Logo
Logo
×

বিচিত্র সংবাদ

শহরে নতুন আলো (ভিডিও)  

Icon

প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০১৮, ১১:৪১ পিএম

শহরে নতুন আলো (ভিডিও)  
Swapno

শামীমা রীতা (যুগের চিন্তা ২৪) : ধরুণ রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন। হঠাৎ দৌড়ে এসে একঝাঁক আলো আপনার সম্মুখে এসে দাড়ালো !  কেমন লাগবে ?  নিশ্চয়ই মন্দ নয়। 

সন্ধ্যা নামলেই সমারোহ ঘটে  লাল, নীল, হলুদ, সবুজ নানা রঙের আলোর। দেখলে মনে হয় হাজারো আলোর মাঝে শহরে এ যেন এক নতুন আলো। শুরু হয় এক ঝাঁক আলোর সড়কের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছোটাছুটি।

হঠাৎ করে দেখলে যে কারোরই চোখ ধাঁধিয়ে যাবে। বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও এ আলোয় আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠছে। হাতের মুঠোয় এ আলো নিয়ে ছুটোছুটি করছে দিকবিদিক। 

বলছিলাম আলোর বেলুনের কথা। মূলত আলোর বেলুন বলার কারণ হচ্ছে বেলুনটি অন্যসব বেলুনের চেয়ে আলাদা। এ বেলুনের বিশেষত্ব হচ্ছে আলো। বেলুনটিকে সাজাতে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশেষ ধরণের আলো। অনেকটা মরিচা বাতির মত। 

যা ব্যাটারী দ্বারা পরিচালিত। বেলুনটিকে যাতে সহজেই নেভানো জ্বালানো যায় সেই সুবিদ্ধার্থে বেলুনের নিচে সুইচের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আর এ বেলুন প্রতি পিছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা করে।

ইতিমধ্যেই  নারায়ণগঞ্জে এ বেলুনগুলোর বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ছোট-বড় সকলের মাঝেই এ বেলুন হয়ে উঠেছে আর্কষনীয় বস্তু।  বিশেষ করে শিশুদের মাঝে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এ  বেলুনগুলো আসলো কোথা থেকে?

বহু অনুসন্ধানের পর জানা যায়। এ বেলুনগুলো প্রক্রিয়াজাত হয় মূলত চীনে। আর সেখান থেকে বাংলাদেশে  চট্টগ্রাম থেকে চকবাজারসহ বিভিন্ন জেলাতে পৌঁছে যাচ্ছে।   

তবে নারায়ণগঞ্জে এ বেলুন পৌঁছে দিচ্ছে মজিদ মিয়া। যে যাত্রবাড়ির বাসিন্দা। ১২ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জে প্রথমবারের এ বেলুন নিয়ে আসে মজিদ। তার ভাষ্যমতে, সেইই প্রথম নারায়ণগঞ্জে এ বেলুন নিয়ে আসে। 


 
মজিদ মিয়া যুগের চিন্তা ২৪ কে বলেন,  আমরা ৭- ৮জন মিলে এ বেলুন নারায়ণগঞ্জে নিয়ে আসছিলাম। এখন তো আমার কাছ থেকে নিয়ে অনেকে বিক্রি করছে।  

তিনি বলেন, মূলত এ বেলুন তৈরী হয় চীনের। আর আমরা চকবাজার থেকে এ বেলুন কিনে আনি।  তারপর এখানেই বানাই। প্রতি পিছ বেলুন বিক্রি করছি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। 

বিক্রি কেমন হয় এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভালোই হয়। লাভ তেমন না হলেও বেচা কেনা ভালো হয়।

এদিকে বাবার সাথে বেলুন কিনতে শহীদ মিনারে এসেছে চার বছর বয়সী সানজিদা। এখনও বেলুন কিনতে না পারায় তার মন খারাপ। বাবা-মায়ের সাথে শহীদ মিনারে ঘুরতে এসে বেলুন কেনার বায়না ধরেছে ছোট্ট সিয়ামও। কিন্তু দরদামে বনিবনা না হওয়ায় বেলুনটি কেনা হচ্ছে না ।

সিয়ামের বাবা জানান, আসলে দামটা একটু বেশি। তাই কিনছিনা। এত দাম দিয়ে কিনে কি হবে নষ্ট করে ফেলবে। কিন্তু যে অবস্থা এখন একটা হলেও কিনতে হবে। 
 

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন