শীতের কেনাকাটায় ফুটপাতে ভীড় শপিংমলগুলো ক্রেতাশুন্য

যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:৩৯ পিএম

শীতের আগাম বার্তায় প্রকৃতি। গরমের আভাষ কেটে শীত শীত ভাব। বছর ঘুরে আবারো আসি আসি করছে শীত। গ্রাম গঞ্জে শীতের প্রভাব পড়লেও নগরীতে শীতের আমেজ সেভাবে নেই বললেই চলে। কিন্তু শীতের মৌসুম কে বরন করে নিতে নেই তেমন কোনো প্রস্তুতি। ব্যবসায়ীরা শীতের কাপড়ের বাজার গরম করে ক্রেতাদের অক্ষোয় থাকেন। তবে প্রতাশিত ক্রেতাদের দেখা মিলছেনা শীতবস্ত্রের বাজারে।
ফুটপাতে ব্যবসায়ীদের বেচা কেনা আবার জমে উঠেছে বেশ। ফুটপাত বা ভাসমান দোকানের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন ক্রেতারা। সাধারণত শীত পুরো পুরি শুরু হওয়ার আগেই শীতের বাজার জমে ওঠে। শীতের মাকের্টে বিভিন্ন ধরনের পোশাকের পসরা বসেন সাজিয়ে ব্যবসায়ীরা । বাড়িতে ছোট বড় সবার জন্যই পুরোপুরি শীত নামার আগেই শীতের জন্য নতুন গরম কাপড় কিনে থাকেন অনেকেই।
এবার মুলত দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। পোশাক ব্যবসায়ীদের মতে, এবছর বাজার মূল্যের উদ্ধগতির জন্য মানুষ আর্থিক ভাবেও অস্বচ্ছল। যার কারণে মূলত মানুষ সাশ্রয়ী হয়ে উঠেছে। বাড়িতে থাকা পোশাক দিয়েই কাজ চালাচ্ছেন অনেক।
বিকেল হতে রাত পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ কালির বাজার থেকে চাষাড়া এলাকা জুড়ে শীতের বাজার জমে ওঠে । ফুটপাতের হর্কাস দের হাক ডাক বারে সন্ধা নামার সাথে সাথে। তবে মানুষ দেখা যায়না মার্কেটের দোকান গুলোতে। রঙিন রঙিন শীতবস্ত্র সাজিয়ে রাখলেও ক্রেতারা ভীর জমাচ্ছেন ফুটপাতে। কারণ কম দামে দৃষ্টি নন্দন শীতের পোশাক মেলে ফুটপাতেই।
ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা বিদেশ থেকে ব্যবহুত আমদানিকৃত পোশাক চট্টোগ্রাম থেকে কম টাকায় কিনে আনেন। পড়ে সেগুলো নারায়ণগঞ্জের খুচরা বাজারে বিক্রি করেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এসব পোশাকের দাম হয় সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। আর ক্রেতারা দেখতে সুন্দর ও কম দামের কারণেই মূলত এসব ব্যবহুত পোশাকের দিকে বেশি নজর দিচ্ছেন। মার্কেট থেকে নতুন দেশীয় পোশাকের তুলনায় এসব ব্যবহুত পোশাক গুলোকেই শীতে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন ক্রেতারা ।
অন্যান্য বছর শীত একটু দেরিতে আসলেও এবার নভেম্বর শুরুতেই শীতের শীতলতা শুরু হয়েছে, ফলে নগর জীবনে শীতের প্রভাব তেমন না পড়লেও বাজারে নতুন নতুন শীতবস্ত্র দিয়ে দোকান সাজিয়েছেন ব্যাবসায়ীরা। যার ফলে শীতবস্ত্রের পাইকারি বাজারও জমে উঠছে।
নারায়ণগঞ্জ নয়ামাটির পাইকারি ব্যবসায়ীর সাইফুলের কাছে শীতের ব্যবসার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মূলত শীতের পাইকারী বাজার শীত নামার আগেই জমে ওঠে, খুচরা ব্যবসায়ীরা শীত নামার আগেরই দোকানে মাল কিনে জমিয়ে রাখেন সেজন্য শীতের মাঝ পথেই পাইকারী বাজারে শীতের বেচা কেনা প্রায় শেষ হয়ে যায়।
ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এখানে মূলত চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আসা শীতের পোশাক বিক্রি হয়। এসব পোশাক আমরা গাইড হিসেবে কিনে আনি। এখানে কোনো দেশি পোশাক নেই। এসব পোশাক ব্যবহƒত। বিশেষ করে জ্যাকেট, কটি, বেবি স্যুট, ভেলবেট জ্যাকেট, ট্রাউজার, বয়েজ জ্যাকেট, লেডিস জ্যাকেট, ফুলহাতা গেঞ্জি পাওয়া যায় এখানে।
আর এসব পোশাক ব্যবহুত হওয়ার কারণে পোশাকের দাম তুলনামূলক অনেক কম আর পোশাক গুলো দেখতেও অনেক সুন্দর যার ফলে মানুষ এসব পোশাক দেখে ও দামে কম বলে ক্রেতারা ফুটপাত থেকে পোশাক নিচ্ছেন।
চাষাড়ায় শীতের পোশাক কিনতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, এখন নিত্যপন্য বাজারের অবস্থায় নতুন শীতের পোশাক কেনা বিলাসীতা মাত্র। তারপরেও বাচ্চাদের আবদার নতুন পোশাক তাদের কিনে দিতে হবে। এ কারণে একটু কম দামে ফুটপাত থেকে শীতের পোশাক কিনে নিয়ে যাচ্ছি।
নারায়ণগঞ্জ কালির বাজারের ফুটপাতের আরেক ব্যবসায় রুবেল জানান , দিনে দিনে লোকের ভীড় বাড়ছে । আমাদের ব্যবসার অবস্থা ভালো। আজ শুক্রবার তাই মানুষের ভির তবে অন্যন্য দিন এর থেকে একটুৃ কম মানুষ থাকে । কিছুদিন পর শীত পুরোপুরি পড়লে আমাদের শীতের ব্যবসার আশানুরূপ ফল পাবো।
শীতের পোশাক কিনতে আশা আর একজন ক্রেতা জানান, মার্কেটের ভিতরে থেকে কিনলে এসব পোশাক পাওয়া যায় না। সব দেশি পোশাক। আর এখান থেকে যে পোশাক গুলো পাওয়া যায় সেই গুলো দেখতে খুবই সুন্দর এবং দামেও খুবই কম। তাই আর মার্কেটের ভিতর থেকে কিনছে না। কম দামে পাওয়া গেলে তো মানুষ সেখান থেকেই কিনবে তাই না!