Logo
Logo
×

রাজনীতি

শেষ রক্ষা হবে তো ?

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৪, ০৪:০০ পিএম

শেষ রক্ষা হবে তো ?
Swapno

গত ১৬ বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে অনেক রথী মহারথীর আগমন হয়েছে। অনেকে দিয়েছেন হুঙ্কার, নানা সময়ে অনেকে দেখিয়েছেন ক্ষমতার দাপট। রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের নানা ফুলঝড়ি ছিটিয়ে জেলা, মহানগর, উপজেলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের পদ আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। ইচ্ছা হয়েছে তো ত্যাগীদের এসব কমিটিতে রাখেননি, মূল্যায়ন করেননি, আজ্ঞাবহ আর আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে অনেক অযোগ্যব্যক্তিদের দিয়ে কমিটি  বোঝাই করেছেন। কিন্তু কোটা আন্দোলন সংঘর্ষে রূপ নিলে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের আসল চেহার বেরিয়ে এসেছে। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা  মহানগর আওয়ামী লীগের পদ আকঁড়ে রেখে গত এক যুগের বেশি কি অর্জন করেছে সেটি বেরিয়ে পড়েছে। তাদের ব্যর্থতা আর দৈনদশার চূড়ান্ত রূপ সকলে প্রত্যক্ষ করেছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই আর সাধারণ সম্পাদক এড.আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলেরও দ্বন্দ্ব, হুঙ্কার মাটিতে মিশে ধূলিশ্যাত। এসকল নেতার যে আদতে কোন জনপ্রিয়তা কিংবা লোকবল নেই সেটি এখন উন্মুক্ত বিষয়। 

 

কোটা সংস্কার আন্দোলনে তাদের নেতৃত্বাধীন জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, এদের ইউনিট আওয়ামী লীগ, উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, তাঁতী লীগ, শ্রমিক লীগ, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগ, যুব মহিলা লীগ কোনটাই কাজে আসেনি। আর তাই শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যে তাণ্ডব দুর্বৃত্তরা চালিয়েছে সেসময় তারা কোথায় ছিলেন এই জবাবও অনেকে চাচ্ছেন। লজ্জায় আর ব্যর্থতায় তো জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভঙ্গুর আওয়ামী লীগ কার্যালয় পরিদর্শনের সময় তারা সামনে আসেনি। আদতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের এই করুণ অবস্থা নতুন নয়। কর্মী থাকুক আর না থাকুক তারা পদের বলে অনেক বড় নেতা হয়ে বসে আছেন। এরমধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের বর্তমান বাসস্থান ২নং রেলগেট কার্যালয়ের ২০০ গজের মধ্যে। আর সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহার বাসস্থান ও অফিস দুটোই পায়ে হাঁটা দুরত্বে। কিন্তু আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নারকীয় তাণ্ডবের সময় তারা দুইজন কিংবা তাদের অনুসারীদের ছায়ার খোঁজও মেলেনি। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশে অবস্থিত থানকাপড় মার্কেটে ব্যবসায়ীদের অনুনয় বিনয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে শেষ পর্যন্ত আগুন দেয়নি দুর্বৃত্তরা জানিয়েছে সেইসময় সেখানে উপস্থিত থাকা ব্যক্তিরা। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই বসবাস করেন মার্ক টাওয়ারে। ব

ছরের অধিকাংশ সময়ই জেলা আওয়ামী লীগের বিরোধ আর উপজেলাসহ নানা কমিটি দেয়া নিয়ে তার বাসায় থাকে ব্যাপক ভিড়। সর্বশেষ জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি ইচ্ছামত সিনিয়র নেতাদের বাদ দিয়েছেন, নিজের আজ্ঞাবহদের দিয়ে কমিট প্রস্তাব করেছেন। আওয়ামী লীগ কার্যালয় যখন ভাঙা হলো তিনি কিংবা তার তোষামোদকারী নেতাদের কারো ছায়াও দেখা যায়নি। কমিটি নিয়ে বিশৃঙ্খলায় ওস্তাদ চাঁদপুর থেকে আগত নেতা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড.আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল। থাকেন ঢাকায়। তার স্ত্রীও বড় নেত্রী। এতো বড় নেতার লোকজন নেই শহরে এটি নিয়ে ট্রোল চলছে। তিনি যে ব্যর্থ তা তিনি নিজেও জানেন। আর তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসার পর তিনিও লজ্জায় আর পার্টি অফিসে থাকার সাহস করেননি। এদিকে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে ও নিজেদের পদ বাঁচাতে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের চারজন নেতাই এখন শামীম ওসমানের ঘাড়ে সাওয়ার হয়েছেন। তবে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের যেন তাদের তিনজনের চাইতে একটু বেশি জলদি। কেননা এক আরাফাতেই তিনি কাবু হয়ে পড়েছেন। এরমধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঘটনায় ব্যর্থতা তার রাজনীতিকেই চূড়ান্ত সংকটে ফেলেছে। এবার দেখার বিষয় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের এই চার নেতার শেষ রক্ষা হয় কিনা !
 

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন