ডিআইটি গণসমাবেশে মধুপুরের পীর আব্দুল হামিদ সরকার ইজ্জত রক্ষা করতে চাইলে জানিয়ে দিক,
কাদিয়ানিরা এদেশে সংখ্যালঘু
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ এএম
ডিআইটি গণসমাবেশে মধুপুরের পীর আব্দুল হামিদ সরকার ইজ্জত রক্ষা করতে চাইলে জানিয়ে দিক, কাদিয়ানিরা এদেশে সংখ্যালঘু
কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয় ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে আগামী ১৫ নভেম্বর ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ পরিষদ আয়োজিত মহাসম্মেলন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটি নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বাদ জুম্মা ডিআইটি মসজিদের সামনে এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটি সভাপতি ও ইসলামী ঐক্যজোটের আমীর আল্লামা আব্দুল কাদিরের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির কেন্দ্রীয় আমীর আল্লামা আব্দুল হামীদ পীর সাহেব মধুপুর।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মধুপুরের পীর আব্দুল হামিদ বলেন, সরকার প্রধান যদি ওনার ইজ্জত রক্ষা করতে চায়, তাহলে ১৫ তারিখের আগে আগে আমাদেরকে জানিয়ে দিক ‘কাদিয়ানিরা এদেশে সংখ্যালঘু’। যদি না বলে তাহলে দাবি কেমনে আদায় করে নিতে হয়, সেইটা আমরা মুসলমানরা দেখবো এবং বুঝবো। উনি কোথায় যাবেন জানি না। হাসিনার মতো খুনি সরকার এই দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হইছে। ইউনূস তো আর আমাদের জাতীয় সরকার না, সাময়িক কিছু সময়ের জন্য সরকার।
সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশের দিন প্রয়োজনে অবস্থান কর্মসূচির ডাকও আসতে পারে জানিয়ে মুধপুরের পীর বলেন, এ নিয়ে আগামীকাল (শনিবার) পরামর্শ হবে। যদি থাকতে হয় তো থাকবো। আর না হলে ঢাকাকে অচল করতে প্রস্তুত আছেন তো সবাই? সরকার যদি সোজা পথে না শোনে তাহলে শোনাইতে তো জানি আমরা। নবীর মহাব্বতে ঢাকাকে অচল করতে আমরা পারবো না? ঢাকার সব পথ বন্ধ করে দেওয়া হবে। সোজা পথে যদি না হয় তাহলে ঢাকাতে কাউকে বাইর হইতেও দেওয়া হবে না, ঢুকতেও দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, আমাদের সমাবেশ বানচাল করতে কোনো চাপ বা কোনো ব্যক্তি যদি আসে, তার দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে, সে যেই হোক। তার দাঁত ভেঙে বাংলার মাটি থেকে উড়িতে দিতে হবে।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির কেন্দ্রীয় সিনিয়র নায়েবে আমীর ও ডিআইটি মসজিদের খতীব আল্লামা আব্দুল আউয়াল, খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির মহাসচিব মুফতী ইমাদুদ্দীন, খতমে নবুওয়ত আন্দোলনের আমীর মুফতী নুর হুসাইন নূরানী, তাহাফফুজে খতমে নবুওয়তের মাওলানা এনামুল হক মুসা, তাহরীকে খতমে নবুওয়তের ড.আহসানুল্লাহ আব্বাসী, খতমে নবুওয়ত নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মুফতী মামুনুর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক মুফতী মাহমুদুল হাসান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ, ইসলামী আন্দোলনের জেলা সভাপতি মাওলানা দ্বীন ইসলাম, মহানগর সভাপতি মুফতী মাসুম বিল্লাহ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহানগর সভাপতি মুফতী জাকির হুসাইন কাসেমী, জেলা সভাপতি মাওলানা আবু সায়েম খালেদ, খেলাফত মজলিসের মহানগর সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আহমদ, যুবদলের সাবেক মহানগর সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহানগর সাধারণ সম্পাদক আল-আমীন রাকীব, খন্দকার আনোয়ার হুসাইন, আদর্শনগর মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী শেখ শাব্বীর আহমাদ, বায়তুল হিদায়া মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী আব্দুল গনী, দেওভোগ মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষাসচিব মাওলানা যোবায়ের আহমদ, কারিমিয়া মাদ্রাসার মুফতী মানসুর আহমদ সহ প্রমুখ।


