লোভে হুমকির মুখে তৈমূরের সন্তানদের ভবিষ্যৎ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৯ পিএম

অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের লোভের কারণে তার স্ত্রী সন্তানদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে পারে বলে মনে করেন নারায়ণগঞ্জ শহরের সচেতন নাগরিকদের অনেকে। গতকাল তাদের সাথে এ বিষয়ে আলাপকালে তারা বলেন, তৈমূর আলম খন্দকার বরাবরই একজন লোভী রাজনীতিবিদ। শুধু লোভী বললে ভুল হবে বরং তিনি প্রচণ্ড একজন লোভী মানুষ। তিনি তার সারা জীবন রাজনীতি করেছেন ব্যক্তিগত ফায়দা হাসিলের জন্য। তাকে কখনোই জনগনের স্বার্থে কোনো রাজনীতি করতে দেখা যায়নি।
সব সময়ই তিনি নারায়ণগঞ্জের ক্ষমতাসীনদের সাথে আতাত করে রাজনীতি করেছেন। তিনি একই সাথে টাকা এবং ক্ষমতা লোভী। এছাড়া তার মাঝে প্রচার পাওয়ার লোভও প্রবল ভাবে রয়েছে। তাই এবারও লোভে পরেই তিনি সরকারের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছেন। এ বিষয়ে এই শহরের একজন বামপন্থী রাজনীতিবিদ বলেন, এবার হয়তো তাকে সরকারের তরফ থেকে এমপি বানানোর লোভ দেখানো হয়েছে। সাথে নগদ টাকাও দেয়া হচ্ছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। আর পজিটিভ নেগেটিভ যাই হোক তিনি প্রচারতো পাচ্ছেনই।
ফলে ওই বামপন্থী নেতা মনে করেন মূলত লোভে পরেই অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, এটা এখন জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক ভাবে প্রচারিত হয়েছে যে সরকার বিএনপিকে মাইনাস করে আগামী নির্বাচনে যেভাবে আবারও জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করতে চাইছে সেই খেলায় এরই মাঝে অংশ নিয়েছেন অ্যাডভোকেট তৈমূর। যদিও যেকোনো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে অ্যাডভোকেট তৈমূরের কোনো জামানত থাকবে না। কারণ নারায়ণগঞ্জের কোথাও তার কোনো নিজস্ব ভোট ব্যাংক নেই।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহল আরো মনে করেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বুঝে হোক বা না বুঝে হোক তিনি যে ফাঁদে পা দিয়েছেন তাতে তার স্ত্রী সন্তানদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে পারে। বিশেষ করে তার দুই সন্তান যদি কখনো যুক্তরাষ্ট্র অথবা তার মিত্র কোনো দেশে গিয়ে বসবাস করার স্বিদ্ধান্ত নেন তাহলে তারা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো ভিসা পাবেন না। একই সাথে তারা কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য এবং নিউজিল্যান্ডেও যেতে পারবেন না।
কারণ যুক্তরাষ্ট্রের যে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি আইন রয়েছে এই আইনের অধীনে এই পাঁচটি দেশ একই রকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নীতিতে বলা হয়েছে কোনো ব্যক্তি যদি বাংলাদেশের জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করার দায়ে অভিযুক্ত হন তাহলে ওই ব্যক্তির স্ত্রী সন্তানরাও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবে না।
যার ফলে সরকার যেভাবে আগামী নির্বাচনটি বিএনপি সহ প্রকৃত বিরোধী দলগুলোকে বাদ দিয়ে একতরফা ভাবে করতে চাইছে তাতে সহায়তা করতে মাঠে নেমেছেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। তাই তৈমূর আলমও ভিসা পাবেন না এবং একই সাথে তার স্ত্রী সন্তানরাও মার্কিন ভিসা পাবেন না বলে মনে করেন নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহলের অনেকে। এতে লোভে পরে তৈমূর তার সন্তানদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছেন বলেই তারা মনে করেন। এস.এ/জেসি