Logo
Logo
×

নগর জুড়ে

রাইফেল ক্লাব সরিয়ে নেওয়ার অপেক্ষায় না.ঞ্জবাসী

Icon

লতিফ রানা

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম

রাইফেল ক্লাব সরিয়ে নেওয়ার অপেক্ষায় না.ঞ্জবাসী

৫ আগস্টের পর অকার্যকর নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাব। ফাইল ফটো

Swapno

# এই বিষয়টা আমাকে কেউ অবগত করেনি : জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা
# শীঘ্রই হস্তান্তর গ্রহণ করতে পারবো বলে আশা করছি : নির্বাহী প্রকৌশলী সওজ
# রাইফেল ক্লাবটি সরিয়ে নিতে পারলে যানজট কমে আসবে : হাজী নূর উদ্দিন



গত ডিসেম্বরে নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ দৈনিক ‘যুগের চিন্তা’ পত্রিকায় “শীঘ্রই সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে না.গঞ্জ রাইফেল ক্লাব” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদটি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জুড়ে ছিল আলোচনা। বিশেষ করে গত ২২ ডিসেম্বর মিডিয়ার অনলাইন ভার্সনে আপলোড করার পর নারায়ণগঞ্জবাসীর ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। অনেকেই জানতে চান সত্যিই সরিয়ে নেওয়া হবে কি না, আবার কেউ কবে নাগাদ সরিয়ে নেওয়া হবে তা জানতে চান। অনেক পাঠকই আবার সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করেন।



তবে এতদিনেও এই বিষয়ে কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করায় এবং পত্রিকায় আপডেট কোন তথ্য না আসায় অনেকেই ফোন করে রাইফেল ক্লাব সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি আদৌ করা হবে কি না বা প্রক্রিয়াটি বন্ধ হয়ে গেছে কি না তা জানতে চান। তাই বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে রাইফেল ক্লাব সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বর্তমান অগ্রগতি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হয়। সরিয়ে নেওয়ার কাজ অনেকটাই এগিয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে নিশ্চিত করা হয়।




এর আগে গত ডিসেম্বরে নারায়ণগঞ্জ এর সাবেক জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক যুগের চিন্তাকে বলেছিলেন, এখান থেকে রাইফেল ক্লাব সরিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ চলছে। জায়গাটাতো সেনাবাহিনীর, তাই সড়ক বিভাগের একটি জায়গা আমরা সেনাবাহিনীকে দিচ্ছি। খুব শীঘ্রই রাইফেল ক্লাব এখান থেকে সড়ানো হবে, এখানে রাস্তা হবে। খুব শীঘ্রই নারায়ণগঞ্জবাসী এর ফলাফল দেখতে পাবে।




তবে বিষয়টি নিয়ে আর কোন অগ্রগতি চোখে না পড়ায় একই সাথে সংবাদ মাধ্যম কিংবা দায়িত্বরত উর্ধতন কোন কর্মকর্তার কাছ থেকে বিষয়টি আর কোন তথ্য না আসায় অনেকটাই আশাহত হতে শুরু করেন নারায়ণগঞ্জবাসী। এরইমধ্যে গত ১৪ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ-এ জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মো. জাহিদুল ইসলাম মিঞা। এর পর থেকেই যানজট নিরসনসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো সমাধানের অঙ্গীকারসহ বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে ওনার কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেকটাই বেড়ে যায়। বিশেষ করে এর আগের বিভিন্ন জেলা প্রশাসকগণ নিয়োগ প্রদানের পর অনেক তৎপরতা দেখালেও কোন কার্যকরী ভূামিকা রাখতে না পারায় জেলার হতাশ জনগণ অনেকটাই আশার আলো দেখতে শুরু করেন। তাই বর্তমান জেলা প্রশাসকের নিকট তাদের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে কোন একটি দৃষ্টান্ত রেখে যাওয়ার আশায় বুক বাধেন।




বিষয়টি নিয়ে আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নূর উদ্দিন আহম্মেদ দৈনিক যুগের চিন্তাকে বলেন এই রাইফেল ক্লাবটি শহরের যানবাহন প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার একমাত্র পথ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরের মূল সড়কের গাড়িগুলো এখন ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডটিকেই ব্যবহার করে। অন্যান্য যে সড়কগুলো আছে তার মধ্যে চাষাঢ়া-ফতুল্লা- পাগলা সড়কটি এক প্রকার অকেজোর মতোই আছে। অন্যদিকে খানপুর আদমজী সড়কটি দিয়েও এখন শুধুমাত্র লোকাল কিছু গাড়ি চলাচল করে। তাই এই সড়কটি-ই নারায়ণগঞ্জবাসীর ভরসা। তাই সম্প্রতি প্রায় সাড়ে চারশত কোটি টাকা ব্যয়ে লিংক রোডকে ১৩০ ফুট প্রশস্তকরণ কাজ করা হয়। কিন্তু এই পুরো কাজের ফলাফলই অসমাপ্ত হয়ে যায় এই সড়কটির চাষাঢ়া মুখের অংশটি প্রশস্ত না করতে পারায়। তাই আমাদের বর্তমান জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা যোগদান করার পরই চানমারী এলাকার বাইতুল হাফেজ জামে মসজিদ এলাকা থেকে রাস্তাটি প্রশস্ত করার উদ্যোগ নেন। এরই মধ্যে মসজিদটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, কিন্তু শহরের প্রবেশ ও বহির্গমনের মূল অংশটিই যদি প্রশস্ত করা না যায় তাহলে এই যানজট নিরসন সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, রাইফেল ক্লাবটি যত দ্রুত সরিয়ে নেওয়া যাবে ততটাই মঙ্গল। এর মাধ্যমে শহরের যানবাহনগুলো সহজে বেরিয়ে যেতে কিংবা প্রবেশ করতে পারলে যানজট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।




সড়ক ও জনপথ (সওজ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম যুগের চিন্তাকে বলেন, এখান থেকে রাইফেল ক্লাবের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি অনেকখানি আগাইছে। এখন আমরা হস্তান্তর গ্রহণের জন্য সেনাবাহিনীর যে ল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট আছে সেখানে চিঠি দিয়েছি। আমরা শীঘ্রই হস্তান্তর গ্রহণ করতে পারবো বলে আশা করতেছি। আমাদের বর্তমান জেলা প্রশাসক আসার পরে আমাদের সেভাবে কোন আলাপ-আলোচনা বা মিটিং হয়নি। তাই হয়তো এই বিষয়টি নিয়ে ওনি সেভাবে অবগত হননি। আগামী জেলা উন্নয়ন সমন্বয় মিটিংয়ে আমর বিষয়টি ওনার কাছে তুলে ধরবো। আমরা এই বিষয়টি অনেকটাই আগাইয়াছি এখন অনেকটাই চুড়ান্ত পর্যায়ে আছে।




জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলাম মিঞা যুগের চিন্তাকে বলেন, রাইফেল ক্লাব সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আমার সাথে কারও কথা হয়নি। তাই বিষয়টি আমার নলেজে নাই। এই বিষয়টা আমাকে কেউ অবগত করেনি। তাই সেনাবাহিনী বা অন্য কারও সাথে এই বিষয়ে আমার কোন কথা হয়নি।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন