Logo
Logo
×

রাজনীতি

ফেব্রুয়ারিতে পুরোদমে মাঠে মহানগর বিএনপি

Icon

লিমন দেওয়ান

প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

ফেব্রুয়ারিতে পুরোদমে মাঠে  মহানগর বিএনপি

ফেব্রুয়ারিতে পুরোদমে মাঠে মহানগর বিএনপি

Swapno



আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে নির্যাতন ও নিপীড়নের প্রতিবাদ, দেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন দাবিতে ১ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি লিফলেট বা প্রচারপত্র বিলি, ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ, ১০ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ, ১৬ ফেব্রুয়ারি অবরোধ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক কঠোর হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিলো।


সেই কেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের রাজপথে লিফলেট বিতরণ করার কথা থাকলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন ঘটেনি। সেদিন জেলার কোথাও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কর্মসূচি পালন করেনি। বরং নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে সরগরম ছিল।


তা ছাড়া মাঠ থেকে মহানগর বিএনপি ঘোষণা দিয়েছেন যেহেতু ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ঘোষণা দিয়েছেন এই মাসে মাঠে নামবে সেই আলোকে এই মাস টানা মাঠে থাকার হুঙ্কার দিয়েছেন। যাকে ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা ছাড়া ও আওয়ামী লীগকে কোন ভাবেই গুরুত্ব দিচ্ছে না বিএনপি।


বিএনপি নেতাকর্মীরা বর্তমানে নির্বাচনে বেশি মনযোগী হয়ে উঠেছে। কারণ বর্তমানে তাদের একটাই কথা যে নির্বাচনই সকল সমস্যার সমাধান। যাকে ঘিরে আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে পৃথক কোনো কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি। শুধু তাদের ভয়ের মাধ্যমে প্রতিহত করতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা কিছু সময় মাঠে থেকে বিক্ষোভ মিছিল করবেন।


এদিকে ১৮ দিনের কর্মসূচি নিয়ে গতকাল শনিবার থেকে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ। সরকার থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার প্রায় ছয় মাস পর এটিই ছিলো দলটির সবচেয়ে বড় কর্মসূচি ঘোষণা। বলা চলে, প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচি। বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে হরতাল-অবরোধের মতোও কর্মসূচি পালন করবে দলটি। এর আগে ১০ নভেম্বর নূর হোসেন দিবস পালন করতে দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানানো হয়েছিল। এবারের কর্মসূচি বাস্তবায়নকে মাঠে ফেরার পরীক্ষা হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগ। কিনউত কোনভাবেই তারা তাদের এই পরীক্ষার কর্মসূচিতে মাঠে নামতে পারবে না বলে বারবারই হুঁশিয়ারী দিয়ে আসছেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।



এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ছাত্রলীগের হাত থেকে ছাত্র- জনতা, কৃষক, শ্রমিকের রক্তের দাগ এখনও মুছে যায়নি। সেই রক্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা যে কর্মসূচি দিয়েছে আজকে আমি মহানগর বিএনপি'র পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশ দিচ্ছি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ যে যেখানে অবস্থান করে বের করে আমাদেরকে খবর দিবেন তাদেরকে ধরে মারবেন না আইনের হাতে তুলে দিবেন। আমাদের সকল ইউনিট নেতাকর্মীদেরকে আমি বলতে চাই আপনারা সজাগ হন।


ওই যুবলীগ ছাত্রলীগের যারা নিষিদ্ধ তাদের যে কর্মসূচি বাংলাদেশের মানুষ মেনে নিবে না। আমরাও কিন্তু মেনে নিব না। নারায়ণগঞ্জে আমরা যেই সহমর্মিতা দেখিয়েছিলাম সেটাকে তারা দুর্বল মনে করছে।  তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পূর্ণ উদ্ধার হয়েছে। এটাকে যদি কেউ নস্যাৎ করতে চায় তাহলে বাংলাদেশে জাতীয় দল তথা মহানগর বিএনপি তা মেনে নিবে না। দেশের জনগণকে নিয়ে আমরা তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো। মহানগর বিএনপির আওতাধীন সকল ইউনিট ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পাড়ায় মহল্লায় সজাগ থাকবেন যেনো কোন ভাবেই নিষিদ্ধ সংগঠন নেতাকর্মীরা কোন কর্মসূচি পালন করতে না পারে।



মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, গত ৫ই আগস্ট সাঈদ, মুগ্ধ ও স্বজনের রক্তের বিনিময়ে এদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আজকে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে গিয়ে আবারো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নতুন করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করার জন্য তার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, যুবলীগ শ্রমিক লীগদের দিয়ে তারা এক মাস ব্যাপী কর্মসূচি দিয়েছে। আর তারেক রহমানের সৈনিকেরা বেঁচে থাকতে নারায়ণগঞ্জে কোন ছাত্রলীগ যুবলীগ শ্রমিকলীগকে রাজপথে দাঁড়াতে দিব না।


তিনি বলেন, মহানগর বিএনপির আওতাধীন প্রতিটি থানা ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে বিএনপির নেতাকর্মীরা আপনারা প্রস্তুত থাকবেন যেখানে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগদেরকে যেখানেই পাবেন তাদেরকে প্রতিহত করে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হবে। আমাদের কর্মসূচি আজ থেকে শুরু আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। আওয়ামী লীগের ও অগণতান্ত্রিক কর্মসূচি ও নৈরাজ্যকে প্রতিহত করতে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন নেতাকর্রামীরা রাজপথে আছে এবং থাকবে।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন