আড়াইহাজারে যুবদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত

যৃুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ এএম

আড়াইহাজারে যুবদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত
আড়াইহাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আব্দুল বাতেন মিয়া (৬৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলা সাতগ্রাম ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকায় এ সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল বাতেন ওই এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি সাতগ্রাম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি শাহজাহান মিয়ার বাবা। পুলিশ ও স্থানীয়রা একাধিক সূত্র জানায়, সাতগ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি রেজাউল করিমের ছোট ভাই হাসান মিয়া সাথে ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি শাহজাহান মিয়ার এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত সপ্তাহে দুই গ্রুপের কয়েকজনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে বুধবার সন্ধ্যায় উভয়পক্ষের অনুসারীরা দেশীয় অস্ত্রসজ্জে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে অন্তত ৬ জন আহত হয়।
এদের মধ্যে শাহজাহান মিয়ার ভাই আজিজুল হক ও তার বাবা আব্দুল বাতেন মিয়া গুরুতর জখম হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল বাতেন মিয়া মারা যান। তার ছেলে আজিজুল হকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে স্বজনরা জানায়।
মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছালে স্বজনদের মধ্যে ফের উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে আড়াইহাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আনার চেষ্টা করছে।
এদিকে আহত আজিজুলের স্ত্রী নুসরাত জানান, রসুলপুর কেন্দ্রীয় সমজিদের কমিটি নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি করিমের সঙ্গে তার শ্বশুর বাতেনের কথা-কাটাকাটি হয়। এরই জেরে করিমের নেতৃত্বে তার লোকজন স্বামী আজিজুল ও শ্বশুর বাতেনের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় দুজনকে উপর্যুপরি কোপানো হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে রাতে প্রথমে স্থানীয় মালেখ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে বাতেনের মৃত্যু হয়। নুসরাত আরও বলেন, আমার স্বামী আজিজুলের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করাসহ আমি এঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।
আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন জানান, এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যে ঘটনা ঘটে। এতে আব্দুল বাতেন নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বড় ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ প্রেরণ করা হচ্ছে।