মাজেদুল এখন ভূঁইগড়ের মূর্তিমান আতঙ্ক

যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

মাজেদুল এখন ভূঁইগড়ের মূর্তিমান আতঙ্ক
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়কের ভাগিনা পরিচয়দানকারী কথিত সেচ্ছাসেবক দলের নেতা মাজেদুল ইসলাম এখন ভূইগর সাইনবোর্ড এলাকার আতঙ্কের নাম। মাজেদুল নিজেকে বিএনপির একজন একনিষ্ঠ নেতা দাবি করলেও বিগত দিনে কোন রকম আন্দোলন সংগ্রামে তাকে দেখা যায়নি।
তবে পটপরিবর্তনের পরপরই দেখা যায়, এক সময়ের আওয়ামী লীগের ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করলেও এখন আবারও ভোল পাল্টে হয়ে যান বিএনপি নেতা এমনকি নিজেকে জেলা বিএনপির আহবায়কের ভাগিনা পরিচয় দিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় দখলে নিয়েছে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
খরর নিয়ে আরও জানা যায়, ইতিমধ্যেই তিনি রূপায়ন টাউনে ভয়ভীতি দেখিয়ে সেখানকার উপদেষ্টা নির্বাচিত হন। এর আগেই তিনি রূপায়ন টাউনের সমস্থ কেবল নেটওয়ার্কসহ নানান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলে নিয়ে আলোচনার আসেন। এরপর থেরেই একের পর এক সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। রূপাউন টাউন এলাকায় গড়ে তুলেছেন তার টর্চাল সেল।
খোঁজ নিয়ে জানা আরও জানা যায়, ফিটিং বাণিজ্যে করে কয়েক লাখ টাকা চাঁদাবাজি করে উমরা হজ¦ পালন করে। এমনকি ভূইগড় ও তার আশেপাশের এলাকাতে আধিপত্য বিস্তারের জন্য সন্ত্রাসী বাহীনি গড়ে তুলেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকজন তার বিরুদ্ধে কথা বলে তার এবং তার বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছেন।
এগুলা করেই থেমে থাকেননি দীর্ঘদিনের স্বনামধন্য ক্লাব ভূইগড় সোনালী সাংসদ ক্লাব একটি অরাজনৈতিক সংগঠন হলেও বর্তমানে সেই ক্লাবে যেন নির্বাচন না হয় সেই পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি দলীয় প্রভাব খাটানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সে চাচ্ছে ভূঁইগড় সোনালী সংসদ ক্লাবে যেন কোন ধরণের নির্বাচন না হয় এবং সে যেন ক্লাবের সভাপতি হন সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
এলাকাবাসী অনেকেই অভিযোগ করেন, এই মাজেদুল একটা ভন্ড প্রতারক। বিভিন্ন মানুষের কাছে প্রতারণা করেই হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। বর্তমানে ভূইগড় সাইনবোর্ড এলাকার আতঙ্কের নাম এই সন্ত্রাসী মাজেদুল।
বিএনপি নেতারা মনে করেন এই মাজেদুল দলীয় কোন পদ না থাকলেও এরা দলের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে জড়িত হয়ে দলের বদনাম করার চেষ্টা করছে। তাই সিনিয়র নেতাদের উচিৎ এই ধরণের সন্ত্রাসীদের যেন কোন ধরনের সুযোগ দেওয়া না হয় সেদিকে লক্ষ রাখা উচিৎ।
জানা যায়, এই ভূইগর সাইনবোর্ডের আতঙ্কের নাম ছিলো সদর উপজেলার সাবেক এই ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন এ দীর্ঘসময় নানান কারনে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বিতর্কিত হয়েছে। এলাকায় চাঁদাবাজি , ভূমিদস্যুতাসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে নিজেকে সবসময় জাহির করতেন। আর সেই পথেই হাটছেন এই সন্ত্রাসী মাজেদুল।
এলাকাবাসী এই এলাকায় আর সন্ত্রাস চায় না। এলাকায় শান্তি চায় আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা যেভাবে এলাকায় রাজত্ব করেছে তা যেন আর ফিরে না আসে সেই দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজর দেয়। তা না হলে, আবারো এই সাইনবোর্ড ও ভূঁইগড় এলাকা অপরাধের সাম্রাজ্য হিসেবে গড়ে উঠবে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মাজেদুল যুগের চিন্তাকে বলেন, আমি কোন ধরনের অপকর্মে জড়িত নই। আমি কোন ধরনের চাঁদাবাজি ভূমিদস্যুতার সাথে জড়িত নই। যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে তাহলে আমি সকল কিছু মাথা পেতে নেবো। আর আমি ভূইগড় সোনালী সংসদ ক্লাবে বেশ কয়েকবার দায়িত্বে ছিলাম, আগামীতে নির্বাচন করবো কিনা তার নিশ্চয়তা নেই।