ভিপি নুরের সামনেই দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের হাতাহাতি
নতুন শামীম ওসমানরা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে : ভিপি নুর

যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম

ফতুল্লায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সমাবেশে তাঁর উপস্থিতিকেতই নেতাকর্মীদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
ফতুল্লায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সমাবেশে তাঁর উপস্থিতিকেতই নেতাকর্মীদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার (২ মে) ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায় জেলা ও মহানগর যুব অধিকার পরিষদের উদ্যোগে এ যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশস্থলে ভিপি নুর উপস্থিত হওয়ার কিছুক্ষণ পর মঞ্চের বাম পাশে এ বিশৃঙ্খলা দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভিপি নুর সমাবেশে আসলে স্লোগান দিয়ে তার পিছন পিছন আরও নেতাকর্মীরা আসেন। এসময় ভলেন্টিয়ারা তাদের পরিচয় জানতে চাইলে উত্তেজনার সৃষ্ঠি হয়, যা এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। পরবর্তিতে মঞ্চ থেকে আহ্ববান জানালে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এরপর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিপি নুর বলেন, ‘শামীম ওসমানদের আমলে নারায়ণগঞ্জ ত্রাসের রাজত্ব হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল। শামীম ওসমানরা প্রতিবার ক্ষমতার পালাবদলের পর পালিয়ে যায় আর নতুন নতুন শামীম ওসমানরা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। আর কোন শামীম ওসমান যেন মাথা চাড়া দিয়ে না উঠতে পারে সেজন্য আপনারা সোচ্চার থাকবেন। যে গণ-অভ্যুত্থানে প্রায় দুই হাজার মানুষ জীবন দিয়েছে, ত্রিশ হাজার মানুষ পঙ্গু হয়েছে। আওয়ামী লীগ যে নৃশংস গণহত্যা চালিয়েছে সেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কোন লক্ষণ আমরা দেখছি না। আমরা বলতে চাই আওয়ামী লীগের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শহীদের রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি। আওয়ামী লীগ এদেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না। রাজনৈতিক দলগুলো গত ষোল বছর লড়াই সংগ্রাম করলেও মানুষ সম্পৃক্ত হয়নি। কারণ রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রতি মানুষের বিশ্বাস ছিল না। যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ। জুলাইয়ে যে জন আকাঙ্খা তৈরি হয়েছে তা আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে।’
ভিপি নুর আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সুসংহত করতে হবে। সেজন্য এদেশে জাতীয় নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। গণ অধিকার পরিষদ ৩০০ আসনে প্রার্থী দিবে। আমি আমাদের নেতাকর্মীদের প্রতিটি আসনে প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানাই। পাশাপাশি আগে যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়। চেয়ারম্যান, মেয়রসহ সকল পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। যে যত বড়, দায়িত্ব তার বেশি। বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে বলবো জুলাইয়ে যে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আপনাদের তা বজায় রাখতে হবে। কোন দল যদি ভাবেন আমরা একাই একশো, আমরাই সব নিয়ন্ত্রণ করবো তাদের বলবো আওয়ামী লীগের থেকে শিক্ষা নিন। এদেশের মানুষ কাউকে পরোয়া করে না। এদেশের মানুষ আগামী দিনে কোন ফ্যাসিবাদ তৈরি হতে দিবে না। ভোটকেন্দ্র দখল করে সিল মেরে জনপ্রতিনিধি হওয়ার স্বপ্ন দেখবেন না।’
ডাকসুর সাবেক ভিপি আরও বলেন, ‘গণ অধিকার পরিষদ আজ দেশের পাড়া মহল্লা পর্যন্ত বিস্তৃত। আমাদের গণ অভ্যুত্থানের অংশীদারদের মধ্যে আমরা ফ্যাসিবাদের পতনের পর পুরনো অভ্যাস লক্ষ্য করছি। শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, দেশের কোথায়ও চাঁদাবাজি, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার বন্ধ হয়নি। এগুলো বন্ধ না হলে কেন এতগুলো মানুষ জীবন দিল। সে জবাব রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে দিতে হবে।’