রোববার   ০৬ অক্টোবর ২০২৪   আশ্বিন ২১ ১৪৩১

 সোনাকান্দা দুর্গ এখন ময়লা আবর্জনার দখলে

হাসিবা নিঝুম

প্রকাশিত: ৬ মে ২০২৩  



নারায়ণগঞ্জে প্রাচীন স্থাপত্যের মধ্যে রযেছে দুটি দূর্গ যার মধ্যে একটি হচ্ছে হাজীগঞ্জ দূর্গ অপরটি সোনাকান্দা দূর্গ। এদুটি যেন কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে নারায়ণগঞ্জ শহর ও বন্দরে। গতকাল বন্দর উপজেলার এই দূর্গটি নাসিকের ২১নং ওয়ার্ডে অবস্থিত সোনাকান্দা দূর্গ যেটি এখন ময়লা আর্বজনার দখলে।

 

 

সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, মূল রাস্তা থেকে প্রথমেই চোখ পড়বে দূর্গটির বাইরের দেওয়াল ঘেঁষে ময়লা আর্বজনা ছড়িয়ে স্তুপ গড়ে উঠেছে। যেটি দেখার নেই কেউ। এছাড়াও দূর্গের ভিতরে বিভিন্ন জায়গায় সিগারেটের পেকেট, চিপস বিস্কুটের খোঁসা তাছাড়ও বাসা বাড়ির ময়লা আর্বজনা ও কারখানার ময়লা নিয়ে এনে এখানে ফেলা হয়। যার কারনে দূর্গটির সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। দূর্গটি রক্ষার্থে নেই কেউ।

 


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন, এ ময়লা আবর্জনা গুলো অনেক দিন যাবত এখানে ফেলা হচ্ছে, পৌরসভার লোকেরা মাঝে মাঝে এখানের ময়লা আর্বজনা গুলো পরিষ্কার করেন। তবে সিটি কর্পোরেশন থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দূর্গটির পাশে ময়লা না ফেলে রাস্তায় যেন ময়লা গুলো ফেলা হয় তারা কিছুদিন পরপর এসে ময়লা আর্বজনা গুলো পরিষ্কার করে দিয়ে যাবে।

 

 

কিন্তু মানুষ বাসাবাড়ির ময়লা আর্বজনাগুলো দূর্গটির পাশেই ফেলছে। পুনরায় আমিনুল নামের এক চায়ের দোকান ব্যবসায়ী বলেন, তিনি প্রায় ১ বছর যাবত এখানে দোকান দিয়ে বসেছেন দুর্গের পাশে ময়লা আবর্জনা ফেলার প্রশ্নে তিনি বলেন আগে পৌরসভার ময়লা ফেলার জায়গা ছিলো বলে এখানে এনে ফেলা হতো কিন্তু প্রায় ১ বছর যাবত পৌরসভার ময়লা এখানে ফেলা হয় না।

 

 

এখন বাসা বাড়ির ময়লা আবর্জনা ও বিস্কুট ফেক্টরীর ময়লা নিয়ে এনে এখানে ফেলায় এমন ময়লার স্তুপ তৈরি হয়েছে। পৌরসভার ময়লাগুলো নিয়ে এসে এখানে ফেলা হয় পাবলিক এখানে ময়লা ফেলে না এখানে ডাষ্টবিনের কোনো ব্যবস্থা নাই। এ বিষয়ে পারুল নামের এক মহিলা বলেন, এলাকায় নির্দিষ্ট কোনো ডাষ্টবিন না থাকায় সকলেই এখানে এনে ময়লঅ আর্বজনা ফেলছে।

 

 

সিটি কর্পোরেশন থেকে যদি নির্দিষ্ট কোনো ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হতো তাহলে তাহলে বাসা বাড়ির ময়লা বা অন্যন্যা সব ময়লার স্তুপ তৈরি হতো না। তবে ২১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর যদি এ বিষয়ে জোড় দেন তাহলে দূর্গটি ময়লা আর্বজনার স্তুপ এ পরিনত হতো না। এন.হুসেইন/জেসি