কুতুবপুরে রাতের আঁধারে দেয়া হচ্ছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম

কুতুবপুরে রাতের আঁধারে দেয়া হচ্ছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার কুতুবপুরে দিন দিন বেড়েই চলছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ। এক যুগের বেশি সময় যাবৎ সরকারি ভাবে গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকলেও তিতাসের অসাধু কর্মকর্তা এবং এলাকার ঠিকাদারকে ম্যানেজ করেই ফতুল্লা থানাধীন বিভিন্ন এলাকাতে যে যার মতো নতুন বাড়ি করেই রাতের আধারে দিয়ে দিচ্ছ অবৈধ গ্যাস সংযোগ। এলাকার স্থানীয় কিছু নেতারা টাকার বিনিময়ে এই গ্যাস সংযোগ দিতে ব্যাপক ভাবে সহযোগীতা চালিয়ে যাচ্ছে। যা কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রন করতে পারছেন না তিতাসের কর্মকর্তারা।
বিভিন্ন এলাকাতে হাজারো অবৈধ গ্যাস সংযোগ থাকলেও তারা কোন রকম যাচাই বাচাই করছেনা। মাঝে মধ্যে নামমাত্র অবধৈ সংযোগ কাটলেও বেশির ভাগই বাদ পড়ে যাচ্ছে। যার কারনে যারা বৈধ গ্যাস সংযোগ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করছেন তারাও ঠিকভাবে গ্যাস পাচ্ছেনা। রাতের আঁধারে অবৈধ গ্যাস সংযোগ কারীরা কোন বিভিন্ন গ্যাস সংযোগের সাথে জোড়া লাগিয়ে অবৈধ এ গ্যাস সংযোগ দিয়ে যাচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায় ফতুল্লার কুতুবপুরের একের পর এক অবৈধ সংযোগ দিয়েই যাচ্ছে। দেখা গেছে কুতুবপুরের শাহী মহল্লা , শরীফবাগ , নয়ামাটি, চিতাশাল, দেলপাড়া, ভূইঘর , সাইনবোর্ডসহ আশে পাশের এলাকাতে সংযোগ বেড়েই চলছে। সর্বশেষ গত ২৩ এপ্রিল মধ্যরাতে শরীফবাগ এলাকায় একটি ছয় তলা বাড়িতে অবৈধ সংযোগ দেওয়া হয়।
তবে এলাকার অেেনকে এ অবৈধ গ্যাস সংযোগের কথা জানলেও কেউ কোন রকম বাধা প্রদান করেননি এর কারণ হিসেবে অনেকেই মনে করছেন এলাকার কিছু পাতি নেতা এই সংযোগ দেওয়ার সময় জড়িত ছিলো তাই একানে অনেকেই বাধা প্রদান করতে পারেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত দিনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের নামধারী নেতারা টাকার বিনিময়ে এ অবৈধ সংযোগগুলো দিয়ে থাকতেন। এখনো এলাকায় যারা আধিপত্য বিস্তার করে চলছে তারা এ সকল সংযোগ দিয়েই চলছে। যা কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হচ্ছেনা।
এ বিষয়ে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকায় অবৈধ সংযোগকারীদের জন্য আমরা ঠিকভাবে বাসা বাড়িতে গ্যাস পাইনা। এই সকল অবৈধ গ্যাস সংযোগকারীদের ধরা হলেও শুধুমাত্র লাইন কাটা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে। আমাদের মতে তাদের যতি বড় ধরনের জরিমানা ও আইনগত ভাবে সাজা প্রদান করা হতো তাহলে এই ধরনের অবৈধ কাজ করতে সাহস পেত না। তাই তিতাসের যারা কর্মকর্তা আছে তাদের উচিৎ কিছুদিন পরপরই বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো তাহলেই বেরিয়ে আসবে কারা বৈধ আর কারা অবৈধ সংযোগ দিয়ে বছরের পর বছর চালিয়ে যাচ্ছে।
ফতুল্লায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ফতুল্লা তিতাসে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তাকে ফোন করা হলেও কেউই ফোন রিসিভড করেনি।