লোভ-লাভে আতঙ্ক ছড়ান ছাত্রদল নেতা সাগর

যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহযোগী সংগঠন মহানগর ছাত্রদল। বিগত দিনে এই মহানগর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আন্দোলন সংগ্রামে কঠোর ভূমিকায় ছিলেন। কিন্তু গত ২০২৩ সালের ২৬ জানুয়ারী রাকিবুর রহমান সাগরকে সভাপতি ও রাহিদ ইস্তিয়াককে সাধারণ সম্পাদক করে মহানগর ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করার পর থেকে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়েনি মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগরের।
কমিটি পাওয়ার দেড় বছরে একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ড জন্ম দেওয়ার পর গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়লেই লুটতরাজসহ চাঁদাবাজি, দখল বানিজ্যে মগ্ন হয়ে উঠে সেই মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর। বড় পদের ভয় দেখিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের ইপিজেড, যমুনা-মেঘনা ডিপোসহ এর বাহিরে থাকা আরো বেশ কয়েক গার্মেন্টস-ফ্যাক্টরীর মালিকদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোরর্পবূক মালামাল নামানো,
কদমতলী এলাকার প্রতিটি দোকান থেকে ২০০/৩০০ টাকা করে চাঁদা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের দোকানে চাঁদা, ময়লার গাড়ি থেকে চাঁদা, আওয়ামী লীগের নেতা বিতর্কিত মতির সাথে আতাঁত করে বিভিন্নভাবে ইপিজেডের ঠিকাদারী ব্যবসার এগ্রিমেন্ট করা, আওয়ামী লীগ নেতাদের এলাকায় আনতে মোটা অংকের চাঁদাসহ, নাসিক ৫নং ওয়ার্ডে বিএনপির অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের মানববন্ধন এমন বহু অভিযোগ কেন্দ্রে জমা পরলে গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
এদিকে সূত্র জানিয়েছে, সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডে ঠিকাদারী ব্যবসার আধিপত্য বিস্তার ছিলো সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি ও ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতির হতে। পট পরিবর্তনের সাবেক এমপি শামীম ওসমানের অন্যতম সিদ্ধিরগঞ্জ সেক্টরের সকল অপরাধের নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি আওয়ামী লীগ সরকার পল্টি দেয়ার পর গা-ঢাকা দেয় পুরো বাহিনী নিয়ে।
পরবর্তীতে তার এই ঠিকাদারী ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন ছাত্রদল নেতা রাকিবুর রহমান সাগর কিন্তু তিনি কয়েকদিন যাবৎ তার লোকবল নিয়ে সেখানে বেশ কয়েকটি কারখানা গিয়ে হুমকি-ধামকি দিয়ে ওয়েস্টিজ মালামাল নামিয়ে আনতে চায় তা না পেরে তিনি কয়েকদিন চুপ থেকে যমুনা-মেঘনা ডিপোর দিকে হাত বাড়ায় সেখানে তিনি মহানগর শ্রমিক দলের আহ্বায়ক এস.এস আসলামের সাথে যোগাযোগ করে এমনকি তাকে প্রধান অতিথি বানিয়ে কয়েকটি ওয়ার্ডে মিলাদ-দোয়া আলোচনা সভার পোগ্রাম করেন তিনি।
সেই সময় তিনি ২টি ডিপো ও কয়েকটি তেল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সাথে কথা বলে ভয়-ভীতি দেখায় সে সময় তার সে সময় তার সাথে সহযোগী হিসেবে ছিলেন, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি নাদিম, মহানগর ছাত্রদল নেতা কামাল, মহানগর ছাত্রদল নেতা ইস্রাফিল বাবু, শাহ-আলম মানিক। সে সময় তিনি তার লোকজনের চলাফেরার কথা চলে সেখান থেকে চাঁদাবাজিসহ দুর্ষর্ধ সন্ত্রাসী পানি আক্তারের কাছ থেকে তার ৬৬ লাখ টাকার গাড়িটি চলাচলের জন্য নিয়ে নেয় বলে অভিযোগ উঠে।
একই সাথে বিমান তেল সিন্ডিকেট মেম্বার মেহেদী ও তার ভাই মিনার সরকারের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা মূল্যের স্যামস্যাং ফোলডিং-৪ ফোন গিফট নেয় সাগর একই সাথে তার লোকজনের জন্য মোটা অংকের টাকা ও চাঁদা আনেন তিনি। তা ছাড়া নাসিক ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রিপনকে এলাকায় আনতে তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ও নিয়েছেন এই কথিত ছাত্র নেতা সাগর।
পরবর্তীতে গত ২৮ অক্টোবর তার বন্ধু পলাতক কাউন্সিলর মতির ভাগিনা মামুনের সহযোগীতায় ইপিজেডে গিয়ে সেখানকার অনন্ত অ্যাপারেলস, সিমবা-১, সিমবা-২, সিমবা-৩, ডিএনডি এবং ইয়োকোহামা গার্মেন্টের ওয়েস্টিজ মালামাল নিতে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসে কিন্তু সেদিনই অনন্ত অ্যাপারেলস এর ওয়েস্টিজ মাল তিনি নামিয়ে নিয়ে আসেন। সেদিন তার সাথে পানি আক্তার ও মানিক মাস্টার গ্রুপের লোকজন ও সাথে ছিলো।
এ ছাড়া ও তার সহযোগী হিসেবে ছিলেন, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি নাদিম, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি কামাল, মহানগর ছাত্রদলের ইস্রাফিল বাবু, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মেহেদী, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মুক্তাদির রহমান হৃদয়, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন রনি, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফ খান জয়, সাবেক প্রচার সম্পাদক মামুন খান মহাগনর ছাত্রদল সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক আন্দালিভ রহমান মিরাজ,
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আকাশ, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি কাদিরসহ আরো অনেকেই। পরবর্তীতে তিনি মতিউর রহমান মতির ভাগিনা মামুনের সহযোগীতায় মতির সাথে ফোনে যোগাযোগ করিয়ে দিলে প্রায় ১২টি গার্মেন্টসের ওয়েস্টিজসহ যাবতীয় মালামালের ঠিকাদারী লাইসেন্সের রেফার্ড নামে এগ্রিমেন্ট করে অনন্ত অ্যাপারেলস-১, অনন্ত অ্যাপারেলস-২, অনন্ত অ্যাপারেলস-৩, অনন্ত অ্যাপারেলস-৪, অনন্ত অ্যাপারেলস-৫, অনন্ত অ্যাপারেলস-৬, সিমবা-১, সিমবা-২, সিমবা-৩,
ডিএনডি এবং ইয়োকোহামা, মারোশিয়া এগুলো তিনি বিএনপির কোন নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ না করে একাই হাতিয়ে নিয়েছে সাগর। তা ছাড়া কয়েকটি ব্যবসায়ীর নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা এডভ্যান্স নেওয়ার অভিযোগ ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এদিকে বিগত দিনে এই সাগর মহানগরের একজন যুবদল নেতার পরিচয় দিয়ে চললে ও গত ১ বছর যাবৎ বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের নামেই চলেন তিনি। এ দিকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ৭নং ওয়ার্ডে বিএনপি অফিস ভাংচুর ও বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ।
সে ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীরা। মানববন্ধনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য শামীম ঢালী বলেন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সাগর এমন কোন জায়গা নেই যেখান থেকে চাঁদাবাজি করেনি। সে কদমতলী এলাকার প্রতিটি দোকান থেকে ২০০/৩০০ টাকা করে চাঁদা উঠায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দোকানে চাঁদা তোলে, ময়লার গাড়ি থেকেও সে চাঁদা দাবী করেছে।
৭ নং ওয়ার্ডের পাশেই আদমজী ইপিজেড। সেখানে সে হুমকি ধমকি দিয়ে ঝুট বের করছে। যুবলীগের মতি, পানি আক্তারের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সে এসকল ব্যাবসা করছে। আমরা বাঁধা দেয়ায় সেখানে তারা বিএনপির অফিস ভাংচুর করেছে। আমাদের দলের নেতাদের উপর তারা হামলা চালিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এত রক্তের বিনিময়ে এ দেশ চাঁদাবাজদের কাছে জিম্মি হওয়ার জন্য স্বাধীন হয়নি। আমরা এই সাগরের কাছ থেকে মুক্তি চাই। এই সন্ত্রাসীদের কোন ভাবেই বাড়তে দেয়া যাবে না। আমরা আমাদের এলাকায় আরেকটা মতি দেখতে চাই না।
তা ছাড়া বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের নাম ব্যবহার করে রাকিবুর রহমান সাগর উল্লেখিত তার লোকজনসহ যুবলীগ-ছাত্রলীগের লোকজদের সাথে মিলে-মিশে সিদ্ধিরগঞ্জ জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। ছাত্রদলের সভাপতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে পরলে ও রাকিবুর রহমান সাগর এখনো বেপরোয়া হয়ে আছেন।
এদিকে এর আগে ও বহু বিতর্ক কর্মকাণ্ড জন্ম দিয়েছিলেন এই রাকিবুর রহমান সাগর ২০২৩ সালের ২৬ জানুয়ারী রাকিবুর রহমান সাগরকে সভাপতি ও রাহিদ ইস্তিয়াককে সাধারণ সম্পাদক করে মহানগর ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করার পর থেকে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না মহানগর ছাত্রদলের। কমিটি পাওয়ার বছরেই বিএনপি বড় বড় প্রোফাইলের নেতাদের কাছ থেকে জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বাষির্কীর কথা বলে মোটা অংকের টাকা কালেকশন করে পরবর্তীতে ছোট একটি দোয়ার পোগ্রাম করে সব টাকা পকেট বন্দি করেন আর কিছু টাকা দিয়ে কক্সবাজারে ফূর্তি করতে চলে যাওয়ার অভিযোগ ছিলো সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে
যা নিয়ে বিতর্কের পর্ব পরবর্তীতে একই বছর নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের ৭টি ইউনিট কমিটি গঠনে কমিটি গঠনে পদ অনুযায়ী ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা বাণিজ্যের মাধ্যমে আরেক দফা বিতর্ক সৃষ্টি হয়। যা নিয়ে নারায়ণঞ্জ কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন মহিউদ্দিন তার কাছ থেকে দফায় দফায় সভাপতি দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছেন সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর। এছাড়াও আরো অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কমিটিতে স্থান দেয়নি বলে জানা গেছে।
এছাড়া বিগত সময়ে সাগরের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর মধ্যে, গত বছরের রমজানের পূর্বে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর নামে বিভিন্ন নেতাদের থেকে টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে, যেমন বিএনপির নিবাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, বিএনপির আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ তাঁরই প্রতিপক্ষ বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাওয়াত হোসেন খান, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাদের থেকে টাকা তুলেছেন কারো কাছ থেকে ৫০ হাজার,
কারো থেকে ২০ হাজার, আবার কারো থেকে ৫ হাজার। তখনও বাদ পড়েনি সিদ্ধিরগঞ্জের তেল ব্যবসায়ী, শহরের কিছু বিএনপির শিল্পপতি তাদের থেকে ও মোটা অংকের টাকা কালেশন করেছিলেন তিনি। মোটা অংকের টাকা একত্রিত করেছেন। কিন্তু কিছু কমল ও সাধারন মাঝে প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যে বিতরণ করেন প্রায় ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে আর বাকি থাকা প্রায় ৩/৪ লাখ টাকা নিয়ে সাগর ছাত্রদের নেতাদের নিয়ে কক্সবাজারের ফূর্তিতে চলে যান।
তাছাড়া গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহা-সমাবেশ পুলিশ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতানের সংঘর্ষে সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। সেখানে পুলিশের ছোঁড়া গুলি সাগরের চোখে খাওয়ার খবর শোনা গিয়েছিলো। যাকে ঘিরে কয়েক দফায় চলমান বিএনপির হরতাল-অবরোধ আন্দোলনে একদিনের জন্য ও দেখা যায়নি সেই সাগরকে। কিন্তু সর্বশেষ সাগর কিছু ছাত্রলীগের বন্ধুদের বলে সিদ্ধিরগঞ্জের একটি চিপায় অবরোধ পালন করতে দেখা গিয়েছিলো যাও স্বল্প সময়ের জন্য।
তা ছাড়া আন্দোলনের প্রথম থেকে শেষ সময় পর্যন্ত সিলেটের সুনাগঞ্জে সময় পার করেছেন এই সাগর। তার বিরুদ্ধে বিএনপির এই কঠোর আন্দোলনের নাম বিক্রি করে ও টাকা উঠানোর অভিযোগ রয়েছে, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, তারই প্রতিপক্ষ বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়ার দিপুর কাছ থেকে।
এদের কাছ থেকে আন্দোলনের নামে মোটা অংকের টাকা নিয়ে আন্দোলনে বিপদে থাকা কোন একটি নেতাকে ও সহযোগীতার জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়নি। তা দূরের কথা কারো কোন খোঁজ খবরও রাখেনি এই সাগর। তা ছাড়া ও এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে গত ১৭ জুলাই কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে খানপুরে একটি খালি জায়গায় অবস্থানে ছিলেন এই রাকিবুর রহমান সাগর। গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সব থেকে বেশি তাণ্ডব চালিয়ে পুরো সিদ্ধিরগঞ্জ জুড়েই এই রাকিবুর রহমান সাগরও তার লোকজন। তা ছাড়া সেদিন থেকে নিজেকে ত্যাগী নেতা হিসেবে ও জাহির করতেও ব্যস্ত তিনি। বর্তমানে সিদ্ধিরগঞ্জে বেপরোয়া সাগরকে রুখবে কে? কমিটি ভাঙার পরে সাগর নতুন কমিটি বাগিয়ে নিতে দৌড়ঝাঁপ করছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।