Logo
Logo
×

নগরের বাইরে

বিয়ে করার চাপ দেওয়ার কারণেই মীমকে হত্যা করেন রায়হান

Icon

যৃুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ এএম

বিয়ে করার চাপ দেওয়ার কারণেই  মীমকে হত্যা করেন রায়হান

বিয়ে করার চাপ দেওয়ার কারণেই মীমকে হত্যা করেন রায়হান

Swapno

সোনারগাঁয়ের চাঞ্চল্যকর সায়মা আক্তার মীম (২০) হত্যা মামলার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন তার কথিত স্বামী রায়হান। জবানবন্দিতে তিনি জানান, দুই মাস আগে বিয়ে করা স্ত্রী ডিভোর্স দেওয়ার চাপ দেয় মীম। একইসঙ্গে তাকে (মীম) বিয়ে করার চাপ দেওয়ায় মীমকে হত্যা করেন তিনি। গতকাল বুধবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুর মোহসিনের আদালতে তিনি জাবনবন্দি প্রদান করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে  নারায়ণগঞ্জ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. কাইয়ুম খান জানান, জবানবন্দি শেষে আদালত রায়হানকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।


এদিকে নিখোঁজের চার দিন পর সায়মা আক্তার মীমের স্কচটেপ মোড়ানো বস্তাবন্দি লাশ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের উপর নির্মিত কাইকারটেক ব্রিজসংলগ্ন ঝোপ থেকে উদ্ধার করে নৌপুলিশ। স্থানীয়রা দুর্গন্ধ পেয়ে ঝোপের মধ্যে একটি বস্তা দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।


নারায়ণগঞ্জ নৌপুলিশের পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, নৌপুলিশ লাশ উদ্ধারের এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যেই স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে লাশের পরিচয় শনাক্ত করেন। এর পরপরই নৌপুলিশের কয়েকটি টিম আসামিকে শনাক্ত করার জন্য মাঠে নামে এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি সায়মা আক্তার মীমের কথিত স্বামী রায়হানকে মঙ্গলবার রাত দেড়টায় গ্রেফতার করে।


তিনি জানান, সায়মা আক্তার মীমের সঙ্গে পরিচয় হয় কুমিল্লার রায়হানের। পরিচয় থেকে প্রেম হয়। একপর্যায়ে তা খুব গভীরতা লাভ করলে রায়হান ও মীম প্রায় এক বছর ধরে মোগড়াপাড়া এলাকার আমতলায় ফিরোজ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করতে থাকেন। এর মধ্যে মীম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। কিন্তু দুই মাস আগে রায়হান অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করেন। বিষয়টি মীম জানাতে পেরে তাকে (রায়হানকে) বিয়ের জন্য এবং ওই মেয়েকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মধ্যে কলহ দেখা দেয়। মীম বিষয়টি রায়হানের পরিবারকে জানালে বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয় রায়হান।


এরই জের ধরে রায়হান পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মীমকে গত ১০ অক্টোবর রাতে কাইকারটেকে ব্রিজসংলগ্ন বালুর মাঠে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে মীম কিছু বুঝে উঠার আগেই মীমের মাথায় পরিহিত হেজাব খুলে গলায় প্যাঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে  হত্যা করে রায়হান। পরে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী লাশ স্কচটেপ দিয়ে হাত-পা প্যাঁচিয়ে পলিথিনের ব্যাগে ভরে। পরে বস্তায় ভরে বালুর মাঠের পাশে ব্রক্ষপুত্র নদের পাশে ঝোপের মধ্যে ফেলে গুম করার চেষ্টা করে। নিহত মীম পাবনা জেলার সুজানগর থানার দয়ালনগর এলাকার সাইফুল ইসলামের মেয়ে।


Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন