধারী। এরপরও ৩ জন সশস্ত্র গ্যানম্যান নিয়ে চলাচলের কারণে প্রশাসনের নিরপক্ষেতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন সে এলাকার মানুষ।  

 

 

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এএফএম সায়েদ জানান, মোশারফের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা চলমান আছে। সে কোন উপায়ে গ্যানম্যান পেয়েছে সেটা আমরা জানি না। তিনি থানা পুলিশকে সশস্ত্র গ্যানম্যান নিয়োগের ব্যাপারে অবহিত করেননি। 

 

 

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ জানান, “রূপগঞ্জে কে কিভাবে কতোজন গ্যানম্যান নিয়োগ দিয়েছেন তা তিনি সঠিকভাবে জানেন না। তবে লিখিতভাবে এ ব্যাপারে তার কাছে তথ্য চাওয়া হলে; তিনি নথিপত্র বের করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবেন, বলে জানান। আলাদাভাবে সন্ত্রাসী মোশারফ অনুমতি নিয়ে গ্যানম্যান নিয়োগ দিয়েছেন কি না সে ব্যাপারেও অবগত নন তিনি।”   

এই বিভাগের আরো খবর