Logo
Logo
×

রাজনীতি

সিনিয়রদের অনুপুস্থিতিতে ছন্নছাড়া তৃণমূল

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৪ পিএম

সিনিয়রদের অনুপুস্থিতিতে ছন্নছাড়া তৃণমূল

কোটা সংস্কার আন্দোলনের তীব্রতা যখনই দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে তখনই কয়েকটি মহল নিজেদের সুবিধা স্বার্থে এই শান্তিপূর্ন আন্দোলনকে সহিংসতায় রূপ দেয়। যাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জেলায় জেলায় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত আসতে দেখা যায়। যার কম দেখা যায়নি নারায়ণগঞ্জে। সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস বাস-যানবাহন রেহায় পায়নি আন্দোলনে জড়িয়ে পড়া দুস্কৃতিকারীদের হাত থেকে। আর সব মিলিয়ে নারায়ণগঞ্জে সহিংসতায় ক্ষতির পরিমান ৫০০ কোটি টাকা। 

 

বর্তমানে যাকে ঘিরে গতকাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের ৫ টি থানায় মামলা হয়েছে ২৯টি যার মধ্যে গ্রেফতার ৬০০ এর বেশি। আর প্রতিটি মামলায় বা গ্রেফতারে বিএনপির পদ-পদবীসহ বিএনপির সাথে জড়িত থাকা নেতাকর্মীরাই মামলা- গ্রেফতারের আওতায় পরছেন। যাকে ঘিরে বিগত দিনের ন্যায় আবারো বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে গেছেন। তা ছাড়া বর্তমানে জেলা ও মহানগর বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা যারা পদ-পদবী নিয়ে বসে আছেন তাদের কাউর সাথেই সংযোগ অবহৃত রাখতে পারছেন না বিএনপির কর্মী পর্যায়ের নেতারা। জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ শহর বর্তমানে বিএনপিশূন্য সকল নেতাকর্মী বর্তমানে গ্রামগঞ্জে পাড়ি জমিয়েছেন। কিন্তু রাজপথের কর্মীদের চাঙ্গা রাখতে যোগাযোগ অবহৃত রাখা অতন্ত জরুরি বলছেন অনেকেই। তা না হলে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মেসেজ থেকে শুরু করে সামনে কি পদক্ষেপ প্রয়োজন সেই বিষয়ে কোন আলোচনায় ব্যর্থ হবেন কর্মীরা যা বর্তমানে তাদের মুখের হতাশা কষ্ঠেই বোঝা যাচ্ছে। সকলেই বলছেন ছাত্র আন্দোলনে বুক ফুলিয়ে তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করা বিএনপির বর্তমানে কোথায় পালিয়েছে বলছে সাধারণ জনগণ। সকলেই বলছে, বর্তমানে বিএনপির নামে পুলিশের ধড়পাক্কড় চলমান রয়েছে। যেখানেই বিএনপি সেখানেই ধাড়পাক্কড়ের তাণ্ডব চালাচেছ বিএনপি। এদিকে বর্তমানে বিএনপির বহু নেতাকর্মী তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে গুহায় ঢুকে আছে। এদিকে গত ২৮ অক্টোবরে বিএনপির হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তাল দেখা দিলে। মামলার খড়গে পরতে হয় বিএনপিকে। তখন ইন্টারনেট ব্যবস্থা গতি ভালো থাকায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিডিয়াসহ আন্দোলনের অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের সাথে দফায় দফায় আলোচনা চলমান থাকলে ও বর্তমানে আন্দোলনকে ঘিরে ইন্টারনেট বন্ধ- আবার ২ দিন যাবৎ চালু হলে ও ধীরগতি যাকে ঘিরে বিএনপির নেতাকর্মীরা অনলাইন হতে পারছে না। তা ছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেকেই বর্তমানে কারাগারে থাকায় তাদের সাথে যোগাযোগ নেই নেতাকর্মীদের সব মিলিয়ে অনেকটাই দৈন্যদশায় পরিণত হতে যাচ্ছে বিএনপি। তা ছাড়া বিএনপির বর্তমানে কি করা প্রয়োজন সে বিষয়ে ও কোন নির্দেশ নেই হাইকমান্ডে।
 
সূত্র বলছে, বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সকলকে ওয়ার্ড  পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন নিজ নিজ এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের তালিকা করতে। যার মাধ্যমে আগামীতে যেন বিএনপিকে একেবারেই নিস্কীয় করে ফেলা যায়। যাকে ঘিরে বর্তমানে বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের স্বজনদের মধ্যে ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এদিকে শুধূ বিএনপি নয় দেশ জুড়ে যতই শিক্ষার্থী আছে সকলের পরিবার তাদেরকে নিয়ে চিন্তিত হয়ে আছেন। তা ছাড়া এই আন্দোলনকে ঘিরে বর্তমানে সাধারণ জনগণ ও বিপাকে আছেন। একদিক দিয়ে ব্যবসা-চাকুরী খাতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে অনেকেই। আবার অন্যদিক দিয়ে রাস্তায় চলাফেরা ও বর্তমানে সমস্যার সম্মূখিন হচ্ছেন সাধারণ জনতা। 

 

বাহিরে বেড় হয়ে পুলিশের কবলে পরলে প্রথমেই স্বাধীন দেশকে অস্বাধীন দেশে রুপান্তরিত করে চেক করা হচ্ছে সাধারণ জনগণের পার্সোনাল মোবাইল যাকে ঘিরে ও সাধারণ জনগণ ক্ষুদ্ধ হচ্ছে। বর্তমানে আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকা বিএনপির নেতাকর্মীরা কোথায় প্রশ্ন সাধারণের এমনকি বিএনপির কর্মীপর্যাযের নেতাকর্মীদের। 

 

নেতৃত্বধানকারী জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ¦ গিয়াস উদ্দিন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব শাহেদ আহম্মেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহাবুব হোসেন, সদস্য সচিব সালাউদ্দিন সাল্লূ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসেন খান রানা, সদস্য সচিব মমিনুল ইসলাম বাবু, জেলা কৃষকদলের সভাপতি ডা. শাহিন, সাধারন সম্পাদক রিফাত, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক মুজিবর, মহানগর শ্রমিক দলের আহ্বায়ক এস.এম আসলাম ও সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান ভূইঁয়া, সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের রহমান জিকু, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক রাহিদ ইস্তিয়াকসহ আরো অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বর্তমানে কোথায় আছে? বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের উচিৎ কোটা আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জে আহত নিহতের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এমনটাই মনে করছেন বিএনপি কর্মীরা। ছাত্ররা যতটুকু পেরেছে আন্দোলন করেছে। আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি। অনেক প্রাণ গেছে। অনেক রক্ত ঝরেছে। বিএনপি নেতারা এই আন্দোলনে যোগ না দিলেও ছাত্রদের পাশে দাঁড়াতে পারতো। কিন্তু বর্তমানে সুবিধাবাধীদের মতো করেই আত্মগোপনে রয়েছেন বিএনপি। এদিকে এখনো ছাত্র জনতা রাজপথে ধরপাকড়ের শিকার হচ্ছেন।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন