Logo
Logo
×

রাজনীতি

গাজীর সন্ত্রাসীরা এখন দিপু ভূঁইয়ার কর্মী হিসেবে কাজ করছে: সেলিম প

Icon

প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০২ পিএম

Swapno

 

মেহেদী হাসান: চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলায় আদালত থেকে জামিন নিলেন সেলিম প্রধান। গতকাল সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পণ করে হাইকোর্ট বিভাগ থেকে ৮ সপ্তাহের  জামিননামা দাখিল করে জামিন নেন সেলিম প্রধান। সেই সময় আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এসময় আদালত থেকে জামিন পেয়ে সেলিম প্রধান বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দিয়েছে। যে জায়গার মালিক সে কি কোনদিন চাঁদাবাজি করতে পারে? গাজীর লোকজন যারা ছিলো, তারা আমার বাড়িতে হামলা করেছে, আমাকে মারার জন্য রূপগঞ্জ থেকে তার সন্ত্রাসী বাহীনি দিয়ে হামলা চালিয়েছে। একদিনে কয়েক দফায় হামলা করেছে। আমার জমি আমি লিজ দেইনি, যে চুক্তিনামার কথা বলা হচ্ছে সেটা ভুয়া। ওরা চুক্তিনামা করেছে দুইটা, একটা এক বছর, অন্যটা দশ বছর। এটা কি হয় ?  দেশের আইন অনুযায়ী চুক্তিনামা হয় তিন বছরের। তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আমি প্রতিনিয়ত লড়াই করেছি। অথচ বর্তমানে যা কিছু হচ্ছে তার সবকিছুই হচ্ছে দিপু ভূইয়ার ইন্ধনে। আমার কথা বিশ্বাস করার দরকার নেই, আপনারা রূপগঞ্জ যাবেন এবং সেখানে এলাকাবাসীর সাথে কথা বললেই বুঝতে পারবেন।

 শত শত কর্মী যারা পূর্বে গাজীর সাথে থেকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড  করেছে, তারা এখন দিপু ভূইয়ার কর্মী হিসেবে বর্তমানে কাজ করছে। দিপু ভূইয়া আমেরিকা গিয়েছে, কেনো? কারন পাপ্পা গাজী বর্তমানে সেখানে আছে। আপনারা দেখেছেন আমাদের বিএনপির অনেক লোকজন গত ১৫ বছর বাড়ি ঘরে থাকতে পারেনি। এমন কোন লোক নেই যে কিনা মামলা খায়নি, জেলে যায় নি। অথচ দিপু ভূইয়া একবারও জেলে যায় নি। চাঁদাবাজির যে মামলা করা হয়েছে সেখানে যে সময়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে (দুপুর ২: ৩০ মিনিট) সে সময় আমি দেশ স্বাধীন হয়েছিলো আর আমি আনন্দ মিছিল করছিলাম গুলশানে। আমার ফোন ট্রাকিং করলেই সব জানতে পারবেন। অথচ চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে। রূপগঞ্জ সহ সারাদেশের মানুষ জানে জায়গা আমার। আমি জেলে ছিলাম জোরজবস্তি দখল করেছে। নিজের জমিতে কেউ চাঁদাবাজি করে আর যে চাঁদাবাজি করে সে কি রিসিট দেয়। তারা যে মামলা করেছে সেটা ভুয়া মামলা করেছে। মে মাসের ২৮/২৯ তারিখ আমার বাড়িতে হামলা করেছে। ঐ সময় মুজিবুর, বালু হাবিব, এমদাদ, হিরা এরা হলো বাহিনী। থানা কিন্তু মামলা নিতে চায় নি। কিছু আড়ৎদার জিম্মি করে রেখেছে। তাদের কথা না শুনলে ওদেরকে দোকান থেকে বের করে দিবে। গাজী সব চাইতে বেশী ভয় পেত আমাকে। কারন সে জানে আমি থাকলে সে কোন চাঁদাবাজি বা অন্যকিছু করতে পারবেনা। এরা মনে করে প্রধান যদি রূপগঞ্জে থাকে তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ শেষ৷ কারন আমি চাঁদাবাজি করতে দেই না, মাদক ব্যবসা করতে দিবোনা। 

এসময় আইনজীবী আশরাফুল বারী ভূঁইয়া বলেন, সেলিম প্রধান ও নবী হোসেনের বিরুদ্ধে একটি কথিত চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। তারা হাইকোর্ট বিভাগ থেকে সেই মামলায় ৮ সপ্তাহের জামিন নিয়েছেন। আজকে নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহমানের আদালতে জামিননামা দাখিল করেছি। আদালত জামিন মঞ্জুর করেছেন। যে চাঁদাবাজির মামলা করেছে তার কোন সত্যতা নেই। 

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন