সিদ্ধিরগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবকলীগে কারা আসছে

যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৩, ০৯:২৫ পিএম

# চাঁদাবাজদের কমিটিতে না রাখার দাবী তৃণমূলের
# কেউ যেন প্রভাব বিস্তার করতে না পারে
টানা তিন মেয়াদ ধরে ক্ষমতায় রয়েছে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। এক দিকে ক্ষমতাসীন দল আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। অপর দিকে সহযোগি সংগঠনগুলো ঢেলে সাজিয়ে সাংগঠনিক ভাবে দল শক্তিশালী করছে। তারই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওয়ার্ড কমিটি এবং থানা কমিটির গঠনের জন্য সম্মেলন শুরু করেছে।
তার মাঝে ১০ মার্চ থকে শুরু তরে ১৪ মার্চ পর্যন্ত সিদ্ধিগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৯টি ওয়ার্ডের সম্মেলন শেষ হলেও কোন কমিটি ঘোষনা হয় নাই। কমিটি ঘোষনা না হলেও তা নিয়ে নেতা কর্মীদের মাঝে আলোচনা তৈরী হয়েছে। কেননা স্বাভাবিক ভাবে সম্মেলনে কর্মীরা ওয়ার্ডের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদে কারা নির্বাচিত হবে তা নির্ধারণ করা হয়।
কিন্তু এখানে তা হয় নাই। সম্মেলনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভোটার না থাকায় এবং একাধিক প্রার্থী থাকায় কমিটি ঘোষনা হয় নাই। তবে সম্মেলনের পর কমিটি পেলে নেতা কর্মীরাও অনেক আনন্দিত হন।
এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওয়ার্ডের সম্মেলন শেষে এবার থানা সম্মেলন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সেই সাথে থানায় কারা নেতৃত্বে আসছে তা নিয়ে চলছে হিসেব নিকেশ। এছাড়া সিদ্বিরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগে যারা পদে আসতে চায় তারাও এখন লড়েচরে বসেছে। সেই সাথে পদে আসার জন্য নিজেদের অবস্থান তুলে ধরার পাশা পাশি দৌরঝাপ করছেন।
প্রত্যেকে নিজ নিজ ভাবে কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে স্থানী নেতাদের কাছে যাচ্ছে। আবার অনেকে এমপিদের কাছে যাচ্ছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। এছাড়া যারা সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন তাদের অনেকের নামে নানা অভিযোগ রয়েছে। বিতর্ক ব্যক্তিরা দলের পদ ভাগিয়ে সংগঠনের সুনাম ক্ষুন্ন করবে তা কেউ মেনে নিবে না।
অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওতাধীন সিদ্ধির স্বেচ্ছাসেবকলীগ কমিটিতে আসার জন্য একঝাক নেতৃবৃন্দ মাঠে নেমে কাজ করে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরী করছেন। একই সাথে দলীয় নানা কর্মসুচি পালনের মাধ্যমে নিজেদের কার্যক্রম তুলে ধরছেন। পাশা পাশি যারা পদ-পদবীর মাধ্যমে নেতৃত্বে আসতে চান তারা কেন্দ্রীয় নেতাদারে সাথে যোগাযোগ করে যাচ্ছেন।
ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলছেন সিদ্ধিরগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবকলীগ কমিটিতে এবার নতুনদের মুখ আসছে। যারা নেতৃত্বে আসছে তারা চমক নিয়ে আসছে। কিন্তু কেন্দ্র থেকে কমিটি ঘোষনা না হওয়া পর্যন্ত তাদের নাম বলা যাচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, সিদ্ধিরগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক। বর্তমানে তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক লীগকে ঢেলে সাজানোর জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে রাত দিন কাজ করে যাচ্ছেন।
সেই সাথে দলকে শক্তিশালী করার জন্য কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে যাচ্ছেন। তিনি জামাত বিএনপি সরকারের আমলে সাইনবোর্ড রাস্তা অবরোধ করে পুলিশের মামলায় আসমী হয়ে নির্যাতিত হন। তাই তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদে আসার জন্য আলোচনায় রয়েছে।
তার বিপরীতে সিদ্ধিরগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি পদে এখানকার বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ভূইয়া রাজু মাঠে নেমেছেন। তার বিরুদ্ধে দলীয় পদ নিয়ে প্রভাব বিস্তার সহ চাদাঁবাজির অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া নারাণয়গঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করায় গত বছরের ১৬ জানুয়ারি নাসিক নির্বাচনের দিনি এই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।
তাই তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ জানান, তারা যদি আবারও কমিটির দায়িত্বে আসে তাহলে তাদের আচরণ পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে নতুন মুখ হিসেবে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন শিব্বির আহম্মেদ। অপর দিকে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন ইলিয়াস হোসেন।
তিনিও এখানে স্বেচ্ছাসেবক লীগকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া প্রতিটি মিছিল মিটিংয়ে ব্যপক লোক নিয়ে সম্মেলনে যোগদান করেন। তার সাথে পাল্লা দিয়ে মানিক খন্দকার মাস্টার সিদ্ধিরগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক লীগে প্রার্থী হয়েছেন।
দলীয় সূত্রমতে জানাযায়, এখানকার সভাপতি প্রার্থী আমিনুল ইসলাম রাজু, শিব্বির আহম্মেদ শামীম ওসমান বলয়ের অনুসারী। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মানিক মাস্টার কাউন্সিলর মতির লোক হিসেবে পরিচিত।
ত্রাা পদে আসার জন্য নিজেদের মত করে দৌরঝাপ করে যাচ্ছেন। দলীয় ভাবে অভিযোগ রয়েছে শামীম ওসমান বলয়ের অনুসারীরা গত বছরের নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করে নাই।
সিদ্ধিরগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে আওয়ামী লীগের সহযোগি সংগঠন ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতি শুরু করি। তারই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি পদে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি।
তাছাড়া দলের দুঃসময়ে বিএনপি জামাতের বিরুদ্ধে রাস্তা অবরোধ করে ওয়ান এলিভেনের সময় সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়েছি। তাই আমাকে সিদ্ধিরগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক লীগের দায়িত্ব দেয়া হলে দলের সকলকে নিয়ে শক্তিশালী করতে পারবো।
আমি বিশ্বাস করি আগামী ২১ মার্চ আমাদের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার দায়িত্বরত নেত্রী এড. শাহানারা ইয়াসমিন সম্ভাব্য সম্মেলনের দিন ঘোষণা করেছেন। আমরা চাই দ্রুত ভাবে দলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হোক। সেই সাথে এখানে নতুন নেতৃত্ব তৈরী হোক। এন.হুসেইন/জেসি